রবিবার ● ১১ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে সড়ক নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইটের খোয়া
বিশ্বনাথে সড়ক নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইটের খোয়া
মো. আবুল কাশেম, স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের বিশ্বনাথ - জগন্নাথপুর সড়কের অংশে সংস্কার কাজ চলছে অপরিচ্ছন্ন আর নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে। এই সড়কটি জগন্নাথপুর উপজেলার জনসাধারনের বিভাগীয় শহর সিলেটের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক। জগন্নাথপুর উপজেলার প্রধান এই সড়কের কাজের ধীরগতির কারনে দিন দিন বাড়ছে জনদুর্ভোগ। সড়ক নির্মান কাজে ব্যবহার করার জন্য সড়কের পাশে রাখা হয়েছে মাটি, ইট, বালুসহ বিভিন্ন নির্মান সামগ্রী। রাস্তার পাশে রাখা মাটি ও বালুর কারনে বিরক্তিকর ধূলার রাম রাজত্ব বলে জানাচ্ছেন ভূক্তভোগীরা। প্রচুর ধূলা-বালি জনস্বাস্থ্যের উপর ফেলছে ক্ষতিকর প্রভাব। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) তদারকিতে ২৫ কোটি টাকা ব্যায়ে এই রাস্তার সংস্কার কাজ চলছে।
জানাযায়, ২০১৯ সালের শেষের দিকে জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ সড়কের জগন্নাথপুর উপজেলার কেউনবাড়ি পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের জন্য ২৫কোটি টাকার দরপত্র আহবান করা হলে কাজটি পেয়ে থাকেন হামীম সালেহ (জেভি) নামের প্রতিষ্টান। গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারী কাজ শুরু করে চলতি বছরের মার্চ মাসে কাজ শেষ করার কথা থাকলে ও এখন ও সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় এই সড়কের যাতায়াতকারী যাত্রীরা রয়েছে বিপাকে। রাস্তার সংস্কার কাজে অনিয়ম ও নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করার বিষয় জানতে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিছিব করা হয়নাই। এমনকি রাস্তার কাজে তদারকির জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বা এলজিইডি কোন কর্মকর্তাকে পাওয়া যায় নাই। কাজ করছেন শ্রমিক ও রুলার চালক। নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে সংস্কার কাজ চালিয়ে যাওয়ার বিষয় জগন্নাথপুরর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো: গোলাম সারোয়ার সাংবাদিকদের জানান, নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করলে তদন্ত করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উপজেলার সচেতন মহল জানান দীর্ঘ দিন আন্দোলন সংগ্রামের পর অত্র সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হলে ও নিম্নমানের কাজের ফলে আমরা হতাশ । নিম্নমানের কাজের বিষয় জরুরী ভিত্তিতে তদন্ত করে সঠিক কাজের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট আমরা জোর দাবী ।
বিশ্বনাথে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সমাজচ্যুত পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ নেতা মো: ইন্তাজ আলী ও তার পরিবারকে জোর পূর্বকভাবে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। ইন্তাজ আলী শ্রীধরপুর গ্রামের মৃত জাকির মামনের পুত্র। তার মুক্তিযোদ্ধার নং-০১৯১০০০৫০৫৭। ঘটনাটি বিশ্বনাথ পৌর এলাকার শ্রীধরপুর গ্রামে ঘটেছে। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা মো: ইন্তাজ আলী আজ রবিবার সকালে সিলেট পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ২৬ শে এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মুদির বাংলাদেশ সফর ঠেকাতে হেফাজতের তান্ডব দেখিয়া বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত মনে করে তাড়া হুড়ো করে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ পরিবারকে জোর পূর্বকভাবে সমাজচ্যুত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শ্রীধরপুর গ্রামের মৃত মতছিন খানের পুত্র বিএনপি নেতা সোলেমান খান বাবুল (৫৩), মৃত রুস্তুম খানের পুত্র, বিএনপি নেতা আজমল খান (৪৩), মৃত হারিছ খানের পুত্র ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মশাহিদ খান (৬০), মৃত আছাব খানের পুত্র, আজাদ খান (৬০), মৃত মুহিবুর রহমান খানের পুত্র, আহমদ খান, মৃত আনোয়ার খানের পুত্র জামাত নেতা দিলদার খান (৪০), মৃত মুহিব খানের পুত্র, মুজিবুর রহমান খানকে (৫৫) অভিযুক্ত করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ, প্রায় ৬ বছর যাবৎ শ্রীধরপুর জামে মসজিদের কার্যকরি কমিটির সদস্য ছিলেন ইন্তাজ আলী। গত ২৮ এপ্রিল রাত ১০ টার দিকে ওই মসজিদ কার্যকরি কমিটির সভাপতি আজাদ খান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাকে মসজিদ কমিটি ও পঞ্চায়েত থেকে সমাজচ্যুতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পর দিন তিনি পঞ্চায়েতের মুরব্বি তমছির আলীর কাছে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা কিছুই জানেনা বলে জানান। প্রায় ৭০টি পরিবার নিয়ে শ্রীধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত গঠিত। এই ৭০ পরিবারের মধ্যে কয়েক জন জামাত বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাকে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ পরিবারের লোক হওয়ায় তারা এ ষড়যন্ত্র করেছে। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলীর মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে তিনি জানান।
মসজিদের মোতাওয়াল্লি আজাদ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তার মেয়ের জামাইয়ের একটি বিরোধের বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলীকে জানালে তিনি কোন সদোত্তর না দেয়ায় তাকে পঞ্চায়েত থেকে বাদ দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মূসা বলেন, পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বিশ্বনাথ- জগন্নাথপুর সড়কে কাজের ধীরগতি অতিষ্ঠ দুই উপজেলাবাসী
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর জনবহুল সড়ক সংস্কার কাজে এক ঠিকাদারেই অতিষ্ঠ দুই উপজেলাবাসী। মানুষের দুর্ভোগ দেখার যেনো কেউ নেই। গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়। এর পর থেকে দীর্ঘ প্রায় ১৫টি মাস ধরে বিশ্বনাথ অংশ পর্যন্ত মাত্র ১৩ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার ও প্রশস্তকরণ কাজে ভোগান্তির পোহাতে হচ্ছেন দু’টি উপজেলার হাজার হাজার জনসাধারণ।
একই সময়ে জগন্নাথপুর অংশের ১৩ কিলোমিটারের কাজ শুরু করে পাঁচটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ ও কার্পেটিংসহ প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ করা হয়েছে বলে জানান জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী। কিন্তু বিশ্বনাথ অংশে কোনো কালভার্ট না থাকলেও পীরের বাজার থেকে প্রায় ২ কিলোমিটারে সাভব্যাচ খোঁড়াও শেষ করা সম্ভব হয়নি। বাকি অংশ বিশ্বনাথ থেকে পীরের বাজার পর্যন্ত সাভব্যাচ ভরাট করা হয়েছে।
অন্যদিকে গত ২ এপ্রিল চান্দশির কাপন নামক স্থান থেকে কালিগঞ্জমুখি সড়কে কর্পেটিং শুরু করা হয়। কিন্তু শনিবার (১০ এপ্রিল) পর্যন্ত এই ৯ দিনে দুই কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। এই নয়দিনের ভেতরে তিনদিন কাজ বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। এদিকে একই সড়কের চান্দশির কাপন থেকে উপজেলা সদর পর্যন্ত আরসিসি ঢালাই কাজ রয়েছে এক কিলোমিটার। তারমধ্যে অর্ধ কিলোমিটার ঢালাই কাজ শেষে হয়েছে প্রায় ৬মাস পূর্বে। বাকি অর্ধ কিলোমিটার খুঁড়ে রাখা হয়েছে অনেক আগেই। এই অর্ধ কিলোমিটারের দুই পাশে এলোপাতাড়িভাবে গার্ডওয়ালের রাখা হয়েছে রড। সেই রডে হোছট খেয়ে আহত হচ্ছেন অনেকেই। অনেক সময় কাজ বন্ধ থাকারও অভিযোগ রয়েছে। ফলে কাজে অনেকটা ধীরগতি হচ্ছে। এভাবেই প্রায় ১৫ মাস ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দুই উপজেলার জনসাধারণ। আর গাড়িভাড়াতো অতিরিক্ত দিতেই হচ্ছে তাদেরকে। আগামি ১০ মে কাজের মেয়াদ শেষ হবে। কিন্তু এই সময়ের ভেতরে ঠিকাদারের পক্ষে সড়কের কাজ শেষ করা সম্ভব হবেনা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদার সোহেল আহমদ কাজ বন্ধের বিষয়’সহ সম্পুর্ণ অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি একজন সাব ঠিকাদার। মাত্র ৭মাস ধরে কাজ করছেন। এই ৭মাসে কাজ যতটা করেছেন তাহা সন্তোষজনক। তবে মেয়াদ শেষের আগে কাজ শেষ করতে পারবেন না বলেও জানান।
বিশ্বনাথে দুধ-ডিম-মাংস বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন
বিশ্বনাথ :: দেশব্যাপী করোনা (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে জনসাধারণের প্রাণিজ পুষ্টি আমিষ নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে সিলেটের বিশ্বনাথে ন্যায্যমূল্যে ভ্রাম্যমান দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় শুরু হওয়া ন্যায্যমূল্যে ভ্রাম্যমান দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে বিশ্বনাথ ডেইরী ফার্মারস এসোসিয়েশন ও বিশ্বনাথ পোল্ট্রি ফার্মারস এসোসিয়েশন। টানা ৪৫ দিন এ কার্যক্রম চলবে। ভ্রাম্যমান গাড়ি থেকে গ্রাহকরা প্রতি লিটার দুধ ৬০ টাকা করে, প্রতি হালি ডিম ২৫ টাকা করে, প্রতি কেজি মাংস ১৪০ টাকা করে ক্রয় করতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বর্ণালী পালের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস শহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় ন্যায্যমূল্যে ভ্রাম্যমান দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. কামরুজ্জামান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রহমান মুসা, ভেটেরিনারি সার্জন ডা. শামীমা সুলতানা, বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুব আলম সরকার, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, সদস্য নূর উদ্দিন, সাংবাদিক আব্দুস ছালামসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।