বুধবার ● ২৫ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » কালীগঞ্জে চলছে নতুন উদ্যমে ফুলচাষ
কালীগঞ্জে চলছে নতুন উদ্যমে ফুলচাষ
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ক্ষেতে ফুলের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন গান্না-পাইকপাড়া গ্রামের দু’ভাই সাজু মন্ডল ও সাহাবুল ইসলাম। করোনার কারণে ফুল বিক্রিতে ধস নামায় তারা ক্ষতির শিকার হন। এখন নতুন করে ফুলচাষ করে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চান। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, করোনা সংক্রমণের আগে ফুলের আবাদ ছিল ১৭৬ হেক্টর জমিতে। বর্তমানে লাভজনক এই আবাদ কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪০ হেক্টর জমিতে। তবে এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশা কৃষি বিভাগের। ফুলচাষি সাজু মন্ডল জানান, সামনে বিজয় দিবস, বসন্ত বরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি এসব দিবসে ফুলের ভালো দাম হয়। তাই করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এক বিঘা জমিতে গাঁদা ফুলের চারা রোপণ করেছেন। আশা করছেন, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন। মোটামুটি একই চিত্র জেলার সদর, কালীগঞ্জ, মহেশপুরসহ ফুল উৎপাদনকারী এলাকায়। অব্যাহত লোকসানে দিশেহারা চাষিদের অনেকেই ফুলের পরিবর্তে ধান কিংবা সবজির চাষ করেন। অনেক ফুলচাষি এখন নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন। সেই স্বপ্নে কেউ নতুন করে চারা রোপণ করছেন কেউবা রোপণকৃত চারা পরিচর্যা করছেন। এখন থেকে পরিচর্যা করা গেলে দেড় থেকে দুই মাস পর ভালো মানের ফুল পাওয়া যাবে। ফুলচাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার আগে প্রায় দুই বিঘা জমিতে গাঁদা ফুল ছিল। লকডাউনে পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় ক্ষেতের ফুল বাজারে বিক্রি করতে পারছিলাম না। যার কারণে সব গাছ কেটে ফেলি। এতে আমার লোকসান হয় দেড় লাখ টাকার মতো।’ ফুল গাছ কেটে সেখানে ধান লাগিয়েছিলেন তিনি; আর অল্প একটু জমিতে সবজি। তবে যে জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন, সেখানে এখন আবার ফুল আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। জেলার সব থেকে বড় গান্না বাজার ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দাউদ হোসেন জানান, করোনার সংকটে ব্যবসায়ীদের মার্কেটে লাখ লাখ টাকা অনাদায়ী রয়ে গেছে। ঢাকা, কুমিল্লাসহ বড় বড় শহরের ব্যাপারিদের কাছে তাদের টাকা আটকে আছে। যদি করোনার সংক্রমণ কমে যায় কিংবা সরকার যদি কমিউনিটি সেন্টার গুলো খুলে দেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিজয় দিবসসহ নানা উৎসব উদযাপনের অনুমতি দেয়, তাহলে ফুলের চাহিদা বাড়বে। এতে তাদের পাওনা-প্রান্তির পাশাপাশি ব্যবসা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে। ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোশাররফ হোসেন জানান, সামনের দিন গুলোতে চাষিরা যাতে ভালোমানের ফুল পেতে পারেন এজন্য উন্নতমানের চারা রোপণ, রোগ-বালাই দমন থেকে শুরু করে নানা কারিগরি পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে কম জমিতে কীভাবে বেশি ফুল উৎপাদন করা যায়, সে বিষয়েও দিক-নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
বিনা ভাড়ায় থাকেন পরিদর্শক
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাঁচেরকোল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের সরকারী আবাসিক কোয়াটারটি বেদখল হয়ে গেছে। ওই সরকারী কোয়াটারটি উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোছাঃ মায়ানুর আক্তারের নামে বরাদ্দ থাকলেও তিনি ওই বাসায় বসবাস করেন না। ফলে দীর্ঘ ৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিনা ভাড়ায় বসবাস করছেন হুমায়ন কবীর পলাশ নামে এক পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক। হুমায়ন কবীর বসবাসের সুযোগ নিয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের ভিতরে থাকা সরকারী গাছ কেটে ঘরের ফার্নিচার বানিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও সরকারী কোয়াটারে বসেই তিনি এলাকায় রাজনীতি করে বেড়ান। এলাকাবাসির অভিযোগ পরিদর্শক হুমায়ন কবীর অল্প সময় অফিস করে দলাদলির রাজনীতি করে বেড়ান। এছাড়া সরকারী ওষুধ মুখচেনা লোকের মধ্যে বিতরণ করেন বলে কেও কেও অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপা উপজেলা মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডাঃ গোলাম রহমান খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমরা তাকে চিঠি দিয়েছি বাসা ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এ মাসেই সে বাসা ছেড়ে দিবে। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোছাঃ মায়ানুর আক্তার জানান, বাসাটি আমার নামে বরাদ্দ। প্রতিমাসে বাসা ভাড়া আমি প্রদান করলেও আমি থাকি না। পরিদর্শক পলাশের সঙ্গে আমার ভাইবোনের সম্পর্ক, তাই তাকে আমি থাকতে বলেছি। পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক হুমায়ন কবীর পলাশ বলেন, আমি ১২ হাজার টাকা ব্যায় করে বাসা মেরামতের মাধ্যমে বসবাসের উপযোগী করেছি। যখন বিনা ভাড়ায় থাকার কথা উঠছেই তখন আমি বাসা ছেড়ে দেব।
ক্ষুধা দারিদ্রের সঙ্গে যুদ্ধজয়ী ঝিনাইদহের ১৫ নারী
ঝিনাইদহ :: ১৫ ক্ষুধা জয়ীকে খুঁজে বের করেছে হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড নামের একটি সংগঠন। এদের সবার বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে টেকসব উন্নয়ন, জৈব চাষ, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, পরিবেশ সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, যুব উন্নয়ন তথা আর্থ সামাজিক উন্নয়ন এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র অবসানে অবদান রেখে চলেছে। ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ বিনির্মানে এসব নারীদের সম্মননা প্রদান করবে জাপান ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড। আজ বুধবার (২৫ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে জেলার কালীগঞ্জ শহরের বলিদাপাস্থ সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে সম্মাননা স্বরুপ ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড প্রতিবছর সমাজের বিভিন্ন ভাবে অবদান রাখায় সম্মাননা স্বরুপ এই পুরস্কার প্রদান করে থাকে। এবার শত বাধা পেরিয়ে ক্ষুধাকে জয় করার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুরের রেনুকা আক্তার, মস্তবাপুরের মারুফা খাতুন ও তহমিনা বেগম, অনুপমপুরের মুন্নি ও জোসনা বেগম, মহেশ^রচাদার মঞ্জুরা রানী, মল্লিকপুরের স্বপ্না খাতুন ও রুপভান বেগম, আগমুন্দিয়ার ফারহানা বেগম, বলরামপুরের আসমানি দেবনাথ ও রেকসনা বেগম, ভোলপাড়ার ফাতেমা বেগম, হরিগোবিন্দপুরের আসমা বেগম এবং আড়–য়াশলুয়ার রিজিয়া ও রিনা বেগমকে নির্বাচিত করে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।
হরিণাকুন্ডুতে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে অবৈধ লাটাহাম্বা (বালি ও মাটি টানা স্থানীয় ইঞ্জিনচালিত যান) গাড়ি তৈরির অপরাধে ইউনুচ আলী নামে একব্যক্তিকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ইউনুচ আলী শহরের আদর্শপাড়া এলাকার মৃত- ঝইরুদ্দিনের ছেলে। মঙ্গলবার সকালে শহরের গ্যারেজপট্রি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সড়ক পরিবহন আইনে অনুমোদনহীন স্থানীয় যান তৈরির অপরাধে ওই ব্যক্তিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও সৈয়দা নাফিস সুলতানা। পরে শহরের রেজিস্ট্রি অফিস মোড় এলাকায় বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের ওপর পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে ফারুক হোসেন নামে আরও এক কসমেটিক্স ব্যবসায়ীকে পাঁচ‘শ টাকা জরিমানা করা হয়।
খেলার সামগ্রী বিতরন করলেন এমপি খালেদা খানম
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি খালেদা খানম খেলোয়ারদের মাঝে খেলার সামগ্রী বিতরন করেছেন। মঙ্গলবার বিকালে নিজ বাসভবনে এ খেলার সামগ্রী বিতরন করেছেন। সংরক্ষিত মহিলা আসন-২৭ এর সংসদ সদস্য খালেদা খানম ঝিনাইদহ জেলা শহরে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বনানী ক্রীড়া সংসদ এর নেতৃবৃন্দের কাছে খেলার সামগ্রী ফেদার,ব্যাড সহ ব্যাডমিন্টন খেলার সামগ্রী বিতরন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উদ্ভাবনী নার্সারীর পরিচালক মনিচুর রহমান কারু, সাজ্জাদ আহমেদ, বনানী ক্রীড়া সংসদ এর তপু রহমান,হিমেল,জুয়েল,জায়েদ,জাকারিয়া,প্রাপ্ত,রাহুল প্রমূখ। সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি খালেদা খানম বলেন, ব্যাডমিন্টন খেলার সামগ্রী সহ বিভিন্ন খেলার সামগ্রী বিতরন অব্যাহত রয়েছে। খেলাধুলা মানুষকে শারীরিক সুস্থ রাখে ও যুব সমাজকে বিভিন্ন খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।খেলোয়ারদের উদ্দেশ্য বলেন,করোনাকে জয় করতে হলে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে খেলাধুলা করতে হবে। করোনার দ্বিতীয় ডেউকে অবশ্যই জয় করতে হবে।