মঙ্গলবার ● ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » বন্যায় ১ হাজার ৫১৫ হেক্টর ফসলের ক্ষতি
বন্যায় ১ হাজার ৫১৫ হেক্টর ফসলের ক্ষতি
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা :: টানা বৃষ্টি, উজানের পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদের পানি বেড়ে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটাসহ চার উপজেলায় ১ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী জেলায় রোপা আমন ১৪৯৫ হেক্টর ও শাকসবজির ক্ষেত ২০ হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এসব জমিতে রয়েছে ধান, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল। এই নিয়ে হাজারো কৃষক চরম বিপাকে পড়েছে। অবশ্য বন্যার পানি কমতে থাকায় ক্ষয়ক্ষতি কম হবে বলে কৃষি বিভাগ মনে করছে।
গাইবান্ধার চার উপজেলার শতাধিক চর-দ্বীপ চরের ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদের ধারে ওই এলাকাতেই আমন সহ অন্যান্য শাকসবজি বেশি হয়। বন্যায় তলিয়ে গেছে রোপা আমন ও শাকসবজিসহ বেশ কিছু ফসলের ক্ষেত। এখনো চরাঞ্চলের ফসলি ক্ষেত ডুবে আছে। এতে অনেক কৃষক পরিবার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। সরকারিভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়নি।
কৃষকরা জানিয়েছে, বন্যার পানির নিচে তলিয়ে আছে ফসলের জমি। ইতিমধ্যে ধানগাছ পচতে শুরু করেছে। তবে পানি কমতে থাকায় তাদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে। এদিকে ফসল হারিয়ে কৃষকদের মাঝে চরম হতাশা নেমে এসেছে। বেশির ভাগ কৃষক এনজিও, ব্যাংক অথবা চড়া সুদে মহাজনের কাছ থেকে ঋণে টাকা এনে ধান চাষ করেছে। এখন বন্যায় ফসলহানিতে তারা দুই চোখে অন্ধকার দেখছে।
ফুলছড়ির গাবগাছি গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান (৪৫) বলেন, ৪ বিঘা জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করেছিলাম। পানিতে ডুবে সব নষ্ট হয়ে গেছে। ওই গ্রামের আব্দুর রহিম (৪৮) বলেন, ৭ বিঘা জমিতে আমন ধান ও বেশ কিছু শাক-সবজি ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ধারদেনায় আবাদ করে এখন বিপাকে পড়েছি।
তিনি বলেন, গাবগাছি গ্রামের প্রায় সব কৃষক কমবেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন। অনেকের গাঞ্জিয়া ধানের বীজতলা, বেগুনের বীজতলা, করলা, কাঁকরোল,পটল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ওই ইউনিয়নের খোলাবাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৩৩) বলেন, আমার ১৬ বিঘার জমির আমন ধান পানির নিচে তলাইয়া গেছে। এতে করে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছি। এসব জমিতে গাঞ্জিয়া ধানের আবাদ করার বীজতলাও নষ্ট হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, আশা করছি দু-এক দিনের মধ্যে পানি আরও কমে যাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদরসহ চার উপজেলার বন্যায় ১ হাজার ৫১৫ হেক্টর ফসলের ক্ষতি এরমধ্যে রোপা আমন ১৪৯৫ হেক্টর ও শাকসবজির ক্ষেত ২০ হেক্টর পানিতে তলিয়ে গেছে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হবে। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ফসল ও বন্যা পরবর্তী করণীয় বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও শিক্ষাবৃত্তি-২০২১
গাইবান্ধা :: ‘মেধা শ্রম সম্প্রীতি আগামীর গাইবান্ধা বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজে সুযোগপ্রাপ্ত “কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও শিক্ষাবৃত্তি-২০২১’ প্রদান করা হয়েছে। ৪৩ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংবর্ধনা ক্রেস্ট ও প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।
মঙলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গাইবান্ধা জেলা প্রসাশকের সম্মেলন কক্ষে মাইন্ডব্রিজ ট্রাস্ট ও পুসাগের যৌথ উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে সংবর্ধনা ক্রেস্ট ও শিক্ষাবৃত্তির অর্থ তুলে দেয়া হয়।
গাইবান্ধা জেলা প্রসাশক আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার।
নীলিমা আখতার কৃতি শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। ভবিষ্যতে আরো ভালো ফলাফল করার জন্য লেখাপড়ায় আরো বেশি মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান তিনি।
সভায় অন্যান্যর মধ্যে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখেন বিটিসিএল এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. এম হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (সার্বিক) সাদেকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল হাসান, মাইন্ডব্রিজ ট্রাস্টের পক্ষে আরিফুল ইসলাম বাবু, পুসাগের সভাপতি হুসেইন মোঃ জীম, নির্বাহী সভাপতি ডাঃ তন্ময় নন্দী, সাধারণ সম্পাদক এ.কে. প্রামানিক পার্থ, এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিকসহ শিক্ষার্থীদের অবিভাবক সহ আরও অনেকে।