মঙ্গলবার ● ২৩ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মাস্ক না পরায় বিশ্বনাথে ১১জনকে জরিমানা
মাস্ক না পরায় বিশ্বনাথে ১১জনকে জরিমানা
স্টাফ রিপোর্টার :: বিশ্বনাথ উপজেলায় মাস্ক না পরায় ১১ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ মঙ্গলবার বেলা ২টায় দিকে সদরের বাসিয়া সেতুর উপর এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সরকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান।
এ সময় ওই এলাকায় মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করার ও মাস্ক না পরে যানবাহন চালানোর অপরাধে ১১ জনকে জরিমানা করেন। ১১টি মামলায় ওই ব্যক্তিদের কাছ থেকে ২ হাজার ৫শ টাকা আদায় করা হয়। ঘন্টাব্যাপী এই অভিযানের পাশাপাশি পথচারীদের মাঝে বিনামূল্যে মাস্কও বিতরণ করা হয়। অভিযানের এর আগে উপজেলার পনাউল্লাহবাজারের দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেও ভোক্তা অধিকার আইনে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মো. কামরুজ্জামান বলেন, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের পাশাপাশি মাস্ক’র ব্যবহার নিশ্চিত করতে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করছি আমরা। মাস্ক নিয়ে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিশ্বনাথে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত ৬
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৬ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের ওয়ারিছ আলীর বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হলেন- শ্রীধরপুর গ্রামের ওয়ারিছ আলী (৭০), তার স্ত্রী দিলারা বেগম (৬০), পুত্র মঈনুল ইসলাম (২৬), ফয়সল আহমদ (২৩), মৃত সিতাব আলীর পুত্র নাঈম আহমদ (১৭) ও আনছার আলীর পুত্র কামরান মিয়া (২২)। তাদের মধ্যে আগুনে দগ্ধ মঈনুল ইসলাম, ফয়সল আহমদ ও দিলারা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ওয়ারিছ আলীর প্রতিবেশী মকসুদ খান ও মো. শাহিন জানান, সোমবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টার দিকে ওয়ারিছ আলীর বাড়ির রান্নাঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের পাশেই লাকড়ির চুলায় ঘরের মহিলারা রান্না শুরু করেন তখন তারা বুঝতে পারেন গ্যাসের সিলিন্ডার হতে গ্যাস লিক হচ্ছে। এসময় তারা পানি দিয়ে লাকড়ির চুলার আগুন নেবানোর চেষ্টা করলে ওই চুলা থেকে আগুনের ফুলকি ছিটকে পড়ে পাশে রাখা গ্যাস সিলিন্ডারের উপর। তখনই সিলিন্ডারটি বিস্ফোরণ হয়। এতে দগ্ধ হন মঈনুল, ফয়সল ও তাদের মা দিলারা বেগম। এসময় বিস্ফোরণের আগুনে পুড়ে যায় ফ্রিজসহ রান্নাঘরে রাখা সকল আসবাবপত্র। দগ্ধ তিন জনকে উদ্ধার ও আগুণ নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে আহত হন মঈনুলের পিতা ওয়ারিছ আলী, চাচাতো ভাই নাঈম আহমদ ও ভাতিজা কামরান মিয়া।
স্থানীয় লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুত্বর আহত মঈনুল ইসলাম, ফয়সল আহমদ ও তাদের মা দিলারা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত ১টা দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং অপর আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেন।
বিশ্বনাথে পুলিশের মাস্ক বিতরণ
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে পুলিশের মাস্ক বিতরণ ‘মাস্ক পরার অভ্যাস, করোনামুক্ত বাংলাদেশ’- এই স্লোগানে সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুলিশের উদ্যোগে জনসাধারণের মধ্যে মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ধাপ মোকাবিলায় গত কাল সোমবার বিকেল ৪টায় বিশ্বনাথ নতুনবাজারে পথচারী জনসাধারণকে মাস্ক পরিয়ে দেয় থানা পুলিশ।
প্রথম দিনে প্রায় ৫শ জনকে পরিয়ে দেয়া হয় ফ্রি মাস্ক। এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে জানিয়ে, বিতরণকালে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ শামীম মূসা বলেন, মাস্ক ভ্যাকসিনের চেয়েও কার্যকর।
করোনা মোকাবিলায় মাস্ক পরার কোন বিকল্প নেই। ঘরের বাহিরে গেলে অবশ্যই সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।
এসময় বিশ্বনাথ থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তীসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপসিস্থত ছিলেন।
বিশ্বনাথে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগে বাদীকে গ্রেফতার
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় আব্দুল মালিক নামের এক বাদীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তার বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের চৈতন নগর গ্রামে। পিতার নাম মৃত আব্দুল হামিদ। তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছিলেন। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একই গ্রামের ইবরাহীম আহমদ।
সুত্র জানায়, প্রায় দুই বছর পূর্বে আব্দুল মালিক তার শিশু পুত্র জুবায়ের আহমদ কে নির্যাতন করা হয়েছে মর্মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চৈতন্যনগর গ্রামের ইব্রাহিম আলীকে একমাত্র আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করা হয়। মামলার এক মাত্র আসামী ইব্রাহিম আহমদ সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে বাদী সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা গ্রহণের আবেদন করেন।
মাননীয় আদালত শোনানী শেষে আব্দুল মালিকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০এর ১৭ ধারায় অভিযোগ আমলে নিয়ে বাদী আব্দুল মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।
গত ১৯ মার্চ শুক্রবার সিলেট র্যাবের একটি দল নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা মুলে তার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে বিশ্বনাথ থানায় হস্তান্তর করে এবং থানা পুলিশ তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। আব্দুল মালিক চাউল ধনী হাওয়র আন্দোলনের কৃষক দয়াল হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামী বলে জানা গেছে।
খেলাধুলা সমাজে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করে - বিশ্বনাথে এমপি মোকাব্বির খান
বিশ্বনাথ :: সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা মোকাব্বির খান বলেছেন, খেলাধুলা সমাজে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করে। ছাত্র-যুব সমাজকে অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখে। খেলাধুলা মানুষের শরীর গঠনে গূরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুন্দর, শান্তির ও সুনির্মল জীবন উপহার দিতে হলে নিজেদের অবস্থান থেকে খেলাধুলার পৃষ্টপোষকতায় এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি সোমবার বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের মাঠে ‘অগ্রণী যুব সংঘ টেংরা’ কর্তৃক আয়োজিত ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অতিথির বক্তব্যে এসব কথাগুলো বলেন। ফাইনাল খেলায় ট্রাইব্রেকারে মুফতিরগাঁও স্পোটিং ক্লাব (মুফতিরগাঁও) ৪-৩ গোলের ব্যবধানে এলিড স্টার কমপ্লেক্স (রামধানা)’কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। খেলায় ম্যান অব দ্যা ফাইনাল নির্বাচিত হয়েছেন মুফতিরগাঁও স্পোটিং ক্লাবের গোলরক্ষন আব্দুর রাজ্জাক।
অলংকারী ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আজম আলীর সভাপতিত্বে এবং ছাত্রলীগ নেতা কামরুল ইসলাম ও ধারাভাষ্যকার একেএম তুহেমের যৌথ পরিচালনায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ শামীম মুসা, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্যাশ শাখার উপ-ব্যবস্থাপক আল-জাহান।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, যুগ্ম সম্পাদক এমদাদুর রহমান মিলাদ, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সিতার মিয়া, অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল গণি চৌধুরী মিনহাজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রফিক আলী, উপজেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জুয়েল, সহ সভাপতি আক্তার হোসেন, ক্রীড়া সংগঠক ফারুক আহমদ ফিরুজ, শহিদ আহমদ, ব্যবসায়ী জাহিদ খান, যুবদল নেতা আলাল আহম, ছাত্রদল নেতা ইমরান আহমদ সুমন, টুর্ণামেন্ট আয়োজক কমিটির সাবেক সভাপতি আহমদ আলী, সংগঠক আব্দুস ছালাম, জাকির হোসেন মামুন প্রমুখ।
বিশ্বনাথে সায়মন খুনের ঘটনায় মামলা
বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথ পৌর এলাকার বিশ্বনাথ-জানাইয়া খেলার মাঠে যাওয়ার পথিমধ্যে শুকুর আলীর বাসা সংলগ্ন স্থানে গত ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছুরিকাঘাতে তরুণ ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন সায়মন (২৫) খুন হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই ময়নুল ইসলাম সুমন বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলা নং ২৭ (তাং ২২.০৩.২১)।
ছিনতাই করার জন্য নয়, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ীই ইমরান হোসেন সায়মনকে খুন করা হয়েছে মর্মে বাদী তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। মামলার অভিযুক্তরা হলেন-পৌর শহরের উত্তর মশুল্ল্যা (জানাইয়া) গ্রামের মনোহর আলীর পুত্র এনাম উদ্দিন (২৩), মোস্তাব আলীর পুত্র তাহিদ আলী (২৪), আব্দুল মছব্বিরের পুত্র আফজাল হোসেন লায়েক (১৯), মৃত তাহির উল্লার পুত্র ফয়েজ আহমদ (২৪) ও দক্ষিণ মশুল্ল্যা (জানাইয়া) গ্রামের তোরাব আলীর পুত্র তারেক আহমদ (২১)।
ঘটনার পর পরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত লায়েক, ফয়েজ ও তারেককে আটক করে থানা পুলিশ। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলে ওই তিন জনকে সে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।
লিখিত এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, একই গ্রামে বাড়ি হওয়ার কারণে বাদীর ছোট ভাই ইমরান হোসেন সায়মনের সাথে চলাফেরা করার কারণে গ্রেপ্তারকৃত লায়েক, ফয়েজ ও তারেক তাদের বাড়িতে এবং নিহতের মুদির দোকানে আসা যাওয়া করত। মামলার প্রধান দুই অভিযুক্ত এনাম-তাহিদও বাদীর ভাইয়ের দোকানে আসা-যাওয়া ও বাজার-সদাই নিত। তবে অভিযুক্ত এনাম-তাহিদের সাথে গ্রেপ্তারকৃত লায়েক-ফয়েজ-তারেকদের ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিলো ও তাহারা এক সাথে চলাফেরা করত। অভিযুক্ত এনাম-তাহিদ চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার কারণে বাদীর নিহত ভাই তাদেরকে (এনাম-তাহিদ) বাঁধা নিষেধ দিতেন। এনিয়ে তাদের (এনাম-তাহিদ) সাথে বাদীর নিহত ছোট ভাই ইমরান হোসেন সায়মনের মাঝে মধ্যে কথাকাটাকাটি হতো।
এনিয়ে অভিযুক্তরা বাদীর ভাইয়ের উপর ক্ষিপ্ত ছিলো। এর জের ধরে মামলার প্রধান দুই অভিযুক্ত এনাম-তাহিদ তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু লায়েক-ফয়েজ-তারেকদের সাথে পরাপর্শ করে বাদী ভাই সায়মনকে শায়েস্তা করার জন্য পরিকল্পনা করেন। আর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০ মার্চ সন্ধ্যার পর গ্রেপ্তারকৃত লায়েক, ফয়েজ ও তারেক বাদীর ছোট ভাই সায়মনকে বিশ্বনাথ সদরে নিয়ে আসে এবং একটি রেষ্টুরেন্টে এক সাথে চারজন হালিম খায়। হালিম খেয়ে তারা এক সাথে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেখে উপজেলা পরিষদ পয়েন্টে জামাল উদ্দিনের দোকানে এক সাথে চার (লায়েক, ফয়েজ, তারেক, সায়মন) জন পান-সুপারী খায়। পান-সুপারী খেয়ে রিক্সাযোগে বাড়ি যাওয়ার কথা থাকলেও গ্রেপ্তারকৃত লায়েক-ফয়েজ-তারেক বাদীর ভাই সায়মনকে উপজেলা পরিষদের মসজিদের সামন থেকে কাঁচা রাস্তা দিয়ে শুকুর আলীর বাসার দিকে নিয়ে যায়। কারণ তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযুক্ত এনাম-তাহিদ ঘটনাস্থলের আশপাশে অপেক্ষমান ছিলো।
ঘটনাস্থলে ঘটনার সময় পৌঁছা মাত্র বাদীর ভাইয়ের সাথে প্রধান দুই অভিযুক্ত এনাম-তাহিদ বাদীর ভাই সায়মনকে দাড় করিয়ে নারী সংক্রান্ত ও তাদের কর্মকান্ড নিয়ে তার (সায়মন) সাথে তর্কাতর্কি শুরু করে। তাদের তর্কাতর্কির সময় সায়মনকে কোন সহযোগীতা না করে গ্রেপ্তারকৃত লায়েক-ফয়েজ-তারেক নিরব ভ‚মিকা পালন করে। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে এনাম-তাহিদের সাথে বাদীর ভাই সায়মনের হাতাহাতি শুরু হলে গ্রেপ্তারকৃত লায়েক-ফয়েজ-তারেক অভিযুক্ত এনাম-তাহিদকে সাহায্য করতে জোরপূর্বক সায়মনের হাত-পা-মুখ চেপে ধরে রাখে আর এসময় মামলার প্রধান অভিযুক্ত এনাম নিজের কাছে থাকা চাকু দিয়ে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বাদীর ভাই ইমরান হোসেন সায়মনের বুকের বামপাশের স্বজোরে ঘাই মারে। এরপর সায়মনের মৃত্যু নিশ্চিত করে অভিযুক্তদের ৩ জন (এনাম-লায়েক-তারেক) ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এবং অপর ২ জন (তাহিদ-ফয়েজ) হত্যার ঘটনাটি ভিন্নখ্যাতে প্রবাহিত করার জন্য ছিনতাইয়ের নাটক সাজানোর চেষ্টা করে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের ও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ শামীম মুসা বলেন, মামলার প্রধান দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিশ্বনাথে বাউসী-কাশিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতিবাদ সভা
বিশ্বনাথ :: প্রায় ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে চার তলা বিশিস্ট নতুন একাডেমিক ভবন নির্মানের জন্য নির্ধারিত স্থানে থাকা গাছকাটা থেকে শুরু করে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাউসী-কাশিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত অপপ্রচারের প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর ব্যানারে প্রতিবাদ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজন সরকার। তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফ্যাসলিটিজ ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে আসা ৪তলা ভবনের লে-আউট করার জন্য গত ২৫ ফেব্রুয়ারী সিলেট থেকে সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার আসেন। তবে ভবন নির্মাণের নির্ধারিত স্থানে কিছু গাছ, একটি পুরাতন ভবন ও একটি শ্রেণী কক্ষ পরে। জায়গা খালি না থাকায় ভবনের লে-আউট করা সম্ভব হয়নি। কাজ শুরুর জন্য তাই উনারা যত দ্রæত সম্ভব জায়গা খালি করে দেওয়ার কথা বলেন। সামনে বর্ষা মৌসুম আসছে বিধায় দ্রæত কাজ শুরু করতে হবে। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে ঐ দিনই (২৫ ফেব্রুয়ারী) অনুষ্ঠিত ম্যানেজিং কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক নতুন ভবন নির্মানের স্থানে থাকা ছোট ও মাঝারী আকারের ১৩টি গাছ স্থানীয়ভাবে বিক্রি করার ও পুরাতণ ভবন প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করার জন্য একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারী স্থানীয়ভাবে নগদ ৩০ হাজার টাকা মূল্যে গাছগুলো বিক্রি করে ঐদিনই স্থানীয় পীরেরবাজারস্থ সোনালী ব্যাংকে থাকা বিদ্যালয়ের নামীয় একাউন্টে জমা রাখা হয় এবং ১-৪ মার্চ গাছগুলো কাটা হয়। ৬ মার্চ পুরাতন ভবন নিলামের পর প্রাপ্ত ২১ হাজার টাকাও ঐদিনই ব্যাংকে জমা রাখা হয়। সকল বিধি অনুসরণ করে শতভাগ সচ্ছতার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থের জন্য গাছগুলো বিক্রি করে প্রাপ্ত টাকা বিদ্যালয়ের একাউন্টে রাখার পরও একটি কুচক্রীমহল গাছগুলো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে মর্মে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অথচ গাছ বিক্রি করার সকল বৈধ কাগজপত্র (টাকা জমার রশিদ ও রেজুলেশন) বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত আছে। যে কেই যে কোন সময় তা যাচাই-বাচাই করতে পারেন। সেই অভিযোগের তদন্ত চলাকালে তদন্তকারী কর্মকর্তার সামনে বিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে বিক্রি করা গাছের সকল বৈধ কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। এমনকি তদন্ত কাজ চলাকালে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে উপস্থিত সকলের সামনে মোবাইলে অভিযোগকারীকে বিদ্যালয়ে এসে তদন্তে সহযোগীতা করার কথা বলেন। তখন সেই অভিযোগকারী তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানান তিনি এ অভিযোগ দেননি, তাই কোন সহযোগীতাও করতে পারবেন না। এতেই প্রমাণ হয় অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
এরপরও বিদ্যালয়কে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার অব্যাহত রয়েছে। যা অত্যান্ত দুঃখজনক। বিদ্যালয়ের চলমান এডহক কমিটির মেয়াদ গত ১৩ মার্চ শেষ হওয়ায় দ্বিতীয় মেয়াদে এডহক কমিটি করার জন্য ১৮ মার্চ বোর্ড হতে অনুমতি পেয়ে অভিভাবক সদস্য মনোনয়নের জন্য ২১ মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যলয়ে গিয়ে জানতে পারলাম ‘নিজেদের স্বার্থে এলাকাবাসীকে না জানিয়ে বাউসী-কাশিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে’ মর্মে আরেকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অথচ এডহক কমিটি গঠনের কার্যক্রম সবেমাত্র শুরু করা হয়েছে। এতো মিথ্যাচার কার স্বার্থে আর কারাইবা করছে। এমন মিথ্যা অপপ্রচার অব্যাহত থাকলে বিদ্যালয় কিভাবে চলবে। বিদ্যালয়ের সুনাম যেনো সর্বদা অক্ষুন্ন থাকে সেই ব্যবস্থা সবার পূর্বে বহাল রাখতে হবে। এলাকার প্রবীন মুরব্বী আতাউর রহমান ছইল মিয়ার সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আব্দুর রহিমের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক জসিম উদ্দিন, এমদাদুর রহমান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য আলা উদ্দিন খান, আফিক মিয়া, মুজাম্মিল হক কাছা মিয়া, প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ মহসিনুর রহমান, শেখ জাহাঙ্গীর, আলী আকবর জাহেদ, আতিকুর রহমান প্রমুখ।