সোমবার ● ৩০ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা বিভাগ » পুনর্বাসন ছাড়া রেললাইনের দুইপাশের উচ্ছেদের ঘোষণা অমানবিক : আবু হাসান টিপু
পুনর্বাসন ছাড়া রেললাইনের দুইপাশের উচ্ছেদের ঘোষণা অমানবিক : আবু হাসান টিপু
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরোর সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জননেতা কমরেড আবু হাসান টিপু গণমাধ্যমে প্রকাশের উদ্দেশ্যে এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই করোনা দুর্যোগকালে পুনর্বাসন ছাড়া মাত্র ২০ দিনের নোটিশে ইপিজেট থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত রেললাইনের দুইপাশের ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট উচ্ছেদের ঘোষণা কেবল অমানবিক নয় অন্যায়। তিনি বলেছেন ১৮৭৮ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনেই বলা আছে ৬০ বছর কিংবা তার বেশী সময় ধরে কোন স্থানে বসবাস কিংবা ভোগ-দখলে থাকলে সে যায়গাতে দখলদারের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়; সুতরাং এই আইনের বলেই এখন আর রেলওয়ে কতৃপক্ষ নয় বরং দখলদাররাই এই সকল সম্পত্ত্বির প্রকৃত মালিক। তাছাড়া এই করোনা দুর্যোগকালে সরকারের চরম অব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যখাতে নৈরাজ্য, সরকার ও সরকারীদলের নেতাকর্মীদের লুটপাট-দুর্নীতি ও চুরি চামারির কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ দুর্দশার শেষ নেই তার উপরে রেললাইনের দুই পাশের অর্ধ লক্ষাধিক ছোট ব্যবসায়ী ও লক্ষাধিক বস্তিবাসীকে আশ্রয়হীন করলে সব মিলিয়ে কয়েক লক্ষ মানুষের অসহায়ত্ব আরও অনেকগুন বেড়ে যাবে।
আবু হাসান টিপু বলেছেন, এই অল্প সময়ের উচ্ছেদ নোটিশের কারণে অধিকাংশ ব্যবসায়ীই তাদের দোকান মালিকে দোকান ভাড়া নেয়ার সময়ে দেয় এডভান্সের টাকাসহ ক্রেতা সাধারণকে মাসিক ভিত্তিতে দেয়া বাকীর টাকা তুলতে পারবেন না। এছাড়া নিশ্চিতভাবে আশপাশের অঞ্চলে পর্যাপ্ত খালি দোকান না থাকার কারণে অধিকাংশ ব্যবসায়ীকেই তার ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসতে হবে। আর রেললাইনের দু’ধারে বসবাসকারী হতদরিদ্র মানুষগুলোর অবস্থা হবে আরও করুণ, নিশ্চিভাবে অল্প ভাড়ায় পর্যাপ্ত খালি ঘর না পাওয়া ও অর্থনৈতিক অচ্ছলতার কারণে অনেককেই খোলা আকাশের নিচে পরিবার পরিজন নিয়ে ঠাই করে নিতে হবে। অথচ বাসস্থান প্রাপ্তির অধিকার মানুষের সাংবিধানিক অধিকার।
তিনি আরও বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থেই এখানে নতুন নতুন সড়ক নির্মান করা অনেক বেশী জরুরী। এছাড়া সুদীর্ঘকাল ধরেই নারায়ণগঞ্জের উত্তরাঞ্চল বহু দিক থেকেই উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত আরতাই অনিবার্যভাবেই ইপিজেট থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত রেললাইনের উপর দিয়ে সড়ক নির্মিত হলে তা হবে এ অঞ্চলেরে মানুষের জন্য আর্শিবাদ স্বরূপ। এমন কি এই সড়কটি নির্মাণের মধ্যো দিয়ে নারায়ণগঞ্জের উত্তরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের একটি স্বপ্ন পুরণ হবে। কিন্তু তড়িঘড়ি করে পুনর্বাসন কিংবা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণসহ পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে; দরিদ্র মানুষগুলোর পেটে লাথি মারা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায়না।
আবু হাসান টিপুু অবিলম্বে পুনর্বাসন কিংবা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণসহ পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে ইপিজেট থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত রেললাইনের দুইপাশে ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট উচ্ছেদ আদেশ স্থগিত করার জোর দাবী করেন। এবং উন্নয়নের নামে গায়ের জোর প্রদর্শন না করে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে দেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহবান করেন।