সোমবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » জাতীয় » দুর্যোগ উত্তরণে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
দুর্যোগ উত্তরণে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: আজ সকালে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভার্চুয়াল মিটিং এ গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, জনগণকে নয়, সরকার নিজেকে রক্ষায় লকডাউন দিয়েছে। এখন কোনকিছু সামাল দিতে না পেরে এবং অভাবী জনগণের দায়িত্ব নিতে না পারায় এখন সবকিছু খুলে দিয়ে জনগণকে নিয়তির উপর ছেড়ে দিয়েছে। সরকারের উপর দেশবাসীর আস্থা-বিশ^াস না থাকায় এবং সরকারের অকার্যকারীতায় লকডাউনও তামাশায় পর্যবসীত হয়েছে; লকডাউনের উদ্দেশ্যও ব্যর্থ হয়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় নেয়া অপরিকল্পিত এই লকডাউন জনগণকে সীমাহীন ভোগান্তি ও কষ্টের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। রোজা আর লকডাউনের মধ্যেও তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দমন-নিপীড়ন ও গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে।
প্রস্তাবে বলা হয়, সরকার একের পর এক ভুল ও আত্মঘাতি নীতিকৌশল দেশবাসীকে বিপদে ফেলে দিয়েছে। এক বছরের বেশী সময় পেলেও তারা করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি। শ্রমজীবী ও স্বল্পআয়ের মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও নগদ টাকা পৌঁছাতে পারেনি। এই সময়কালে আড়াইকোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে নেমে এসেছে। এদের জন্য ্রসরকারের বরাদ্দ এক ধরনের উপহাসের মত। আর এই সময় সরকারি ছত্রছায়ায় দুর্নীতির বিস্তার ঘটে চলেছে। কয়েকশত পরিবার নতুন করে কোটিপতি হয়েছে; সম্পদের বিশাল পাহাড় গড়ে তুলেছে।
প্রস্তাবে বলা হয় জনপ্রতিনিধিত্ববিহীন সরকার জাতীয় দুর্যোগকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করার পরিবর্তে রাজনীতিতে বিরোধী- বৈরীতা ও হিংসা-ঘৃণার বিস্তার ঘটিয়ে দেশ ও দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতকে আরো ঝুঁকির মধ্যে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রস্তাবে স্বাস্থ্যগত দুর্যোগ, অর্থনৈতিক দুর্যোগ ও রাজনৈতিক দুর্যোগের অবসান ঘটাতে সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল ও দেশপ্রেমিক শক্তি ও জনগণকে একেবারে ন্যূনতম ইস্যুতে সমন্বিত ও যুগপৎ ধারায় ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানানো হয়।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির এই ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, রাশিদা বেগম, সজীব সরকার রতন, স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, নির্মল বড়ুয়া মিলন, কেন্দ্রীয় সংগঠক শেখ মো. শিমুল, জুঁই চাকমা, মো. ইমরান প্রমুখ।
সভার শুরুতে আট বছর আগে সাভারে রানা প্লাজা ধ্বসে নিহতদের জন্য গভীর শোক, আহতদের জন্য সমবেদনা জানানো হয়। সভায় ১৯৫০ সালে রাজশাহী জেলার খাপরা ওয়ার্ডে নিহত শহীদ বিপ্লবীদের প্রতিও গভীর সম্মান জানানো হয়। সভায় করোনায় মৃত্যুবরণকারী ও আরমানিটোলায় নিহতদের জন্য শোক জানানো হয়।
সভায় পার্টির সাংগঠনিক প্লেনাম নিয়ে আলোচনা করা হয়।