মঙ্গলবার ● ২২ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ » পত্নীতলায় ভিজিডি কার্ড দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ
পত্নীতলায় ভিজিডি কার্ড দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ
আর আই সবুজ, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: পত্নীতলায় দুস্থ্যদের জন্য সরকারি ভিজিডি কার্ড নিয়ে অনিয়মের চিত্র বেরিয়ে এসেছে। এমন অভিযোগ উঠেছে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নাছিমা বেগম এর বিরূদ্ধে।
চলতি ভিজিডি চূড়ান্ত তালিকা করা হয় গত বছর ডিসেম্বর। তালিকায় পুরো ইউপিতে মোট ২১৫ জন সুবিধাভোগী নারী রয়েছেন। তাদের সবাইকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হচ্ছে। যার মেয়াদ আগামী ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ভুক্তভোগীরা ঘোষনগর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামেরবিলকিছ ও রাশেদা খাতুন বলেন, আমাদের কাছে কাউন্সিলর নাছিমা ভিজিডি কার্ড করে দেওয়ার জন্য ৮ হাজার টাকা চায়। আমরা নিরুপায় হয়ে ৫ হাজার টাকা তাকে দেয়ার পর আমাদের ভিজিডি কার্ড দেয়। ৫ মাস পর আবারো আমাদের থেকে ৩ হাজার টাকা চেয়ে বসে। এই করোনার সময় আমাদের স্বামীর কাজকর্ম নেই। এখন আমরা তাকে ৩ হাজার টাকা কোথায় থেকে দিবো। টাকার জন্য কাউন্সিলর নাছিমা বার বার চাপ দিচ্ছে।
ইউনিয়নের বরহট্রি গ্রামের বিধবা আলেয়া বেগম ক্ষোভ নিয়ে বলেন হামি (আমি) নাছিমার কাছে বিধবা ভাতা করে নেওয়ার জন্য কতবার ঘোরনো (ঘুরেছি) হামি (আমি) টাকা দেওয়া পারিনি দেখে হামাক (আমাকে) বিধবা ভাতা করে দিলো না। হামি (আমি) গরীব মানুষ কাজ করে খাই । নাছিমা হামাক (আমাকে) বলছে ওই বাঁচে থাকতে হামাক ( আমাকে) বিধবা ভাতা কেউ করে দিতে পারবে না।
তবে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে কাউন্সিলর নাছিমা বেগম বলেন, ভিজিডি কার্ড করার জন্য কোনো টাকা নেওয়া হয় না। যাঁরা তালিকাভুক্ত হয়েছেন, কেউ এ ধরনের অভিযোগ করতে পারবেন না। কার্ড না পেয়ে এ ধরনের অভিযোগ অনেকে করতে পারেন। বয়স না হয়েও বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ। তিনি বলেন আমার স্বামী নামাজে গেছে নামাজ থেকে এসে আমার স্বামী আপনার সাথে কথা বলবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও লিটন সরকার বলেন, ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ পেলে। সত্যতা পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গর্ভবতী না হয়েও মাতৃত্বকালীন ভাতা দেওয়ার অভিযোগ এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন কাউন্সিলর নাছিমা বেগমকে এ বিষয়ে শোকজ করা হয়েছিলো। তিনি সঠিক উওর দিতে পারেন নি। তার উওর আমার কাছে সন্তোষজনক নয়। বিষয়টি আমি আমার উদ্ধোতন কর্মকর্তার নিকট পাঠিয়েছি।
প্রসঙ্গত, ওই সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর বিরুদ্ধে গর্ভবতী না হয়েও ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে মাতৃত্বকালীন ভাতা দেওয়া, টাকার বিনিময়ে বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।