শনিবার ● ১৪ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » ঢাকা » গুম হওয়া ব্যক্তিদের তথ্য প্রদানের বিষয়টি উপেক্ষা সরকারের দায়িত্বশীলতার পরিচয় নয়
গুম হওয়া ব্যক্তিদের তথ্য প্রদানের বিষয়টি উপেক্ষা সরকারের দায়িত্বশীলতার পরিচয় নয়
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে গুম হওয়া ৩৪ জন ব্যক্তি সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারের কাছে যেসব তথ্য জানতে চেয়েছে তাকে উপেক্ষা করার কোন অবকাশ নেই। গুম হওয়া এসব হতভাগ্য ব্যক্তির তথ্য জানাতে অস্বীকৃতি বা পুরো বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া মানবাধিকার ও দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের রাজনৈতিক অংগিকার ও দায়িত্বের পরিপন্থী।
বিবৃতিতে তিনি এই ব্যাপারে গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বলেন, অন্য দেশের গুমের উদাহরণ দিয়ে বাংলাদেশে সংঘটিত গুমের ঘটনাবলীকে পাত্তা না দেওয়া একে পরোক্ষ অনুমোদন দেবার সামিল, এসব বিষয়কে হালকা করে দেখা সরকারের দায়িত্বহীনতার ও বহিঃপ্রকাশ।
তিনি উল্লেখ করেন , দেশের মানবাধিকার সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী গত ক’বছরে দেশে পাঁচ শতাধিক গুমের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এসব গুমের ঘটনার এক বড় অংশের সাথে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সংশ্লিষ্টতার খবর ও নানাভাবে প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণেও গুমের ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে।তিনি বলেন, যে কারণেই গুমের ঘটনা ঘটুক না কেন গুম হওয়া ব্যক্তিকে উদ্ধার করা ও সুস্থ শরীরে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। তিনি বলেন, জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক সংস্থা কি বললো তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সরকার হিসাবে নিজ দেশের গুম হওয়া বা অপহরণের শিকার হওয়া প্রত্যেক নাগরিককে উদ্ধার করা, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।তিনি বলেন,গুমের সংখ্যার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে গুম - অপহরণ পুরোপুরি বন্ধ করা।
তিনি বলেন , সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছে বাংলাদেশে গুমের ঘটনা নগন্য মনে হতে পারে, কিন্তু গুম হওয়া পরিবারের কাছে ঐ একজন ব্যক্তিই সবকিছু।
বিবৃতিতে তিনি আশা করেন যে,সরকার জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গুম সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রদান করে নিজেদের স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতা প্রমাণ করবেন এবং সর্বোপরি গুম ও অপহরণের শিকার সকল নাগরিকদের উদ্ধার করতে সর্বাত্বক প্রচেষ্টা গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি এসব মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে যুক্ত সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন।