বৃহস্পতিবার ● ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » রেলপথ অবরোধ করে আখচাষী ও শ্রমিক-কর্মচারীদের মহিমাগঞ্জে অর্ধদিবস হরতাল পালিত
রেলপথ অবরোধ করে আখচাষী ও শ্রমিক-কর্মচারীদের মহিমাগঞ্জে অর্ধদিবস হরতাল পালিত
সাইফুল মিলন, ষ্টাফ রিপোর্টার :: গাইবান্ধার কৃষিভিত্তিক একমাত্র ভারিশিল্প কারখানা উপজেলার মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকলে আখ মাড়াই বন্ধ রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার মহিমাগঞ্জে অর্ধদিবস হরতাল পালিত হয়েছে। হরতাল চলাকালে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকাল থেকে এখানকার ব্যাংক-বীমা, দোকাটপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।
গোবিন্দগঞ্জ-মহিমাগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে হরতাল সমর্থকরা। এ কারণে ছোট-বড় কোন প্রকার যানবাহনই চলাচল করেনি। সকাল ১০টায় রংপুর চিনিকল এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মহিমাগঞ্জের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে মিছিলটি মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনে গেলে বিক্ষোভকারীরা রেল লাইনের উপর বসে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করে।
সমাবেশ চলাকালে সান্তাহার থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারীগামী ৭১৪নং আপ করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে মহিমাগঞ্জ স্টেশনের প্লাটফরমে ঢোকার আগেই বিক্ষোভকারীরা আটকে দেয়। একই কারণে পার্শবর্তী বোনারপাড়া স্টেশনে সান্তাহারগামী দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনটিও আটকা পড়ে।
গোবিন্দগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজির হোসেন, গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মেহেদী হাসান অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করেন। এছাড়া হরতালের সময় মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনে রেলওয়ে পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করে।
শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষীরা রেলপথ অবরোধ করে সমাবেশ চলাকালে বক্তব্য রাখেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি এমএ মতিন মোল্লা, রংপুর চিনিকল আখচাষী সমিতির সভাপতি জিন্নাত আলী প্রধান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আবু সুফিয়ান সুজা, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন ফটু প্রমূখ।
সমাবেশ শেষ হলে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি মহিমাগঞ্জ ত্যাগ করে। এদিকে মহিমাগঞ্জ স্টেশনে রেলপথ অবরুদ্ধ থাকায় পাশ^বর্তী বোনারপাড়া স্টেশনে সান্তাহারগামী আন্ত:নগর দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনটিও এক ঘন্টা আটকে থাকে। বেলা একটার পর হরতাল কর্মসূচি শেষ করা হয়।
গত শনিবার আখচাষি, শ্রমিক-কর্মচারী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সূধী সমাজের যৌথ সংবাদ সম্মেলন থেকে এ হরতাল কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়েছিল। চলতি আখ মাড়াই মৌসুম শুরুর পূর্ব মূহুর্তে এ চিনিকলসহ ৬টি চিনিকলে মাড়াই বন্ধের আকস্মিক ঘোষণায় এ মাসের প্রথম থেকেই ব্যাপক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছেন শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষীরা।