রবিবার ● ২০ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজান টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ ভবন পরিদর্শন : অতিরিক্ত সচিবের অসন্তোষ প্রকাশ
রাউজান টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ ভবন পরিদর্শন : অতিরিক্ত সচিবের অসন্তোষ প্রকাশ
ষ্টাফ রিপোর্টার :: চট্টগ্রামের রাউজানে নির্মাণাধীন টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শন করেছেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (অডিট ও আইন) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন। আজ ২০ ডিসেম্বর রবিবার বেলা ১২টায় তিনি শেষ পর্যায়ের থাকা একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে রাউজান টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ২০২১ শিক্ষাবর্ষের জেএসসি (ভোকেশনাল) ৬ষ্ঠ ও এস.এস.সি ভোকেশনাল নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির অবহিতকরণ ও উদ্বুদ্ধকরণ সভায় যোগদেন। রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগের সভাপতিত্বে এই অবিহিতকরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা প্রকৌশলী বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কাপ্তা’র অধ্যক্ষ মো. আবদুল মতিন হাওলাদার, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এ.ডি-১) মো. জাহেদুল কবির খান, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অতীশ দর্শী চাকমা, রাউজান সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মুহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোরশেদ, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস, চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান প্রিয়তোষ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, রাউজান সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রয়ারি। ১৭ কোটি ১৮ লক্ষ ১১ হাজার টাকা ব্যয়ে দেড় একর জমিতে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাডেমীক ভবন নির্মাণ হয়। ১৮ মাসের মধ্যে এর কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও এখন শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। চলতি অর্থবছরে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উদ্বোধনের কথা রয়েছে। পরিদর্শনে আসা কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (অডিট ও আইন) মো. বিল্লাল হোসেন ভবনে ব্যবহৃত নির্মান সামগ্রী দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। দরজার চৌপাটসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি কাজে গাফিলতির কথা উল্লেখ করেছেন। নির্মাণ কাজ ধীর গতি হয়েছে, শেষ মুহুর্তে তারাহুরা করতে গিয়ে ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দেন প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের। খবর নিয়ে জানা যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ পেয়েছিল মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। পরিদর্শনের সময়ে ওই প্রতিষ্ঠানের সর্ত্তাধিকারী সাইফুদ্দিন চৌধুরী সাবু উপস্থিত ছিলেন।