বৃহস্পতিবার ● ৩ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » চট্টগ্রামের আদালত পাড়া থেকে ভুয়া আইনজীবি শাহানাজ মুন্নী গ্রেফতার
চট্টগ্রামের আদালত পাড়া থেকে ভুয়া আইনজীবি শাহানাজ মুন্নী গ্রেফতার
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :: (৩ মার্চ ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৫০মিঃ) চট্টগ্রামে কিছু টাউট বাটপার নিজেদের কখনো আইনজীবি কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নিরীহ মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছে দীর্ঘ দিন যাবৎ এমন অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রামের আইনজীবিরা ৷ রেজিষ্ট্রেশন বিহীন সংবাদ পত্র সাপ্তাহিক অপরাধ সন্ধানী, ৭১ বাংলাদেশ,আমাদের সংবাদ সহ অসংখ্য ভুয়া পত্রিকা জেলা প্রশাসক বা পোষ্ট অফিসের রেজিষ্ট্রেশন বিহীন পত্রিকা প্রকাশ করে সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনা করে মাদক ব্যবসার সহযোগীদের সাংবাদিক পরিচয় পত্র দিয়েদেন বলে জানান মো:ইব্রাহিম চৌধুরী ৷
মো: ইব্রাহিম চৌধুরী বলেন ২ মার্চ ২০১৬ ইং সিএমপির কোতোয়ালী থানায় আটক সাপ্তাহিক অপরাধ সন্ধানী নামক পত্রিকার পরিচয়দানকারী মহিলা শাহানাজ মুন্নী আটকবস্থায় তার কাছে তাল্লাশী করে অনেক পুলিশের নাম মোবাইল নাম্বার ও পাওয়া গেছে বলে আইনজীবি সূত্রে জানা গেছে ৷ শাহানাজ মুন্নী রেজিষ্ট্রেশন বিহীন ভুয়া মানবাধিকার সমাজ এর চেয়ারম্যানের স্ত্রী দাবিদার ৷ মো: ইব্রাহিম চৌধুরী মোবাইল নং ০১৯৩৫৬৯০৬৫২,০১৭০০৬৪৭০৫৫ নাম্বার থেকে তিনি অভিযোগ করেন আটক মহিলা শাহানাজ বেগম মুন্নী ও আব্দুল মোবিন,কামাল পাশা মিলে মো:ইব্রাহিম নামক ব্যক্তির কাছ থেকে মামলা জামিন করিয়ে দিবে বলে নগদ বিশ হাজার টাকা নিয়েছেন তার স্বাক্ষী ছিলেন মাদক ব্যবসায়ী নেছার ৷ মাদক ব্যবসায়ী নেছার মোবিন,শাহানাজ বেগম মুন্নীর মাধ্যমে পুলিশের হালিশহর,ডবলমুরিং,কোতোয়ালী থানাসহ সিএমপি পুলিশ কমিশনারের নিকট বাংলাদেশ মানবাধিকার সমাজের প্যাডে অসংখ্য নিরীহ মানুষকে ফাঁসাতে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন ৷ তাদের সাথে পুলিশের বেশ কিছু অসাধু পুলিশের সম্পৃক্ততা রয়েছে যাহা আটক শাহানাজ বেগম মুন্নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে জানান মো:ইব্রাহিম৷ শাহানাজ বেগম ছাড়াও তাদের গ্রুপে আরো অনেক মহিলা রয়েছে সকলে বড় ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড ও মাদক পাচারের সাথে জড়িত মো:ইব্রাহিম জানান এ চক্রের সাথে বহু সংখ্যক অসাধু পুলিশ জড়িত রয়েছে ৷ গত ২২ জানুয়ারী ২০১৬ ইং এ মহিলা আগ্রাবাদে এক্সে রোডের এস এ পরিবহনের পাশ্বে থাই এ্যালুমিনিয়াম ব্যবসায়ী বাহারের সাথে প্রেমের অভিনয় করে তার বাসায় নিয়ে গিয়ে অসামাজিক কাজে বাহারকে টেপে ফেলে পুলিশের এক এসআই দিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে তার থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে বাহার জানান ৷ থাই এ্যালুমিনিয়াম ব্যবসায়ী মো: বাহার শাহনাজ বেগম মুন্নীর বাসায় আসা যাওয়া করতে করতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হলে পরবর্তীতে বাহারকে প্রেমর ফাদে ফেলে ব্ল্যাক মেইলিং করেন শাহানাজ বেগম মুন্নী ৷ প্রতিদিন আদালত ভবনে এ চক্রের মাধ্যমে ২০/৩০ টি মিথ্যা মামলা হয় যে সব মামলায় অনেক নিরীহ লোক আটক রয়েছেন বলে আইনজীবিরা জানান ৷
পাঠক আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে আগ্রহী মো: ইব্রাহিম চৌধুরী মোবাইল নং : ০১৯৩৫৬৯০৬৫২,০১৭০০৬৪৭০৫৫ ও ০১৮১৫৭০০২৮৮ ৷