বুধবার ● ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » কালীগঞ্জে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে ঝাড়ু প্রদর্শন
কালীগঞ্জে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে ঝাড়ু প্রদর্শন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ড ঘটিয়ে সংবাদ শিরোনামে পরিণত হচ্ছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা শিরিন লুবনা। করোনার টাকা নয়ছয় ও ভুয়া বিল ভাউচার তৈরীর পর এবার কালীগঞ্জ ক্রীড়া ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান লাড্ডুর সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও তাকে অপমান করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সেখানকার সকল শ্রেনী পেশার মানুষ। ডা. শামীমা শিরিন লুবনার অপসারণের দাবিতে আজ বুধবার মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছে। এ সময় ওই কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবিতে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। বুধবার সকাল ১০ টার দিকে শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডে ঘন্টাব্যাপী মানবন্ধনের আয়োজন করে কালীগঞ্জ ক্রীড়া ফেডারেশন। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা মিছিলে ঝাড়ু ও জুতা প্রদর্শন করেন। কালীগঞ্জ ক্রীড়া ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অজিৎ কুমার ভট্টাচার্য্যরে সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ, প্রেসক্লাবের সভাপতি জামির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাবজাল হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা আব্দুল জলিল, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আজাদ রহমান, সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শিবুপদ বিশ্বাস, সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় রাবুল হোসেন ও যুগান্তরের শাহরিয়ার আলম সোহাগ প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীমা শিরিন লুবনার দুর্ব্যবহারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। তিনি সবার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। আগামী ৭ দিনের মধ্যে এই কর্মকর্তাকে খুলনা বিভাগের বাইরে অপসারণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহন করা হবে বলে হুসিয়ারী উচ্চারণ করা হয়।
ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টাস ইউনিটে ১৪৪ ধারা জারি
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টাস ইউনিটের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ঝিনাইদহ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালত। ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টাস ইউনিটের সভাপতি আব্দুস সামাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। বুধবার আদালতের দেওয়া কার্যবিধির ১৪৪ ধারা মতে পুলিশ নোটিশ দিয়ে বিবাদী পক্ষের জিল্লুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম মল্লিক, এটিএম ওহেদুজ্জামান, সাহিদুল এনাম পল্লব, মাহবুবুর রহমান, শাহিদুর রহমান সন্টু, ওমর আলী সোহাগ ও মেহেদী হাসান কনকসহ ১৪/১৫ জনকে রিপোর্টাস ইউনিটের নামে কার্যক্রম পরিচালনা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা জারি করেন। এদিকে জেলা রিপোর্টাস ইউনিটের নির্বাচন নিয়ে চারিদিকে যখন সাজসাজ রব, প্রচার প্রচারণা যখন তুঙ্গে তখন এধরণের নিষেধাজ্ঞা সবাইকে হতভম্ব করেছে। আদালতে দাখিল করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, আব্দুস সামাদ জেলা রিপোর্টাস ইউনিটের সভাপতি। কিন্তু একই নামে আরেকটি সংগঠন খুলে বাদীর সুনাম ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। একই নামে দুইটি সংগঠন করা অধিকার নেই বিবাদীগনের। গত ১৩ ফেব্রয়ারি বিবাদীগন বাদীর অফিসে গিয়ে হুমকী প্রদান করেন এবং খুন যখমের হুমকী দেন। বাদী আব্দুস সামাদ শান্তি শৃংখলা রক্ষায় শোকজ ও ১৪৪ ধারা জারির আর্জি করেন। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ ফাড়ির এসআই খায়রুজ্জামান বলেন, ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টাস ইউনিটের সকল প্রকার কার্যক্রমে কার্যবিধির ১৪৪ ধারা মতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আদালতের পরবর্তী ধার্য্য তারিখে বিবাদীগন হাজির হয়ে ব্যাখা প্রদান ও অভিযোগটি নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টাস ইউনিটের নামে ঘর খুলে কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। তিনি বলেন কেও ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টাস ইউনিটের নামে ঘর খুলে কাযক্রম পরিচালনা করার চেষ্টা করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ঝিনাইদহে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
ঝিনাইদহ :: রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীরউত্তম খেতাব বাতিলের সিন্ধান্তের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার সকালে শহরের এইচএসএস সড়কের জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সামনে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে দলটির জেলা শাখা। এতে জেলা বিএনপি আহ্বায়ক এ্যাড. এস এম মশিউর রহমান, সদস্য সচিব এ্যাড.এম এ মজিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুজ্জামান মনা, আখতারুজ্জামান, সদস্য আলাউল হক আলা, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান শেখর, থানা বিএনপির সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিন্টু ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন শহীদ জিয়াউর রহমানের বীরউত্তম খেতাব বাতিলের সিন্ধান্ত নিলে তার পরিণতি ভাল হবে না। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন ট্রেনিং ক্যাম্পে আ’লীগ নেতারা যখন আরাম আয়েশে ফুর্তি করে বেড়াচ্ছিল তখন জিয়া স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে হতাশাগ্রস্থ জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিল। বক্তাগন ঢাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর পুলিশি হামলার নিন্দা জানান।
হরিণাকুন্ডুতে বাসের ধাক্কায় কুরিয়ার
সার্ভিসের কর্মী নিহত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে বাসের ধাক্কায় রাহুল হোসেন রাতুল (২২) নামের রেডেক্স কুরিয়ার সার্ভিসের এক কর্মী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রান্ত নামের আরও একজন। বুধবার সকালে হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া বটতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রাতুল ওই উপজেলার রতিডাঙ্গা গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে। আহত প্রান্ত একই উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের জয়দেব কুমারের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, সকালে হতাহতরা মোটর সাইকেল যোগে হরিণাকুন্ডু থেকে ঝিনাইদহে যাচ্ছিল। কাপাশহাটিয়া বটতলায় পৌছালে পেছন দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস মোটর সাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে রাতুল ও প্রান্ত গুরুতর আহত হয়। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাতুলকে মৃত ঘোষনা করেন। আহত প্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হরিনাকুন্ডু থানার আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বাসটি আটক করা হয়েছে তবে চালক পলাতক রয়েছে।
বিনা টেন্ডারে শৈলকুপায় রাস্তার দুই পাশের গাছ কেটে কেটে সাবাড় করল দুর্বৃত্তরা
ঝিনাইদহ :: কোন প্রকার টেন্ডার বা কোটেশন ছাড়াই রাস্তার দুই পাশের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। দশ দিন ধরে প্রকাশ্যে রাস্তার গাছ কেটে বিক্রি করা হলেও শৈলকুপার প্রশাসন নির্বিকার বলে অভিযোগ উঠেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যেন ‘সরকারী মাল, দরিয়ামে ঢাল’ অবস্থা। গ্রামবাসির ভাষ্যমতে দশ দিনে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই দৃশ্য ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের বাগুটিয়া গ্রামের রায়পাড়ার। সরেজমিন দেখা গেছে, বকশিপুর থেকে একটি কাঁচা সড়ক নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের বাগুটিয়ার ভেতর দিয়ে গেছে। এই সড়কের দু’ধার দিয়ে রয়েছে মেহগনী, কড়াইসহ বহু মূল্যবান গাছ। বাগুটিয়া রায়পাড়া অংশের বেশিরভাগ গাছ বিক্রি করেছে হটিফাজিলপুর গ্রামের শফিকুল নামের এক ব্যাক্তি। তার কাছ থেকে ওই গাছ কিনেছে হাটফাজিলপুরের ইটভাটা মালিক মানিক মোল্লা। মেহগনী ও কড়াই গাছগুলি কেটে নেয়া হচ্ছে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সদস্য আমজাদ মোল্লার ইট ভাটাতে। গাছ ক্রেতা মানিক মোল্লা জেলা পরিষদ সদস্য আমজাদ মোল্লার ভাই। গাছ কাটা শ্রমিক নজরুল ইসলাম ও আমির হোসেন জানান, হাটফাজিলপুরের শফিকুল তাদের এই গাছ কাটতে বলেছে। গাছ টানার কাজে নিয়োজিত পরিবহন শ্রমিক বাদশা মিয়া জানান, হাটফাজিলপুরের আমজাদ মোল্লার ইট ভাটাতে এ সব গাছ রাখা হচ্ছে। পথচারী কাজল মন্ডল অভিযেগি করেন কয়েকদিন ধরে এসব সরকারী গাছ কাটা হলেও কেও বাধা দিচ্ছে না। গাছ ক্রেতা মানিক মোল্লা জানান, শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে আমি ৭০ হাজার টাকা দিয়ে এ সব গাছ কিনে নিয়েছি। ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সদস্য আমজাদ হোসেন মোল্লা জানান, আমি তো গাছ কাটার বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি জেনে আপনাকে জানাবো। সরকারী গাছ বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানান, রাস্তা সরকারী হলেও রাস্তার পাশের জায়গা আমাদের। গাছগুলো আমরাই লাগিয়েছি। শৈলকুপা এলজিইডি অফিসের ইঞ্জিনিয়র রওশন হাবিব জানান, এ সব রাস্তার গাছ রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব ইউনিয়ন ভুমি অফিসের। ফলে গাছ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া না নেয়া তাদের ব্যাপার। স্থানীয় নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জানান, রাস্তা কাদের তা তিনি জানেন না, তবে চুরি করে গাছ কাটা হচ্ছে। শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা জানান, রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের হলে সে তা বাস্তবে কতটুকু তা দেখতে হবে। তিনি বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তিনি রিপোর্ট দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।