শুক্রবার ● ৪ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » মহালছড়িতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছে ৩০৬ পরিবার
মহালছড়িতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছে ৩০৬ পরিবার
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মহালছড়িতে ৩০৬টি ঘর নির্মাণ শেষে সুফল ভোগীদের বুঝিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। এতে পরিবারগুলির মুখে আনন্দের হাসি ফুটে উঠেছে।
২০২০-২০২১ অর্থ বছরে আশ্রায়ন প্রকল্পের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ এর মাধ্যমে “মুজিব শতবর্ষে” ভূমিহীন ও গৃহহীন ক ও খ শ্রেণীর পরিবার পুনবার্সনে “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অগ্রাধিকার প্রকল্প গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মান কর্মসূচীর আওতায় এ পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ৩০৬ টি ঘর নির্মাণ শেষে সুফল ভোগীদের বুঝিয়া দেয়ার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে।
মহালছড়ি উপজেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তথ্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ প্রকল্পের অধীনে ১ম ধাপে প্রতিটি ঘর নির্মাণের সরকারী অর্থ বরাদ্দ ছিল ৭১হাজার করে ১৫টি ঘর নির্মাণের মোট বরাদ্দ ২৫ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা ২য় ধাপে প্রতিটি ঘর একই অঙ্কের অর্থ বরাদ্দের ১কোটি ৮৯লক্ষ ব্যয়ে ৫৯টি ঘর এবং ৩য় ধাপে প্রতিটি ঘর ১ লক্ষ ৯০হাজার টাকা ব্যয়ে ২৩২টি ঘর ৪কোটি ৪০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।
মহালছড়ি উপজেলার ৪ ইউনিয়নে এ প্রকল্পের আওতায় সর্বমোট ৫ কোটি ৬৭ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা ব্যয়ে মোট ৩০৬টি গৃহ নির্মাণ সাপেক্ষে স্থানীয় প্রকৃত গৃহহীনদের ঘরগুলি বুঝিয়া দেয়ার কাজ বর্তমানে শেষ পর্যায়ে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গৃহহীন পুনর্বাসিত পরিবারগুলি ঘর পেয়ে মহাআনন্দে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে সৃষ্টিকর্তার দরবারে প্রার্থনা জানাচ্ছেন।
মহালছড়ি উপজেলার গৃহহীন এসব পুর্নবাসিত সুফলভোগী কতিপয় পুনর্বাসিত পরিবার জানায়, সরকারী ঘর পেতে তাঁদের কোন ধরনের সমস্যার সম্মূখীন হতে হয়নি।
উপরন্তু পুনবার্সিত পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায় নি।
এসব গৃহহীনদের পুনর্বাসনের ব্যাপারে ও উল্লেখিত আশ্রায়ন প্রকল্পের নির্মিত ঘরগুলি সর্ম্পকে মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা বলেন, মহালছড়ি উপজেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অগ্রাধিকার প্রকল্প গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের ঘরগুলির নির্মাণ কাজ সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। স্বচ্ছতার সাথে গৃহ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় এ ব্যাপারে সুফলভোগীরা আনন্দিত। গৃহহীন পুনর্বাসিত পরিবারগুলোর মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি।