শুক্রবার ● ২ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » জাতীয় » দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই
দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই
অনলাইন ডেস্ক :: দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
গত বুধবার সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ও মোশাররফ হোসেন প্রস্তাবিত বাজেট পাসের সময় ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়া) পরিবারের সদস্যরা দরখাস্ত করলেন। তারা দরখাস্তে বলেছিলেন, তাকে বিদেশ নিয়ে যেতে হবে। তাদের আবেদনে আইনের ধারার কথা উল্লেখ ছিল না। ওই আবেদনকে ৪০১ হিসেবে ট্রিট করে দুটি শর্ত দিয়ে তার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। শর্ত দুটি হচ্ছে— তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং তিনি দেশে থেকে চিকিৎসা নেবেন। তারা (খালেদা জিয়ার পরিবার) এটা গ্রহণ করেছিলেন। গ্রহণ করে তারা বেগম জিয়াকে জেলখানা থেকে বাসায় নিয়ে কার্যকরী করেছিলেন।’
বিএনপির নেতারা কথায় কথায় বিদেশ পাঠানোর কথা বলেন মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘একটি দরখাস্ত যখন নিষ্পত্তি হয়ে যায় সেটা কি আবার পুর্নবিবেচনা করা যায়? তারা তো দরখাস্ত করে শর্ত মেনে মুক্ত করে এনেছেন। তারপর এখন বলছেন বিদেশে যেতে হবে। আবার দরখাস্ত করলেন। এটা কী রকম কথা! ওই দরখাস্ত তো শেষ (নিষ্পত্তি)। সেটার ওপর তো আর কেউ কিছু করতে পারবে না। ৪০১ এর যে দরখাস্ত হিসেবে সেটা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে, ওটা তো মঞ্জুর হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইনে ছয়টি উপধারা আছে। এর মধ্যে কোথাও যদি দেখাতে পারেন আবার দরখাস্ত করতে পারবেন, আবার পুনর্বিবেচনা করতে পারবেন, তাহলে আমি আইন পেশায় থাকব না।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রসঙ্গ টেনে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তো চিকিৎসা পাননি কোথায়? যারা হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন না, চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে যদি বাধাগ্রস্ত হন— তারা এমন নজির দেখাতে পারবেন না যে, আমরা বাধাগ্রস্ত করেছি। তাহলে চিকিৎসা পাননি এই কথা বলেন কেন? নিরর্থক পলিটিক্যাল স্টান্টবাজি করলে তো হবে না।’
মুক্তির ক্ষেত্রে আইনের বিধান তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্তি দিতে হলে সেটা আইনের মাধ্যমেই করতে হবে। এ ক্ষেত্রে একটি উপায় আছে, তারা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা চাইতে পারেন বা ৪০১ ধারায় সরকারের কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। ক্ষমা চাইলে তারা বিবেচনা করলে ক্ষমা করতে পারেন। আর সেই ক্ষমা চাইতে গেলে অবশ্যই দোষ স্বীকার করে চাইতে হবে। এ ছাড়া, এই সংসদে বক্তৃতা দিয়ে বা অন্য উপায়ে.. আইনটা দেখান। আইন দেখালে যদি আমরা না করি তাহলে বলতে পারবেন।’