শুক্রবার ● ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » ধর্ম » বিশ্বনাথে মুসলিম সূন্নি জনতার আলেমদের সংবাদ সম্মেলন
বিশ্বনাথে মুসলিম সূন্নি জনতার আলেমদের সংবাদ সম্মেলন
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে কওমি পন্থী আলেমদের সংবাদ সম্মেলনের জবাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুসলিম সূন্নি জনতার আলেমরা৷ ২৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সূন্নি জনতার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাওলানা হাবিবুর রহমান৷
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিশ্বনাথে মিলাদ-কিয়াম নিয়ে বাহাছঃ শেষ পযন্ত দেখা মিলেনি ওহাবীদের’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি শতভাগ সত্য৷ ওহাবী মতবাদ যে একটি বাতিল মতবাদ, তা ইসলামের ইতিহাসে সর্বজন স্বীকৃত৷ সংবাদ প্রকাশের কারণে তাদের (কওমি পন্থী) গাত্রদাহ সৃষ্টি হওয়ায় তারা নিজেরাই নিজেদের ওহাবী বলে মেনে নিলেন৷ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বাগিছা বাজারে কোন বাহাছ ছিলনা যে অপপ্রচার চালিয়ে ছিলেন, তা তাদের (কওমি) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত হয়েছে৷ কওমি পন্থীরা গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আল-বালাগ তাফসিরুল কোরআন পরিষদ’র মাহফিলে তারাই বাহাছের ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং বাহাছের জন্য থানায় অনুমতিও চেয়েছিলেন৷ এরপর ১৮ ফেব্রম্নয়ারি রাতে তৌহিদি জনতার উদ্যোগে, দেওবন্দি উলামায়ে কিরামের পক্ষে মাইকিংও করা হয়৷ যদিও তাদের সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন ‘বাগিছা বাজার সংলগ্ন মাঠে ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকালে ঈমান আকিদা বিনষ্টকারী এবং সমাজে চরম উত্তেজনা ও হানাহানি অপপ্রচারের বিরুদ্ধে এক জরুরী প্রতিবাদ সভার আহবান করা হয়৷’ কিন্তু তাদের এ বক্তব্য ও মাইকিংয়ের ঘোষণার সাথে যে আকাশ পাতাল ব্যবধান, তা মাইকিংয়ের ঘোষণা শুনেছেন এমন হাজার হাজার মানুষই তার জলন্ত স্বাক্ষী ৷ তবে, এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হলো, বাহাছের তারিখ দিয়ে মাইকিং করে যথা সময়ে যথা স্থানে উপস্থিত হতে না পারলে মধ্যস্ততায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের কাছেতো অপারগতার কারণ সম্বলিত সংবাদ পৌছানো উচিত ছিলো৷ তা না করে ঘটনার ৩ দিন পর সংবাদ সম্মেলন করে যে কোন অজুহাত উপস্থাপন কি অনুপস্থিতির উপযুক্ত জবাব হতে পারে? তাছাড়া ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বাগিছা বাজার সংলগ্ন মাঠে উপস্থিতির মাইকিং করে বাগিছা বাজারে জড়ো না হয়ে এই তারিখে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে ময়নাগঞ্জ বাজারে পরামর্শ সভার জন্য জামায়েত হওয়ার কি যৌক্তিকতা থাকতে পারে?
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, তাফসিরের নামে এ অমূলক ওয়াজের মাধ্যমে বাড়াবাড়ি করে শান্তি প্রিয় মুসলিম জনতার মাঝে অশান্তি সৃষ্টির পায়তারা করা হয়েছে৷ আমাদের সন্দেহ, মুসলমানদের মাঝে বিশৃংখলা সৃষ্টির জন্য এটা লা-মাযহাবি, সলফী কিংবা আইএস এর পরিকল্পিত কোন ষড়যন্ত্রের অংশ কি না? তা সকলের ভেবে দেখা দরকার৷ পূণরায় যদি তাদের (কওমি পন্থী) বাহাছ করার ইচ্ছা জাগে তাহলে তাদের উপস্থাপিত নীতিমালা অনুযায়ী বাহাছের মাধ্যমে সমুচিত জবাব দেয়ার জন্য বিগত দিনের মত তারাও অপেক্ষায় থাকবেন বলে লিখিত বক্তব্যে হাবিবুর রহমান বলেন৷
এসময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা লুত্ফুর রহমান, মাওলানা মঞ্জুর আহমদ, রফীকুল ইসলাম মুবীন, আলী্ আনহার শাহান, ফয়জুল ইসলাম. মাওলানা আখতার আলী, আকমল হোসেন শাকুর, ফয়জুল ইসলাম ফয়েজ, নুরুল ইসলাম, আবদুর রহিম শিকদার, মালেক মিয়া, সাইফুল আলম, সমছু মিয়া প্রমুখ৷