মঙ্গলবার ● ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মোয়াজ্জেম হোসেন খানের মতো ব্যক্তিত্ব আমাদের সমাজে বিরল- ফজলে করিম চৌধুরী এমপি
মোয়াজ্জেম হোসেন খানের মতো ব্যক্তিত্ব আমাদের সমাজে বিরল- ফজলে করিম চৌধুরী এমপি
কামরুল ইসলাম বাবু , রাউজান :: (২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ : বাংলাদেশ : সময় : রাত ৯.৪০মিঃ) মোয়াজ্জেম হোসেন খানের মতো ব্যক্তিত্ব আমাদের সমাজে বিরল ৷ তিনি এই সমাজ বা রাউজানকে উপস্থাপন করেছে শুধু বাংলাদেশ নয় সু-দূর রেনগুন শহর পর্যন্ত ৷ তাঁকে বতর্মান সমাজের কাছে পরিচিত করা আমাদের দায়িত্ব ৷ ২১ শে ফেব্রুয়ারী মোয়াজ্জেম হোসেন খান স্মৃতি সংসদ আয়োজিত মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে খানবাড়ীর প্রাঙ্গনে আলোচনা সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে আধুনিক রাউজানের রূপকার, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি এ কথা বলেন ৷
তিনি তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখতে বাড়ীর সম্মুখে তোড়ন নির্মাণ করার ঘোষণা দেন ৷ এছাড়ও রাউজান আরআরএসি উচ্চ বিদ্যালের নব নির্মীত বিজ্ঞানাগার তাঁর নামে নামকরণ হবে বলে জানান ৷ প্রধান অতিথি একই সময়ে মোয়াজ্জেম হোসেন খান এর নামে একটি সড়ক উদ্বোধন করেন ৷
মোয়াজ্জেম হোসেন খান স্মৃতি সংসদের সভাপতি, বিসিসিআই এর সাবেক মহা ব্যবস্থাপক এম এ আজগ খান এর সভাপতিত্বে ও সাজ্জাদ খানের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন, কন্সালটেন্ট টু পি এম আইসিটি এন্ড পদ্মা সেতু ও মোয়াজ্জেম হোসেন খানের দৌহিত্র তৌহিদ নেওয়াজ সোহেল, বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশননের শিক্ষা কর্মকর্তা ও চট্টগ্রম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ইফতেখার খান ৷ অন্যান্যদের মেধ্য উপস্থিত ছিলেন ২নং ওর্য়াডে কমিশনার বশির উদ্দিন খান, বিশিষ্ঠ মূকাভিনয় নেতা রেজওয়ান রাজন, দক্ষিণ রাউজান ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল ও দক্ষিণ রাউজান পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ম্যালকম চক্রবর্তী প্রমুখ ৷
উল্লেখ্য মোয়াজ্জেম হোসেন খান চৌধুরী রাউজান সুলতানপুরের ঐতিহ্যবাহী খান পরিবারের সন্তান ৷ ১৮৮৩ সালের ১২ই জুলাই রাউজান থানার সুলতানপুর গ্রামের এক সম্বান্তা পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৷ তার পিতামহ এরাদদ খান চৌধুরী গহিরা মোবারক খান খীল গ্রামের খালদা খান চৌধুরীর অধঃস্থন পুরুষ ৷ ত্রিশের দশকে তত্কালীন ব্রিটিশ ভারতে চট্টগ্রামের পশ্চাদপদ মুসলমান সমাজে হাতেগোনা যে ক’জন মুসলমান উর্ধতন সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন খান চৌধুরী তাদের অন্যতম ৷ তিনি বার্মার (রেঙ্গুন) ডাক বিভাগে সিনিয়র এ্যাসিসটেন্ট পোস্ট মাস্টার জেনারেল ছিলেন ৷ তিনি দীর্ঘদিন যাবত্ জুরি বোর্ডের সদস্য পদেও দায়িত্ব পালন করেন ৷ রাউজান দারুল ইসলাম মাদ্রাসা, রাউজান আরআরএসি উচ্চ বিদ্যালয়, সুলতানপুর আরবান কো-অপারেটিভ সোসাইটি গঠনসহ বহু জনহিতকর কাজের মাধ্যমে তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন ৷ ১৯৬১ সালের ৭ই ডিসেম্বর দানবীর, সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী মহান এই ব্যক্তি রাউজান সুলতানপুরস্থ নিজ বাড়ীতে ইন্তেকাল করেন ৷ মৃত্যুকালে তিনি ৩ স্ত্রী, ১১ পুত্র, ৮ কন্যাসহ বহু আত্নীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে যান ৷ তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমুন আরা বিখ্যাত ব্যাকরনবিদ, সাহিত্যিক, বাংলা একাডেমীর প্রথম মহাপরিচালক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডঃ এনামুল হকের বোন ৷ তার পুত্র, পৌত্র, দৌহিত্র ও প্রপৌত্রদের মধ্যে অনেকেই সফলতার চুড়ায় আরোহন করেছেন ৷ তাদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, সিন্ডিকেট সদস্য ও পাকিস্তান পরিকল্পনা কমিশনের শিক্ষা বিভাগের সাবেক প্রধান কর্মকর্তা জনাব মসউদ খান, চার্টার্ড একাউন্টেন্ট আমানউল্লাহ খান, সাংবাদিক এনায়েতউল্লাহ খান, ব্যারিষ্টার সাইফুদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিষ্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, ডঃ শাহনেওয়াজ খান, ডঃ সেলিম উদ্দিন খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তৌহিদ নেওয়াজ ও মেজর নিশাত ফাতেমা নিপুন প্রমূখ উল্লেখ যোগ্য ৷