বৃহস্পতিবার ● ৩ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ » পালাক্রমে ২ শিশুকে বলাৎকার করল ৪ তরুণ : আটক-২
পালাক্রমে ২ শিশুকে বলাৎকার করল ৪ তরুণ : আটক-২
মো. আবুল কাশেম, স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের বিশ্বনাথে পাখির বাসা দেখানোর কথা বলে জঙ্গলে নিয়ে দুই শিশু স্কুলশিক্ষার্থীকে (১০) পালাক্রমে গণবলাৎকার করেছে চার তরুণ। গতকাল বুধবার (২ জুন) বিকেলে চার তরুণের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলাৎকারের শিকার এক শিশুর মা। অভিযুক্ত চার তরুণ হলেন উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে মিজান আহমদ (১৯), শানুর মিয়ার ছেলে সাদিক মিয়া (২০), মন্টু মিয়ার ছেলে নিশাদ আহমদ (২০), জফির মিয়ার ছেলে সাজু মিয়া (১৯)। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই বিশ্বনাথ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাদিক ও সাজুকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে আটক করে।
অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, আমার ছেলে (১০) ভাটিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণিতে এবং আমার দেবরের ছেলে (১০) বুরাইয়া কামিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। একই বাড়ির লোক হওয়ায় অভিযুক্ত সাদিক মিয়া আমার ও আমার দেবরের ছেলের সাথে খেলাধুলা করত। গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে সাদিক তার বন্ধু মিজান, নিশাদ ও সাজুকে সাথে নিয়ে পাখির বাসা দেখানোর কথা বলে আমার এবং আমার দেবরের ছেলেকে ভাটিপাড়া গ্রামের সুরুজ আলীর বাগানবাড়ির জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে পালাক্রমে আমার ছেলেকে সাদিক ও নিশাদ এবং আমার দেবরের ছেলেকে সাজু ও মিজান জোরপূর্বক বলাৎকার করে। নিজে বলাৎকারের পাশাপাশি বন্ধুদের বলাৎকারের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে মিজান। কয়েকদিন ধরে অভিযুক্তরা বলে বেড়াচ্ছিল, আমার ও আমার দেবরের ছেলে বিভিন্ন খারাপ কাজ করছে। বিষয়টির ব্যাপারে স্থানীয় মুরব্বী খলিলুর রহমান একই গ্রামের সুন্দর মিয়াকে আমাদের বাড়ি পাঠালে তিনি আমার ও আমার দেবরের ছেলে খারাপ কাজ করিয়াছে বলে একটি ভিডিও দেখান। ভিডিওটির ব্যাপারে খোঁজ নিতে থাকেন গুলজার হোসেন নামে আমার বাড়ির এক দেবর। এক পর্যায়ে গত ৩১ মে স্থানীয় সিঙ্গেরকাছ বাজারের এসকে কম্পিউটারের মালিক ইউসুফের কম্পিউটারে মিজানের ধারণ করা বলাৎকারের ভিডিওটি পাওয়া যায়।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় জড়িত দু’জনকে আটক করা হয়েছে। জড়িত অন্যান্যদেরকে আটক করতে অভিযান চলছে। পাশাপাশি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে আবারও ৩ জনের করোনায় আক্রান্ত
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে ক’দিন বিরতির পর ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩ জনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জন পুরুষ ও একজন মহিলা।
বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পজিটিভ রিপোর্ট আসে ওই নতুন তিন জনের।
এর আগের দিন সন্ধ্যায় সিলেটের ওসমানী মেডিকেল, মাউন্ট এডোরা ও পার্কভিউ হাসপাতালের ল্যাবে করোনা শনাক্ত হয় তাদের। এ নিয়ে উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১৯ জনের।
এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ২৬৫ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে আছেন ৪২ জন। প্রাণ হাারিয়েছেন ৭জন করোনা রোগী।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রহমান মুসা সাংবাদিকদের বলেন, ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। প্রায় প্রতিদিনই এখন এক দু’জন করে বাড়ছে রোগী।
বিশ্বনাথে সুমেল হত্যার ৮ আসামীর জামিন নামঞ্জুর
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে সুমেল হত্যাকান্ডের জেলে থাকা ৮ আসামীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। গত ২ জুন বুধবার সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জন কান্তি দাশের আদালতে শুনানী শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন। আসামী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট লালা ও এডভোকেট জাকিয়া বেগম আসামী পক্ষের জামিনের আবেদন করেন। বাদী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবি এএসএম গফুর জামিনের তীব্র আপত্তি করে আদালতকে জানান, সুমেল হত্যাকান্ড দেশের আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর একটি হত্যাকান্ড। এই হত্যাকান্ডের মূল আসামীরা এখনও ধরাছোয়ার বাহিরে। এই আসামীরা জামিনে গেলে তদন্তের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তিনি আরও বলেন, সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতে ফৌজদারী বিবিধ মামলা নং-৮৬৮/২০২১ মূলে আসামী আনোয়ার হোসেনের জামিন শুনানী হলে মাননীয় জেলা জজ আদালত তা নামঞ্জুর করেন। আসামীরা হলেন, আশিক উদ্দিন, ইলিয়াছ আলী, আব্দুন নূর, পারভেজ উরফে টেরা পারভেজ, আব্দুল জলিল, আনোয়ার হোসেন, জাবেদুল ইসলাম। সুমেল হত্যাকান্ডে বিশ্বনাথ জিআর ১৩১/২০২১ইং মামলার বাদী হচ্ছেন ইব্ররাহিম আলী সিজিল।