বৃহস্পতিবার ● ৩১ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করায় রাঙামাটিতে ২টি নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত
মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করায় রাঙামাটিতে ২টি নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত
ষ্টাফ রিপোর্টার :: রাঙামাটির সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু ও তাঁর কন্যা নাজনীন আনোয়ার দায়েরকৃত দুই অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাঙামাটির একটি আদালত। গতকাল বুধবার ৩০ ডিসেম্বর জেলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো. আসিফ এর আদালতে দীর্ঘ সময় ধরে শুনানী শেষে অভিযোগ দু’টির তদন্তের জন্য রাঙামাটি পুলিশের সদর সার্কেলের এএসপিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
স্থানীয় দুইটি নিউজ পোর্টালের সম্পাদক আপত্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে সাবেক সংসদ সদস্য এবং তার কন্যার সম্মানহানী ঘটিয়েছেন এমন অভিযোগ এনে গত ১২ ডিসেম্বর রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তারা দু’জন পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা নং-১৬৯/২০২০ ও ১৭০/২০২০ জেলার সিনিয়র আইনজীবি প্রতীম রায় পাম্পু এবং সরকার দলীয় সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু সিএইচটি মিডিয়াকে তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
অভিযোগকারীদের আইনী পরামর্শক এডভোকেট সৈয়দ ইমরান রাজ জানান, চলতির মাসের শুরুতে গত ১ ডিসেম্বর-২০২০ সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর কন্যা নাজনীন আনোয়ার রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ একে এম মামুনুর রশিদ’র ক্ষমতার অপব্যবহার ও সেচ্চাচারী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
এই সংবাদ সম্মেলনের পরই গত ৩ ডিসেম্বর ‘পাহাড় টুয়েন্টিফোর ডটকম’ এবং ‘আলোকিত রাঙ্গামাটি’ ফিরোজা বেগম চিনু তার কন্যা নাজনীন আনোয়ার এবং তাদের ব্যবসায়িক অংশিদার মো. হোসেনকে জড়িয়ে আপত্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে। পরে এই বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু এবং তার কন্যা নাজনীন আনোয়ার বাদি হয়ে ‘পাহাড় টুয়েন্টিফোর ডটকম’ এর সম্পাদক ও প্রকাশক ফজলে এলাহী এবং ‘আলোকিত রাঙ্গামাটি’ সম্পাদক ও প্রকাশক জাবেদ মো. নূরকে অভিযুক্ত করে ১২ ডিসেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
থানা এই অভিযোগ দু’টি সাধারন ডায়রী (জিডি) আকারে গ্রহণের পর ১৪ ডিসেম্বর অভিযোগের তদন্তের জন্য আদালতে অনুমতি প্রার্থনা করে। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ি গতকাল ৩০ ডিসেম্বর শুনানী শেষে আদালত আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
এডভোকেট সৈয়দ ইমরান রাজ সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর কন্যা নাজনীন আনোয়ার ও স্থানীয় ব্যবসায়ি মো. হোসেন যৌথ অংশিদার হয়ে রাঙামাটি ডিসি বাংলা পার্কে ভাড়া অনুমতি নিয়ে ‘পাইরেটস রেষ্টুরেন্ট’ একটি প্রতিষ্ঠান চালিয়ে আসছেন। সম্প্রতি ওই পার্কের লিজ দাতা ও গ্রহীতার মতবিরোধ মামলায় রূপ নিয়ে তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
এবিষয়ে ‘পাহাড় টুয়েন্টিফোর ডটকম’ এর সম্পাদক ও প্রকাশক ফজলে এলাহী সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, সাবেক সংসদ ফিরোজা বেগম চিনু এবং তার কন্যা নাজনীন আনোয়ার রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় আলাদা ভাবে ২টি সাধারন ডায়েরী করেছেন, কোতয়ালী থানা সাধারন ডায়েরী ২টি তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। রাঙামাটি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো. আসিফ এর আদালত দু’টির সাধারন ডায়েরী তদন্তের জন্য রাঙামাটির সদর সার্কেলের এএসপিকে নিদেশনা দিয়েছেন। সাধারন ডায়েরী দু’টিতে কেথাও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কথা উল্লেখ নাই।
এছাড়া এবিষয়ে ‘আলোকিত রাঙ্গামাটি’ এর সম্পাদক ও প্রকাশক জাবেদ মো. নুর সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় জনসাধারন, মসজিদের ইমাম, রাষ্ট্রিয় একটি গয়েন্দার সংস্থার প্রতিবেদন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেটদের তৈরী প্রতিবেদন ও ভ্রাম্যমান আদালতকর্তৃক পাইরেটস রেষ্টুরেন্টকে যে জরিমান করেছেন তার আলোকে আমাদের প্রতিবেদক সংবাদ প্রকাশ করেছেন। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।