শনিবার ● ৫ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » পার্বত্য অঞ্চলে আইনের প্রয়োগ যথা সময়ে না হওয়া : ভুমি নিয়ে আইনগত জটিলতার কারণে ভুমিদস্যুরা সরকারী ১টি জায়গা থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে ১০ কোটি টাকা
পার্বত্য অঞ্চলে আইনের প্রয়োগ যথা সময়ে না হওয়া : ভুমি নিয়ে আইনগত জটিলতার কারণে ভুমিদস্যুরা সরকারী ১টি জায়গা থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে ১০ কোটি টাকা
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (৫ মার্চ ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৪০মিঃ) পার্বত্য চট্টগ্রাম বান্দরবান,খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় প্রতি দিন শতশত একর সরকারী ও ব্যক্তিমালিকাধীন ভুমি রাতারাতি দখল করে নিচ্ছে বেআইনী দখলদারেরা ৷ জাতীয় ও স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা/কর্মীদের সমন্বয়ে বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলী,বিএনপি ও পিসিজেএসএস দলের নাম ব্যবহার করে একটি চক্রের ভুমিদস্যুরা নামে বেনামে বেআইনী ভাবে দখল করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি - কোটি টাকা বিশেষ করে রাঙামাটি শহরে ডিসি বাংলো এলাকা,পুরাতন পুলিশ লাইন এলাকা,পুরাতন ষ্টেডিয়াম এলাকা (উন্নয়ন বোর্ডের পিছনে),পুরাতন হাসপাতাল এলাকা,বাস ষ্টেশন (শান্তি নগর),কৃষি সম্প্রসারন এলাকা,ফরেষ্ট কলোনী,জেলা প্রশাসক এর কার্যালয় (সোনালী ব্যাংক এর পিছনে),জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী এলাকা (পাবলিক হেলথ),রাঙামাটি সদর হাসপাতাল এলাকা,কলেজ গেইট এলাকা, টিটিসি সড়ক,পিটিআই সড়ক,ভেদ ভেদী,রেডিও সেন্টার,টিভি সেন্টার ও মানিকছড়ি এলাকায় প্রতিনিয়ত অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠছে ৷
রাঙামাটি শহরে দুই বছরের ভিতর কলেজ গেইট ও ভেদ ভেদী এলাকায় সড়ক জনপথের জায়গাগুলো যে অবৈধ দখলদারেরা দখল করে নিচ্ছে, ভেদ ভেদী এলাকায় সড়ক জনপথের রাস্তার ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে গেছে ৷ অবৈধ ও বেআইনী দখলদারদের উচ্ছদ করা বিষয়ে প্রতিবেদক কথা বলেন,সড়ক ও জনপথ বিভাগের ভুমিকর্মকর্তার সাথে ৷ তাকে প্রশ্ন করা হয়, আপনিই তো রাঙামাটি,বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগে ভুমি সংক্রান্ত এসব দেখাশুনা করেন, ভুমি বেদখল হওয়ার ব্যাপারটা কি আপনার জানা আছে ? তার প্রতি উত্তরে ভুমি কর্মকর্তা ম্যাজিষ্টেট আব্দুল মান্নান বলেন, আপনি জেনে খুশি হবেন যে, আমি পুরো জায়গাটা পরিদর্শন করেছি এবং ভেদ ভেদীর পুরো জায়গাটা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হবে ৷ পুরো জায়গাটাই আমাদের ওখানে আট একর জমি আছে পুরোটাই সীমানা প্রাচীর দিয়ে দিচ্ছি ৷ ইতিমধ্যে ঠিকাদার কাজ করতেছে আমাদের কলেজ গেইটের কাছে ওখান থেকে তার পাশে আমাদের যে ৮ একর জমি আছে আমাদের অফিসের পাশে ওখানে প্রায় চার পাঁচ’শো চাকমা এবং বাঙালী পরিবার বসবাস করে, ওখানে এখনই আমরা সীমানা প্রাচীর দিতে পারতেছিনা কারণ এতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হবে, সে কারণে আমরা আমাদের সীমানা নির্ধারণ করে খুটি গেড়ে দিচ্ছি, পরবর্তীতে আমরা সেখানে কিভাবে করবো ভেবে দেখবো ৷ যেহেতু আমাদের প্রাচীর দেওয়ার টাকা ছিলো টেন্ডার ও হয়ে গেছে কলেজ গেইট এলাকা থেকে টাকা আমরা বদলি করছি ভেদ ভেদীতে,এবং পুরো ভেদ ভেদীতে প্রাচীর দিয়ে দিবো, আপনি দেখবেন একমাসের মধ্যে পুরো ভেদ ভেদীতে আমার জায়গার সীমানা প্রাচীর হয়ে গেছে ৷
ভুমি কর্মকর্তাকে জানানো হয় যে,সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের থাকার জন্য যে জায়গা দেওয়া হয়েছে তারা ওখানে জায়গা বিক্রি করতেছে, অতি সম্প্রতি ও জায়গা বিক্রি করেছে ৷ প্রতি উত্তরে তিনি বলেন, আপনি জেনে খুশি হবেন এগুলোর পুরোটাই সীমানা প্রাচীর হয়ে যাচ্ছে, পুরো সীমানা প্রাচীর হয়ে গেলে আমি ওখানে গিয়ে পুরোটাই উচ্ছেদ করে দিবো ৷ আমার জমি আগে আমি রক্ষা করবো ৷ আমি এসপি সাহেবের সাথে কথা বলেছি, ডিসি ও এডিসি (রাজস্ব)সাহেবে সাথে কথা বলেছি,সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাহেবের সাথে কথা বলেছি, তারা সবাই আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, তারা বলেছেন সরকারী ভুমিতে যে সব অবৈধ দখলদার রয়েছে তাদের উচ্ছেদে কোন সমস্যা হবেনা ৷ ভুমি কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হয়,রাবার বাগানের মোড়টাও কিন্তু রাঙামাটির সড়ক জনপথ বিভাগের জায়গা, সেখানে রাউজানের এমপি সাহেব তার নিজস্ব লোকজন দিয়ে দখল করে সুন্দর রেষ্টুরেন্ট করে দিয়েছেন ৷ উত্তরে তিনি বলেন,ভাইরে ! দেশতো চালাচ্ছে এমপি সাহেবরা, আমরা যদি বাঁধা দিতে গেলে আমাদের বদলি করে আমাদের হয়রানী করে, কি করবো ভাই আমরা যদি স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের সহযোগিতা না পায় আমরা কিভাবে কাজ করবো বলেন আপনি ভাই ! আপনি দেখেন কলেজ গেইটে আমাদের অফিসের প্রচীরটা আর ত্রিশ হাত হলে পুরো প্রাচীরটা হয়ে যায়, ওখানে আমি গেলাম, লোকজন বলে তারা দোকান পাট তৈরী করছে, তারা বলে আমরা কোথায় যাবো ? বাঙালী পরিবার ,আমি বললাম তাহলে তোমাদের যা ইচ্ছে তাই করো, আমরা আমাদের প্রাচীর দেবো, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হলেও আমরা দায়ী নয় ৷
এব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আতিকউল্যা ভুঁইয়া বলেন, ভেদ ভেদী এলাকায় এনএসআই’কে জায়গা দেওয়ার পরে আমাদের কাছে যে পরিমাণ জায়গা থাকার কথা তা আমাদেরকে বুঝাইয়া দেওয়ার কথা, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কতটুকু জায়গা আছে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি চিঠি আছে ওদের কানুনগোর কাছে যে আমাদের সীমানা নির্ধারণ করে পরিমাপ পরিচিহ্নিত করে দেওয়ার জন্য, আমরা ও বেশ কয়েকমাস ধরে জেলা প্রশাসকের অফিসে ঘুরতেছি যে আমাদের কতটুকু জায়গা সেটা পরিমাপ ও পরিচিহ্নিত করে দেওয়া হোক, আমরা সীমানা প্রাচীর করবো ৷ রাঙামাটি সদর উপজেলা এসি ল্যান্ড এর সাথেও একাধীকবার যোগাযোগ করেছি,তারাও কেবল সময় ক্ষেপণ করছেন, তিনি বলেন, এখন সড়ক ও জনপথের জায়গায় কে বা কারা আছে উচ্ছেদের ব্যাপারে পরে চিন্তা করে আমাদের লক্ষ হচ্ছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন যদি পরিমাপ পরিচিহ্নিত করে সীমানা বুঝিয়ে দেয় যে এটা আমাদের জায়গা,চিহ্নিত করার সাথে সাথে আমরা সীমানা প্রাচীর করবো ৷ সীমানা প্রাচীর হয়ে গেলে আমাদের প্রাচীরের ভিতর যারা যারা থাকবে বা আছে তারা অবৈধ দখলদার হিসাবে গণ্য হবে ৷ এখানে শুরুর দিকে ১২ একরের মত জায়গা ছিলো তার মধ্যে ৫ একরের মত স্থায়ী বন্দোবস্ত ছিল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নামে, আর বাকি ৭ একর ছিল সড়ক ও জনপথ (আমাদের) দখলে ৷ পরবর্তীতে ভেদ ভেদী টেনিস কোর্ড এলাকায় মসজিদের জন্য তিন একর জায়গা দেওয়া হয়েছে, সব মিলিয়ে ৭ একর ৫৬ শতাংশ জায়গা আমাদের রেকর্ডে রয়ে গেছে ৷ তবে হ্যাঁ রেকর্ডের বাহিরে যেগুলো দখলে ছিলো সেগুলো আমরা যাদের কাছ থেকে হুকুম দখল করে নিয়ে ছিলাম তাদেরই একমাত্র ফেরত পাওয়ার অধিকার আছে ৷ আতিকউল্যা ভুঁইয়া বলেন, আমিও শুনে ছিলাম আমাদের ষ্টাফরা কাউকে থাকতে দিচ্ছে, ঘর বেধে থাকতে থাকতে বিক্রি করে চলে গেলো আরেক জায়গায়, অনেক সময় ষ্টাফরা বিক্রি করতেছে ৷ রাস্তার ইট খুলে নিচ্ছে, সড়ক ও জনপথের বিল্ডিংয়ের সাথে মুরগীর ফার্ম করতেছে এগুলোর বিষয়ে অতিদ্রুত উদ্যোগ ও সেটাই হবে যে আমারে সীমানা প্রাচীর দিয়ে যারা যারা সীমানা প্রাচীরের ভিতর পরবে তাদের উচ্ছেদ আইনে উচ্ছেদ করে দেওয়া ৷
বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন, ভেদ ভেদীতে সীমানা প্রাচীরের কাজ শুরু হবে দুইএক দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট সময় হচ্ছে বৃহষ্পতিবারে ৷ ওখানে যে যা করুক সড়ক ও জনপথ বিভাগের যে পরিমাণ জায়গা আছে এনএসআই’কে দেওয়ার পর ৮ একর পরিমাণ সবখানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য মালামাল ইতিমধ্যে ক্রয় করে আনছে ঠিকাদার, বৃহষ্পতিবার মালামাল রড,সিমেন্ট আমার বাসায় রাখছে ৷ এখন কাজ শুরু করার আগে বুঝায় দেওয়ার জন্য আমরা গত আগষ্ট ২০১৫ মাসে ডিসি’র কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছিলো ডিসি সাহেব কিছুই করতে পারেন নাই, গত ৩ মার্চ ২০১৬ বৃহষ্পতিবারে এডিসি’সাহেবকে বলা হয়েছে, তিনি জানান নির্দেশনা দেয়া আছে,তিনি নিজে বলে দিয়েছিলেন ইত্যাদি,এসব কিছু না তিনি বুঝিয়ে দিবেন, বললেন আগামী সপ্তাহে বুঝিয়ে দিবেন, আগামী সপ্তাহে বুঝিয়ে দিলে যে জায়গা নামেও ছিলনা, নামে আনতে সময় লাগবে ৷ সীমানা প্রাচীরের কাজের কার্যাদেশ হয়ে গেছে ইতিমধ্যে ৷ আর কলেজ গেইট এলাকায় আমরা সীমানা প্রাচীর দিয়েছি, কিছু বাকী আছে দিতে পারি নাই সেখানে ঘর-বাড়ী বেশী আছে ২৫০-৩০০ ঘর-বাড়ী আছে, ডিসি সাহেব বললেন সামাল দিতে পারবেন না, উচ্ছেদ মামলা তৈরী (রেডি) আছে এবং এ ব্যাপারে ডিসি সাহেবের ক্ষমতাসীন রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ নেতা দীপংকর তালুকদারের সাথে কথা হয়েছে ৷ সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা বিক্রয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, বেচাকেনা যেই করুুক তারা কেউ মালিকানা পাবেনা ৷
৫ মার্চ শনিবার ভেদ ভেদী সড়ক ও জনপথ বিভাগের অফিসার্স ষ্টাফ কোয়াটার এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, ১মাসের ব্যবধানে ৫০-৭০টি স্থাপনা একেবারে নতুন ভাবে নির্মান করা ৷
সড়ক ও জনপথ বিভাগের চলাচলের রাস্তার ইট পর্যন্ত তুলে নিয়ে মুরগী ফার্মে কাজে লাগিয়েছে অবৈধ দখলদারেরা ৷
রাঙামাটি শহরে সরকারী জায়গা অবৈধ ভাবে বিক্রয় করার জন্য একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে, ভুমিদস্যু,জায়গার দালাল ও সরকারী জায়গা অবৈধ ভাবে বিক্রয় করার সংঘবদ্ধ এই দলে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ,বিএনপি ও পিসিজেএসএস রাজনীতিতে সক্রিয় আছে এমন ধরনের জেলা,উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতাকর্মীরা সরাসরী জড়িত আছে ৷ চক্রটির সদস্যরা যখন যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকে সে দলের ব্যানারে নিজেদের যুক্তকরে অপকর্ম চালু রাখে ৷
ভুমিদস্যু,জায়গার দালাল ও সরকারী জায়গা অবৈধ ভাবে বিক্রয় করার সংঘবদ্ধ এই দলটির সাথে সখ্যতা রয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ড রুম ও ভুমি হুকুম দখল শাখায় কর্মরত কর্মচারীদের,সদর উপজেলা ভুমি অফিসের কর্মচারীদের,বাজার ফান্ড অফিসের কর্মচারীদের,স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের,১০২ নং রাঙ্গাপানি মৌজার হেডম্যান চাকমা সার্কেল চীফ এর অফিসের কর্মচারীদের,স্থানীয় গেয়েন্দা সংস্থা’র মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীদের ও স্থানীয় রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্যদের সাথে ৷
ভুমিদস্যু,জায়গার দালাল ও সরকারী জায়গা অবৈধ ভাবে বিক্রয় করার সাথে জড়িত সংঘবদ্ধ এই চক্রটি অত্যান্ত প্রভাবশালী হওয়াতে কেউ মুখ খোলতে চায় না ৷
ভেদ ভেদী সড়ক ও জনপথ বিভাগের এলাকায় প্রায় ২২ একর ভুমি রয়েছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ দাবি করেছে তাদের ১২ একর৷ ভুমির বাকি জায়গা গুলি ১০ একর তাহলে কি ফেতত্ পাবেন ৩৩ বছর যাদেরকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বসত বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে ছিলেন ! হয়তো কোন দিনও ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের লোকজন তারা তাদের পৈত্রিক ভিটামাটি আর কোন দিন ফেতত্ পাবেন না ৷ কেবল মাত্র পার্বত্য অঞ্চলে আইনের প্রয়োগ যথা সময়ে না হওয়া এবং ভুমি নিয়ে আইনগত জটিলতার কারণে ভুমিদস্যু,জায়গার দালাল ও সরকারী জায়গা অবৈধ ভাবে বিক্রয় করার সাথে জড়িত চক্রটি ভেদ ভেদী সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি জায়গা থেকে চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে প্রায় ১০ কোটি টাকা ৷
এবিষয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ভুমি থেকে অবৈধ ভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে তারা যে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সারাক্ষণ সহযোগিতা করা হচ্ছে এবং জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় পূর্বে থেকে নির্দেশনা দেয়া আছে তারা যেন তাদের জায়গা থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে সীমানা প্রাচীর নির্মান করতে পারে ৷