মঙ্গলবার ● ৫ জানুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » সেতুতে টোল আদায় বন্ধের দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন
সেতুতে টোল আদায় বন্ধের দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার :: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কৃষিপণ্য পরিবহন, হালকা যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত বড়দহ সেতুতে আরোপিত টোল বন্ধের দাবিতে ৫ জানুয়ারী মঙ্গলবার এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সেতু অবরোধ করে এসব কর্মসূচি পালন করে।
বড়দহ সেতু টোল মওকুফ ও মহাসড়ক বাস্তবায়ন কমিটি আয়োজিত এই কর্মসূচিতে এলাকার বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ স্বত:স্ফুর্তভাবে অংশ নেন। এই দাবি বাস্তবায়িত না হলে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে সড়ক অবরোধসহ লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচির ঘোষনা দেয়া হয়। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই, হরিরামপুর ও রাখালবুরুজ ইউনিয়নের নদী ভাঙন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষেরা কৃষি পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য হালকা যানবাহনে এই সেতুর উপর দিয়ে পারাপার করে। এছাড়া গাইবান্ধা জেলাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থে হালকা যানবাহন চলাচলে এই সেতু ব্যবহার করে থাকে। এতে সেতু পারাপারে টোল ধার্য করা হলে এ সমস্ত দরিদ্র কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা চরম দুর্ভোগের কবলে পড়বে। সেজন্য এই সেতুতে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে কোনো টোল না আদায় করার দাবি জানান তারা।
এব্যাপারে গাইবান্ধা-৫ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সরকার সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে এই সেতুতে কোনো টোল ধার্য না করার জন্য ইতোমধ্যে একটি ডিও লেটারও প্রদান করেছেন।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন বড়দহ সেতু টোল মওকুফ ও মহাসড়ক বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন বিপ্লব, হরিরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা সাইফুল ইসলাম, স্থানীয় সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম রফিক, শাহীন ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পশ্চিম দিকে ৪ কি.মি. দুরে একই নদীর উপর নির্মিত বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ কাটাখালী এবং পূর্বে ২ কি.মি. দূরে ওই নদীর উপরেই সাঘাটা-গোবিন্দগঞ্জ সংযোগকারী ত্রিমোহনী সেতুতে কোন টোল নেয়া হয় না। অথচ একই ধরণের এই সেতুতে এতদাঞ্চলের জনগণের দীর্ঘদিনের দাবিকে উপেক্ষা করেও ৭ জানুয়ারী থেকে উচ্চ হারে টোল ধার্য করা হচ্ছে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বীরঙ্গনার পাশে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র সর্দারপাড়া গ্রামে ৫ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকালে ৭০ বছর বয়সী অসুস্থ বীরঙ্গনা জোহরা বেগমকে দেখতে ফুল ও ফলের ঝুঁড়ি নিয়ে তাঁর বাসভবনে উপস্থিত হন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন। তিনি ওই বীরঙ্গনার খোঁজ-খবর নেন। এ সময় তিনি তাকে নগদ আর্থিক সহযোগিতা, চাল ও কম্বলও প্রদান করেন ।
জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেসব অসহায় বীরঙ্গনা বা মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন তাদেরকে সহযোগিতা প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন চেষ্টা করছে অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের খুজে বের করে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা। বীরঙ্গনা জোহরা বেগম-এর বাড়ির সামনের সড়কটি তাঁর নামে নামকরণ করার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাকিল আহমেদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল, সর্বানন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুর রহমানসহ সাংবাদিক, রাজনীতিক ও স্থানীয় সুধীবৃন্দ।