বৃহস্পতিবার ● ২২ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » ঢাকা বিভাগ » ঈদের পরদিনই কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ
ঈদের পরদিনই কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষ না হতেই, জীবিকার প্রয়োজনে ঈদের পরদিনই কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। শুক্রবার থেকে আবারও কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় যে যেভাবে পারছে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দীর্ঘ হচ্ছে যানবাহনের সারি।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে দৌলতদিয়া ঘাটে দিয়ে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার জুড়ে নদী পার হতে আসা যানবাহনের দীর্ঘ সারি।
বাসের টিকেট না পেয়ে অনেকেই ভেঙে ভেঙে বাড়তি ভাড়া দিয়ে রওনা হয়েছেন ঢাকার উদ্দেশে। দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পাড়ের অপেক্ষায় আটকা পড়ে আছে হাজার হাজার মানুষ ও শত শত যানবাহন।
যোগাযোগ করা হলে দৌলতদিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন জানান, বর্তমানে এই নৌরুটে মোট ১৬টি ফেরি সার্বক্ষণিক যানবাহন পারাপার করছে।
তবে, বাড়তি যানবাহনের কারণে ঘাট এলাকায় ফেরির সিরিয়াল পেতে দেরি হওয়ায়, বেশ কিছু গাড়ি আটকা পড়েছে।
আটকে থাকা যানবাহনের মধ্যে কিছু পণ্যবাহী ট্রাক থাকলেও, যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাসই বেশি। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দীর্ঘ হচ্ছে আটকে পড়া যানবাহনের সারি। তীব্র গরমে যানবাহনের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন, এছাড়াও আছে রাতের দুশ্চিন্তা।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ থানার ওসি মো. আব্দুল্লাহ আল তায়েবীর জানান, ঘাটে রাতে নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার কোন আশঙ্কা নেই।
বিআইডব্লিউটিসির স্থানীয় কার্যালয় সূত্র জানায়, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বর্তমানে অতিরিক্ত যানবাহন নদী পারাপার হতে দৌলতদিয়া ঘাটে আসছে। এতে নদী পার হতে যানবাহনগুলোকে ফেরির সিরিয়াল পেতে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
অপরদিকে ৫ ও ৬নং ফেরি ঘাটের এপ্রোচ সড়কে যাত্রীবাহী একটি বাস এক্সেল ভেঙে আটক পড়ায়, এ দুটি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। তবে, অন্যান্য ফেরিঘাট দিয়ে যানবাহন ফেরিতে উঠছে।
এছাড়া, নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ফেরিগুলো স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কিছুটা সময় বেশি সময় নিয়ে নদী পার হচ্ছে। সূত্র: দ্য ডেইলী ষ্টার