শুক্রবার ● ২৩ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » ঢাকা » ‘লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেট’-এ দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য স্ববিরোধী- বাম গণতান্ত্রিক জোট
‘লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেট’-এ দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য স্ববিরোধী- বাম গণতান্ত্রিক জোট
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ ও জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য সিপিবি সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদ এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী কমরেড জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পদক কমরেড মোশরেফা মিশু, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক কমরেড হামিদুল হক আজ ২৩ এপ্রিল ২০২১ সংবাদপত্রে দেয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে গতকাল ২২ এপ্রিল ২০২১ ‘লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেট’ এ দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে স্ববিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, লিডার্স সামিটে প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় ধনী দেশসমূহকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। অথচ নিজের দেশে একের পর এক পরিবেশ দূষণকারী ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে চলেছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ সরকার দেশের উপকূল জুড়ে ২৯টি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে কাজ শুরু করেছে। এমনকি পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রুভ বন সুন্দরবন ধ্বংস করে রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে জনমত উপেক্ষা করে। সরকারের জ্বালানি পরিকল্পনায় পূর্বের ৩% থেকে বাড়িয়ে কয়লা থেকে বিদ্যুৎ প্রাপ্তি ৩৫% করা হয়েছে। এসবই শেখ হাসিনার জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের পরিপন্থি এবং স্ববিরোধী।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, শুধু এসবই নয় পরিবেশ দূষণকারী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বেসরকারি এস-আলম গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকার এমনই ব্যস্ত যে ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকেরা বাঁশখালীতে মজুরিসহ ন্যায্য দাবি জানাতে গেলে শ্রমিকদেরকে পাখির মতো গুলি করে মেরে ফেলা হচ্ছে। অথচ শ্রমিক হত্যাকারীদের কোন বিচার হচ্ছে না।
বিবৃতিতে বাম জোটের নেতৃবৃন্দ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ বন্ধ ও বাঁশখালীতে শ্রমিক হত্যার বিচার দাবি করেন। একই সাথে সরকারের জলবায়ু তহবিলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানান।