মঙ্গলবার ● ২০ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে কঠোর লকডাউন : বেসামাল বাজার
বিশ্বনাথে কঠোর লকডাউন : বেসামাল বাজার
স্টাফ রিপোর্টার :: করোনাভাইরাস বিস্তাররোধে সরকারের দেওয়া সর্বাত্মক লকডাউনের পঞ্চম দিনে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার হাট-বাজার বেসামাল হয়ে উঠেছে। উপজেলা সদরে বেড়েছে মানুষের আনাগোনা। সবজি, ফলমূল, মাছ-মাংসের বাজার ও মুদি দোকানসহ সব খানেই ক্রেতাদের ভিড়।
কোথাও মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব বজায়ের কোনো নির্দেশনা।
এখনও মাস্কবিহীন চলাফেরা করছে একাধিক মানুষ। ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে যেন জমজমাট চারপাশ। সড়কে কেবল গণপরিবহন ব্যতীত চলছে অন্যান্য সব যানবাহন।
সরেজমিন দেখা গেছে, লকডাউনের আওতামুক্ত নয়, এমন বেশ কিছু খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আংশিক খোলা হয়েছে। এসব দোকানে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে নারী ক্রেতাদের। সবজি, ফলমূল, মাছ-মাংসের বাজার ও মুদি দোকানে ক্রেতা সাধরণের উপস্থিতি আগের তোলানায় অধিক দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই ক্রয়-বিক্রয় চলছে সর্বত্র।
ইফতারির দোকানেও রীতিমতো মানুষের জটলা।
প্রশাসনের অভিযানেও কমছে না বাইরে আসা জনসাধারণের সংখ্যা। এ অবস্থা চলতে থাকলে করোনা পরিস্থিতির চরম অবনতির আশঙ্কা করছেন উপজেলার সচেতন মহল।
বাজারে আসা কয়েকজন জানান, পেটের দায়ে বাইরে বের হয়েছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে আসা লোকজন জানান, কখন কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, কে জানে, তাই সাধ্যমতো বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রী কিনে রাখছেন।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দাশ বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ প্রশাসনসহ আমরা মাঠে আছি।
তা কার্যকরে আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত উপজেলার লকডাউন পরিস্থিতি সন্তোষজনক।
বিশ্বনাথে জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণের কাজ বন্ধ করলো পুলিশ
বিশ্বনাথ :: বাড়ির বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধপূর্ণ সীমানায় জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণ করার কাজ বন্ধ করে দুটি পক্ষকে সংঘর্ষ থেকে রক্ষা করেছে সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চৈতননগর গ্রামের শাহেদ আলম (৩৩) ও চাচাতো ভাই বদরুল আলম (৩৬) পক্ষের মধ্যে ওই বিরোধ চলছে। সোমবার বিকেলে চৈতননগর গ্রামে গিয়ে ওই জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণ কাজ বন্ধ করেন থানার এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দুই চাচাতো ভাইদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ইতিমধ্যে তাদের মধ্যে একাধিকবার হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনাসহ কোর্টে মামলা মোকদ্দমাও চলমান রয়েছে। সম্প্রতি বদরুল আলম গংদের হামলায় শাহেদ আলমের বাম হাত ভাঙ্গাসহ তারা তিন ভাই গুরুতর আহত রয়েছেন। এনিয়ে গ্রামের লোকজন একাধিকবার সালিশ বৈঠক করলেও কোনো লাভ হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় সমাধানের লক্ষ্যে থানা পুলিশের উদ্যোগে আগামী বুধবার (২১ এপ্রিল) থানায় উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের তারিখ ছিলো। কিন্তু এই তারিখের পূর্বে বুধবার বদরুল আলম গংরা জোর পূর্বকভাবে বিরোধপূর্ণ স্থানে দেয়াল নির্মান কাজ শুরু করেন। এতে বেশ কয়েকটি আম গাছের চারা, কদম ও কলা গাছ কেটে ফেলেন বদরুল আলম গংরা। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশের ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেয়াল নির্মাণের কাজ বন্ধ করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মূসা বলেন, বৈঠকের পূর্বে দেয়াল নির্মাণের কথা শুনার পর পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে হয়েছে। আর সেখানকার পরিস্থিতিও শান্ত রয়েছে বলে তিনি জানান।