মঙ্গলবার ● ১৫ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » বিয়ের ফাঁদে ফেলে দেনমোহরের টাকা আদায়ে হয়রানির অভিযোগ
বিয়ের ফাঁদে ফেলে দেনমোহরের টাকা আদায়ে হয়রানির অভিযোগ
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: বিয়ের ফাঁদে ফেলে দেনমোহরের টাকা আদায়, প্রেমের নামে অপহরণ এবং মিথ্যা মামলায় হয়রানি করাকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন বলে অভিযোগে উঠেছে সদর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে শামছুন্নাহার বেগমের বিরুদ্ধে। ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের পরিকল্পিত ফাঁদে আটকে পড়া গাইবান্ধা পৌর এলাকার পলাশপাড়ার বাবু মিয়ার ছেলে জিহাদুল ইসলাম জনি। তিনি এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিকার দাবি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জিহাদুল উল্লেখ করেন, গত ১৪ ডিসেম্বর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত শামছুন্নাহার বেগম তারার সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, গাইবান্ধা বাস টার্মিনালে কাউন্টার মাস্টার হিসেবে টিকিট বিক্রির কাজ করা কালে ওই শামছুন্নাহার বেগম তারার ঢাকায় যাতায়াতের সূত্র ধরে তাদের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে সাভার ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে চাকুরিরত তারার সাথে ধর্ম ভাই-বোনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের মে মাসে তাকে সাভারের বাসায় দাওয়াত করে ডেকে নিয়ে গিয়ে বিয়ের ফাঁদে ফেলে চার লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের কাবিননামায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। পরে জানা যায়, শামছুন্নাহার বেগম একজন মাদকসেবী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী। ইতোপূর্বেও তিনি আরও তিনটি বিয়ে করেছেন। দ্বিতীয় স্বামী খাদেম উল্যাহকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে জোরপূর্বক বিয়ে করেন এবং দেনমোহরের টাকা আদায়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মূলত এই শামছুন্নাহার বেগম তারা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য হিসেবে বিভিন্নজনকে ফাঁদে ফেলে বিয়ের নামে হয়রানী করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।
সংবাদ সম্মেলনে জিহাদুল ইসলাম জনি আরও উল্লেখ করেন, জোরপূর্বক বিয়ের পর শামছুন্নাহারের সাথে সংসার করতে রাজি না হওয়ায় তিনি সাভার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও আমলী আদালতে যৌতুক মামলা দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে তার স্ত্রীর বড় বোন হাসনা বেগম উপস্থিত ছিলেন।