শনিবার ● ১২ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে গাইবান্ধার সরকারি কর্মকর্তাদের সমাবেশ
ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে গাইবান্ধার সরকারি কর্মকর্তাদের সমাবেশ
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: ‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান’ এই অঙ্গীকার নিয়ে কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে আজ শনিবার গাইবান্ধার সরকারি কর্মকর্তা ও বিচারক বিভাগের বিচারকবৃন্দের এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক, নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহমান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিউর আলম, সুন্দরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল মারুফ, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান খান, কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান, সমাজসেবা বিভাগের উপ-পরিচালক এমদাদুল হক প্রামানিক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান, জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজওয়ানুর রহমান, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান কবীর, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুদ দাইয়ান, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মেহেদুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসেন আলী, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক, জেলা তথ্য অফিসার হায়দার আলী, নেসকো-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদুল হক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক সাজেদুর রহমান, সাব-রেজিস্টার রুহুল কুদ্দুস, প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা আখতার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা কুষ্টিয়ায় জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাঙ্গার তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করেন এবং দুর্বৃত্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। বক্তারা আরও বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্যই আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ ও মানচিত্র পেয়েছি, তাঁর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্মই হতো না।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে সাম্প্রদায়িকগোষ্ঠী স্বাধীনতা বিরোধী জঙ্গি আলবদর রাজাকারদের দোসরদের একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই দুর্বৃত্তরাই ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে দেশকে অশান্ত করে অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে উন্নয়নমুখী বাংলাদেশের ভাবমুর্ত্তি বিনষ্টের চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।
গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সাতদিনব্যাপী উৎসবের সূচনা
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার অন্যতম প্রাচীন নাট্য প্রতিষ্ঠান গাইবান্ধার নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার ১১০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সপ্তাহব্যাপী উৎসব শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। সকালে উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও সংস্থার সভাপতি মো. আবদুল মতিন। এসময় জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম গোলাপ, সাধারণ স¤পাদক দেবাশীষ দাস দিপু, সহ-স¤পাদক অ্যাডভোকেট হানিফ বেলাল প্রমূখ। এ সময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সাংস্কৃতিক স¤পাদক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আফরোজা বেগম লুপু ও অন্যান্য সংগীত শিল্পীবৃন্দ।
উদ্বোধনী দিনে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল স্বেচ্ছায় রক্তদান ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবং সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৃত্যনাট্য শ্যামা পরিবেশনা। সাতদিনের উৎসবের মধ্যে রয়েছে আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক পরিবেশন, গুণীজন সম্মাননা ও পুরস্কার বিতরণ।
গাইবান্ধায় ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) জেলা সম্মেলন
গাইবান্ধা :: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) গাইবান্ধা জেলা সম্মেলন শনিবার স্থানীয় পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। কমরেড রেবতী বর্মনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড মোফাজ্জল হোসেন মঞ্জু।
সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমরেড গাজী আব্দুল হামিদ, গোলাম রফিকুল ইসলাম, আব্দুল হামিদ, সাইফুল ইসলাম, সাদেকুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বুর্জোয়া লেজুর বৃত্তি পরিহার করে মার্কসবাদী আদর্শে পার্টি গড়ে তোলা, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে, গণতন্ত্রের শত্রু, মানবতার শত্রু, মৌলবাদী জঙ্গি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে প্রতিহত করার আহবান জানান। দুর্নীতি লুটপাট বন্ধ করে চালসহ সকল দ্রব্যমূল্য কমিয়ে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে ফেলতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, কৃষককে রক্ষার জন্য বন্যার স্থায়ী সমাধান ও নদী ভাঙন বন্ধ করতে হবে, গ্রাম-শহরের গরীব মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করাসহ ধানের মূল্য ১ হাজার ২শ’ টাকা মণ নির্ধারণ করে প্রত্যেক কৃষকের কাছ থেকে ১৫০০ থেকে ২০০০ কেজি ধান ক্রয় করতে হবে। এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে এমবিবিএস ডাক্তার নিয়োগ দাও। রাস্তার দুইপাশে ফুটপাত নির্মাণ করার দাবি জানানো হয়। শেষে রেবর্তী বর্মনকে সভাপতি ও রফিকুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট গাইবান্ধা জেলা কমিটি গঠন করা হয়।