সোমবার ● ১৯ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বান্দরবানে পল্লী চিকিৎসককে অপহরণের পর হত্যা
বান্দরবানে পল্লী চিকিৎসককে অপহরণের পর হত্যা
বান্দরবান প্রতিনিধি :: বান্দরবানে সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের ক্যামলং পাড়া থেকে এক পল্লী চিকিৎসক ও আওয়ামী লীগ কর্মীকে অপহরণের পর হত্যা করেছে পাহাড়ের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা।
নিহত ব্যক্তির নাম উগ্য মারমা (৪১)। এবং উগ্য মারমা দীর্ঘদিন ধরে ক্যামলং পাড়ায় ওষুধের ফার্মেসির দোকান করে আসছিলেন। আজ সোমবার ১৯ জুলাই সকালে সদর উপজেলার ২ নং কুহালং ইউনিয়নের বাকিছড়া এলাকার ক্যম্বপাড়ার মুখ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় ৮টার দিকে পাহাড়ের একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ওষুধের ফার্মেসি থেকে উগ্য মারমাকে জনসম্মুখ অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকার জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান সদর থানা ওসি শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঘটনার খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে পাহাড়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়ে গেছে। তারা স্থানীয়দের জিম্মি করে চাঁদাবাজি, অপহরণ, গুম খুন খারাবি চালিয়ে যাচ্ছে। গত (২০ জুন) শুক্রবার রাতে বান্দরবান সদর উপজেলার ২নং কুহালং ইউনিয়নের ভাংগামুড়া চেমীর মুখ এলাকা থেকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী এক কৃষি খামারিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং তার নাম নুরুল হক। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ওই এলাকায় অভিযান চালিয়েও অপহৃতের হদিস পায়নি। পরে ঘটনার ৭দিনের মাথায় তাকে পার্শ্ববর্তী চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীরা ছেড়ে দেয়। সর্বশেষ রবিবার সন্ধ্যায় পল্লী চিকিৎসক ও আওয়ামী লীগ কর্মী উগ্য মারমা (৪২)কে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে কুহালং ইউনিয়নের বাকিছড়া এলাকার ক্যম্বপাড়ার মুখ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।