বৃহস্পতিবার ● ২২ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » নেজাম এর সখের বসে ৯০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ
নেজাম এর সখের বসে ৯০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ
আমির হামজা, রাউজান প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের দক্ষিণ রাউজানে প্রবাস ফেরত গশ্চি গ্রামের মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন অনেক বছর দুবাই ছিলেন। দুবাই থেকে চলে আসার পর তিনি ঘরে বসে না থেকে উদ্যোগ নিলেন চাষাবাদে। তিনি চলতি বছরে প্রায় ৯০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করে বাম্পার ফলন হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, নেজাম উদ্দিনের ধানি ফসলের মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে সোনালী ধান। আর চারিদিকে সবুজ আর সবুজের সমারোহ। এসব জমিতে সাধারণত আমন ধানের চাষ করা হয়। এরপর জমি গুলো পতিত জমিতে পরিনিত হয়। কিন্তু নেজাম উদ্দিন এসব জমি গুলো পতিত না রেখে তিনি বোরো ধানের আবাদ করেন। তিনি জানান খাদ্যের তালিকায় ধান দেশের জন্য অন্যতম সম্পাদ। তাই তিনি দক্ষিণ রাউজানের পাহাড়তলী ইউনিয়নের উত্তর দেওয়ানপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিশাল এই জমিতে বোরো’র ধানের আবাদ করেন। তিনি দেশী জাতের ধানের সাথে কয়েক বিঘা জমিতে বিদেশী জাতের ধানও আবাদ করেন। তিনি জানান, ‘রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী পতিত জমিতে খালি না রেখে চাষাবাদ করার জন্য, তাঁর অনুপ্রেরণায় তিনিও এই ৯০ বিঘা জমিতে প্রায় ৩’লক্ষ টাকা খরচ করে বোরো ধানের চাষাবাদ করেন। তিনি আরও জানান, সাধারণত এই জমি গুলোতে মানুষ আমান ধানের চাষ করে থাকেন, আর বোরো ধানের সময়ে বৃষ্টি না হলে সেচ খরচ প্রয়োজন পড়ে। তাই গ্রামের সাধারণ কৃষক’রা বোরো চাষ না করে পতিত করে রাখেন জমি গুলো। তবে তিনি এসব জমিতে চাষকরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে জমিতে ফলন ভালো হয়েছে। জমিতে বাম্পার ফলনে তাঁর মুখে হাসি ফুঠেছে। তিনি জানান কিছু কিছু জমিতে ধান চিটা হলেও ক্ষতি তেমন একটা হয়নি। আশায় আছেন বাজারে ধানের দাম চাহিদা মতো পাওয়া যাবে। আর কয়েক দিন পর তাঁর সখের ক্ষেতের ধান কাটা শুরু করবেন। এবিষয়ে কথা হলে উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার মো: এমদাদ হোসেন জানান,‘চলতি মৌসুমে এই ইউনিয়নে বোরোর ধানের বেশ ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকরা আশা করছি বাজারে দামও ভালো পেয়ে লাভবান হবেন।
রাউজানে করোনায় মৃত্যু, শেষ বিদায়ে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানে করোনাভাইরাসে মৃত ব্যাক্তির দাফন-কাফনে শেষ বিদায় বেলায় সাথী হয়ে মানবতার আবারও দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন কদলপুর ইউনিয়ন শাখার গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ।
দেশে করোনায় মৃত ব্যাক্তির শুরু থেকে এখনো সকল ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে কাজ করে যাচ্ছেন রাউজানের গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের সদস্যরা। এদিকে গত বুধবার উপজেলার ৮ নম্বর কদলপুর ইউনিয়নের সিকদার পাড়া গ্রামের মো: নাছের সিকদার (৪৮) নামে একজন করোনায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু তাঁর দাফন-কাফন ও এম্বোলেন্স সেবাসহ খবর পেয়ে সার্বিক সহায়তায় পাশে যান গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ কদলপুর ইউনিয়নের টিম। এসময় কদলপুর ইউনিয়ন গাউসিয়া কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাউজান দাফন টিমের সমন্বয়ক রবিউল হোসাইন সুমনের নেতৃত্বে কদলপুর গাউসিয়া কমিটির দাফন টিমের মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার, আরেফিন চৌধুরী, তসলিম উদ্দিন, জয়নাল আবেদদীন ও কাজী কায়েস উদ্দিন দাফন কাফন সম্পন্ন করতে অংশগ্রহণ করেন। গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশর সদস্যরা এইভাবে প্রতিনিয়ত সারাদেশে মানববিক সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।