শুক্রবার ● ৯ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে সাংবাদিকের জায়গা জবরদখলে নেয়ার অভিযোগ
রাঙামাটিতে সাংবাদিকের জায়গা জবরদখলে নেয়ার অভিযোগ
রাঙামাটি :: রাঙামাটিতে সাংবাদিক চৌধুরী হারুনুর রশিদের জমি জবরদখলে নেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত তার প্রতিবেশি প্রতিপক্ষ শহিদুল ইসলাম রাসেল গং। প্রতিপক্ষীয় রাসেল ইতিমধ্যে সীমানা অতিক্রম করে ইটের সীমানা প্রাচির নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন, সাংবাদিক চৌধুরী হারুন। তার দাবি, আদালত ও প্রশাসন থেকে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে আদেশ দেয়া হলেও তা লঙ্ঘন করে সীমানা প্রাচির নির্মাণ করে চলেছে প্রতিপক্ষ। শহরের চম্পকনগর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘিরে বর্তমানে মারমুখি অবস্থানে উভয়ে। যে কোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সাংবাদিক চৌধুরী হারুনুর রশিদ বলেন, তার প্রতিবেশি মৃত শামসুল আলমের ছেলে শহিদুল ইসলাম রাসেল জোরপুর্বক আমার ভুমি দখল করে ইটের সীমানা প্রাচির নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আদালত, জেলা প্রশাসন, ভুমি প্রশাসন ও থানায় গিয়ে বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ দিয়েছি। এতে আদালত, জেলা ও ভুমি প্রশাসন এবং থানা পুলিশ থেকে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে আদেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিপক্ষ রাসেল এসব আদেশ লঙ্ঘন করে ইটের সীমানা প্রাচির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সেই সুযোগ নিয়ে প্রতিপক্ষীয়রা জোরপূর্বক জবরদখল চালিয়ে যাচ্ছে। তারা কোনো রকম আদেশ মানছে না। পৌরসভার আইনও তোয়াক্কা করছে না।
তিনি জানান, গাছ কেটে দেওয়াল নির্মাণ করায় প্রতিপক্ষীয়কে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন, জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা অমান্য করে গাছ কেটে সীমানা অতিক্রম করে আমার জায়গায় ইটের প্রাচির নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে তারা। ৫ এপ্রিল অতিরিক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আদেশ থানা কার্যকর করার আগে ৬ এপ্রিল পুলিশ আসার আগে ভোর ৭ ঘটিকায় হতে সাড়ে ১০ ঘটিকায় জোরপুর্বক নিমার্ণ কাজ করেন প্রতিপক্ষরা ।
শহিদুল ইসলাম রাসেল ১০-১২ জন লোকের দলবল নিয়ে সীমানা অতিক্রম করে আমার জায়গায় জোরপুর্বক মাটি কেটে ফেলে । ৩০ বছর আগে আমার নির্মাণ করা ইটের প্রাচির ভেঙে ফেলে। এ বিষয়ে কাজ বন্ধ রাখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালত এবং রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা থেকে দেয়া আদেশও কার্যকর হচ্ছে না। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সহকারী ভুমি কমিশনার অফিসের কানুনগো ও সার্ভেয়ার ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ করতে নিষেধ করেছেন। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে উপপরিদর্শক ওসমান কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরও সীমানা অতিক্রম করে আমার জায়গায় দেওয়াল নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে প্রতিপক্ষরা ।
অপরদিকে প্রতিপক্ষ শহিদুল ইসলাম রাসেলের দাবি, তিনি তার জায়গায় নিজের নির্মাণ কাজ করছেন।
বিষয়টি নিয়ে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, সাংবাদিক চৌধুরী হারুনুর রশিদের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে থানা থেকে কর্মকর্তা পাঠানো হয়েছে। তাদের উভয়ের মধ্যে মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।