শনিবার ● ৫ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » খুলনা বিভাগে প্রতীক পেয়ে প্রচারণায় নতুন মাত্রা
খুলনা বিভাগে প্রতীক পেয়ে প্রচারণায় নতুন মাত্রা
খুলনা প্রতিনিধি :: প্রতীক বরাদ্দের প্রথম দিন থেকেই উত্সবমুখর পরিবেশে প্রচারণা শুরু করেছেন খুলনার ৬৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা ৷ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রতীক আগে থেকে বরাদ্দ থাকায় প্রচারে তারা ছিলেন এগিয়ে ৷ পোস্টার,লিফলেট ও হ্যান্ডবিল আগেই ছাপিয়ে রেখেছিলেন তারা ৷ এক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে ছিল ইউনিয়নের স্বতন্ত্র ও সদস্য প্রার্থীরা৷ সকালে প্রতীক বরাদ্দের পর তাদের অনুসারীদের ছাপাখানায় ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে ৷ খুলনার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, খুলনার ৬৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩১৩ জন, সদস্য পদে ২ হাজার ৬৩০ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে প্রতিদ্বনি্দ্বতা করছেন ৭৭৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বনি্দ্বতা করছেন ৷ গত বৃহস্পতিবার তাদের সবাইকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৷ সূত্রটি জানায়, চেয়ারম্যান পদে ৬৭টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন ৬৭ জন, ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন ৫৬ জন, অন্য দলের প্রার্থীরা স্ব স্ব দলের প্রতীক এবং বাকিরা নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন ৷ স্থানীয় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা প্রচারে নেমে পড়েন ৷ আগে থেকেই তৈরি করা লিফলেট ও হ্যান্ডবিল এবং দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে তারা ঘুরে বেড়ান পাড়া মহল্লায় ৷ দেন নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ৷ কিন্তু এক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পিছিয়ে ছিলেন ৷ বৃহস্পতিবার তাদের পরিচিতজনরা ছাপাখানায় দৌড়ে বেড়িয়েছেন ৷ খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের জিরোপয়েন্ট এলাকায় চায়ের দোকানে বৃহস্পতিবার বিকালে কথা হয় সেলিম মুন্সীর সঙ্গে৷ তিনি বলেন, প্রতীক না থাকায় এতো দিন নির্বাচনী প্রচার সাদামাটা মনে হয়েছে৷ রাস্তায় রাস্তায় পোস্টার, দোকানে দোকানে হ্যান্ডবিল ও লিফলেট লাগানো না থাকলে ভোটের আনন্দ বোঝা যায় না ৷ তার সাথে থাকা নির্মল গোলদার জানান, চেয়ারম্যান পদে রাজনৈতিকভাবে ভোট হলেও মাঠে সে ধরনের কোনো উত্তাপ তারা টের পাচ্ছেন না ৷ সবকিছু স্বাভাবিকই মনে হচ্ছে ৷ তবে পূর্ণউদ্যোমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর বোঝা যাবে শেষ পর্যন্ত পরিবেশ শান্তিপূর্ণ থাকবে কি-না ৷ জলমার আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী অনুপম গোলদার, বিএনপির প্রার্থী আশিকুজ্জামান আশিক এবং বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল গফুর মোল্লা এসব এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা ৷ খুলনার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রচার-প্রচারণা চলছে ৷ এখন পর্যন্ত আচরণ বিধি লংঘনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি ৷ প্রতীক বরাদ্দের পর কেউ যাতে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করে দেয়ালে পোস্টার সাটানো বা রঙিন পোস্টার না ছাপায় সেদিকে নজর রাখতে রিটার্নিং অফিসারদের দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে ৷