সোমবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রুমার পাইন্দু চেয়ারম্যান উহ্লামং কর্তৃক হামলার ঘটনার মিথ্যা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
রুমার পাইন্দু চেয়ারম্যান উহ্লামং কর্তৃক হামলার ঘটনার মিথ্যা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিজ্ঞপ্তি :: গত ২৪/৪/২০২১ ইংরেজি তারিখে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত- রুমা উপজেলার ১নং পাইন্দু ইউনিয়ন চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা এর উপর হামলা শীর্ষক মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ’সহ ব্যাখ্যা।
আমি সাইলুকথাং বম, সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, ১নং পাইন্দু ইউনিয়ন কমিটি এবং সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, রুমা উপজেলা কমিটি। দীর্ঘদিন যাবত রাজনীতি করে আসছি। মূলত আমার সাথে যে ঘটনা ঘটেছে এটা কোন নির্বাচনী ইস্যু নিয়ে নয়, এটি একটি ভুল বুঝাবুঝির মতো। নিজেদের অভ্যন্তরীণ ম্যাসেন্জারের গ্রুপে ( তুচ্ছ ঘটনা- ২০১৯ ইং সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি অডিও ভয়েস কল সংক্রান্তকে কেন্দ্র করে) গত ২৩ এপ্রিল ২০২১ ইং রাত ৯.মি. দিকে স্থানীয় ক্যাসিংহ্লা মারমা (আমার বাল্য কালের বন্ধু- আমার বাসা হতে যার দুরত্ব সর্বোচ্চ ৫০ সেকেন্ডের) তার বাসা থেকে তরকারি নিতে গেলে চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে ফোন করে, বলে তুমি কই, আমি বলি আমি ক্যাসিংহ্লার বাসায়। কথা বলা শেষ হওয়া ২ মিনিটের মধ্যে তিনি উপস্থিত হয়ে আমার উপর ক্ষেপে জোর গলায় অকথ্য ও অশালীন ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। এক পর্যায়ে সে বাড়ীর মালিক নিষেধ করার পরেও উহ্লামং চেয়ারম্যান জোরে জোরে গালিগালাজ করতে থাকেন। বিষয়টির ব্যাপারে (পার্শ্ববর্তী পাড়াবাসীদের কাছ থেকে স্টেটমেন্ট নেয়ার অনুরোধ রইল) এমনতো অবস্থায় এক পর্যায়ে ওই ঘরের পাশে ওত পেতে থাকা চেয়ারম্যানের ছেলে জয়ের নেতৃত্বে তার বন্ধুরা ও উহ্লামং চেয়ারম্যান’সহ তারা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আমার বন্ধু মংসিংগ্য, তার ছোটভাই এবং আমার উপর অতর্কিত হামলা করেন। আমরা নিজেদেরকে আত্ব- রক্ষার্থে এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে চেয়ারম্যানের ছেলের (জয়) এর হাতে থাকা মোটা লাঠির আঘাতে তার বাবা (উহ্লামং চেয়ারম্যান) এর চোখের পাশে আঘাত লাগে।পাল্টাপাল্টি ধস্তাধস্তিতে এক পর্যায়ে মাচাংয়ের ঘরের নিচে সবাই পড়ে যায়। নীচে পড়ার পর ও ধস্তাধস্তিরত অবস্থায় এলাকার গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গ জড়ো হলে তার ছেলেরা দলবল নিয়ে ঘরের পিছনের ঝিরি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যান রাস্তায় গিয়ে মুঠোফোনের মাধ্যমে বিভিন্নজনকে তার উপর হামলা হয়েছে বলে কান্নাকাটি করা শুরু করে এবং বলে আমি নাকি তাকে হামলা করেছি। আমি তৎক্ষনাত রুমা জোনে ব্যাপারটি জানিয়ে রাখি। পরবর্তীতে সে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে তার ইউনিয়নের পাড়াবাসীকে ফোনের মাধ্যমে জানিয়ে/ মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়ে হাসপাতালে জড়ো করে। আমি ও আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে পরিস্থিতি বেগতিক হবে শংকায় অন্যান্যদের পরামর্শে রুমা হাসপাতাল ত্যাগ করে বর্তমানে বান্দরবানের ইমানুয়েল হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছি। পরে জানতে পারলাম উহ্লামং চেয়ারম্যান নাকি আবারো নতুন ভাবে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মূলকথা হলো উনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দলবল নিয়ে আমার বাড়ির পাশে আমার বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে আমার উপরে হামলা করেছে। সেই হামলার বিষয়টি ঢাকতে আবার উল্টো সবার কাছে রটাচ্ছে আমি তার উপর হামলা করেছি। এখন আমার কথা হচ্ছে আমার যদি চেয়ারম্যানের উপর হামলা করার উদ্দেশ্য থাকত আমি উনাকে রাস্তায়, উনার বাসায় বা কোন পাড়ায় হামলা করতে পারতাম তবে আমিতো তা করিনি। উনি আমার বাসায় এসে (আমার বাড়ির সাথে লাগানো ক্যাসিংহ্লার বাসা) তে আমাকে আহত করে এখন উনি নিজেই বলছে আমি তার উপর হামলা করেছি? যে বিষয় টা নিয়ে সমস্যা সে বিষয়ে চেয়ারম্যান আমাকে ডেকে বলতে পারতেন তুমি নাকি আমার নামে মেসেঞ্জার গ্রুপে এসব ছেড়েছ তখন আমি সত্যটা তার সামনে উপস্থাপন করতাম বা বলতাম এইটা ফেইসবুকে দি নাই মেসেঞ্জারে আমাদের গ্রুপের কয়েকজনকে দিয়েছি তা অল্প সময়ের মধ্যে ডিলিট করে দিয়েছি। সত্যি বলতে আমার এমন মনে হচ্ছে আগামী ইউপি নির্বাচনে আমার ইমেজ নষ্ট করার জন্য উনি আমাকে প্রাননাশের উদ্দেশ্যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আমার ইমেজ নষ্ট করছেন এবং আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছেন। তা না হলে কেন তার ছেলে এবং তার বন্ধুদের উস্কিয়ে আমি বাসায় না থাকা অবস্থায় আমার স্ত্রীকে ৩-৪ বার বাসায় গিয়ে হুমকি দিয়েছেন? আর আমি সকল সাংবাদিক ( যারা আমার মতামত এবং সরেজমিনে তদন্তে না গিয়ে একতরফাকারে রিপোর্ট/ সংবাদ উপস্থাপন করেছেন) ভাইদের কাছে এই অনুরোধ রাখতে চাই, আপনারা সঠিক তদন্তের পরে উভয় পক্ষের বক্তব্য নিয়ে ও তদন্ত করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্বাক্ষীদের কাছ থেকে মতামত নিয়ে সংবাদ উপস্থাপন করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় অনেকে আমার মতামত না নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে এক তরফাভাবে সংবাদটি প্রকাশ করে, তা আমার কাছে বিষয়টি বোধগম্য হয়নি, যা আমার ব্যক্তিগত ইমেজে আঘাত হয়েছে। আমার প্রশ্ন? চেয়ারম্যান হয়েছে বলে তার ছেলেরা মিলে আমাকে মেরে ফেলার জন্যে হামলা করতে পারে? চেয়ারম্যান হয়েছে বলে কি আইন তার হাতে তুলে নিবে? চেয়ারম্যান হয়েছে বলে কি আমার চিকিৎসা করাতে বিলম্বিত বা হয়রানির স্বীকার হতে হবে ? আর একজন জনগনের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান কিভাবে তার ছেলেকে অপরাধমুলক কাজে সরাসরি সমর্থন করতে দে? আমার মত দলীয় কর্মীকে যদি উনি হামলা করতে পারে তাহলে সাধারন জনগনের অবস্থা কি হবে ? অতীতে চেয়ারম্যান ও তার ছেলের কি আরো কোন ঐ ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড ঘটানোর ইতিহাস আছে, তা খতিয়ে দেখা হোক ? এধরনের বিভিন্ন প্রশ্ন আমার মনে। তাই আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভোগছি। আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, রুমা উপজেলা কমিটির বরাবরে বিনীতভাবে অনুরোধ করেছি, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপুর্বক সুষ্ঠু বিচার এবং দোষীব্যক্তির দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি।
বিনীত নিবেদক
সাইলুকথাং বম (সাইলুক)
সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ,
১নং পাইন্দু ইউনিয়ন, রুমা উপজেলা,বান্দরবান।