বুধবার ● ৯ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহে ২০ লাখ টাকার গাছ কেটে নিয়েছে দুর্বত্তরা : প্রশাসন নীরব
ঝিনাইদহে ২০ লাখ টাকার গাছ কেটে নিয়েছে দুর্বত্তরা : প্রশাসন নীরব
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (৯ মার্চ ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় রাত ৯.১৯মিঃ) ঝিনাইদহের শৈলকুপার প্রতাপনগর-মহিষাডাঙ্গা রাস্তার সামাজিক বনায়নের ২০ লাখ টাকার সরকারী গাছ রাতের আধারে কেটে নিয়ে গেছে দুর্বত্তরা ৷ এ নিয়ে প্রশাসনে কোন উচ্চবাচ্য নেই ৷ পুলিশ একেবারেই নীরব রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ জানা গেছে শৈলকুপার আবাইপুর ইউনিয়নে দুই কিলোমিটার রাস্তায় পাঁচ হাজার গাছ ছিল ৷ সেখানে এখন এক হাজার গাছ আছে ৷ বাকী ৪ হাজার গাছ রাতারে আধারে কেটে ফেলা হয়েছে ৷ এই গাছ কাটার সাথে প্রশাসনের যোগসাজস আছে বলে স্থানীয় গ্রামবাসির অভিযোগ ৷ রাস্তার পাশে অন্তত একশ গাছের শেকড় পড়ে আছে ৷ ধাওড়া গ্রামের মনিরম্নল ইসলাম বলেন, রাতের আধারে যখন গাছ কাটে, বাধা দিতে ভয় পায় এলাকার মানুষ ৷ গাছ কাটার সময় বহুবার পুলিশকে ফোন দেয়া হলেও ব্যাস্তাতার অজুহাতে পুলিশ আর ঘটনাস্থলে আসেনি ৷ সামাজিক বনায়ন কমিটির কমিটির সদস্য সিতলী গ্রামের সাঈদ খান জানান, বড় বড় বাবলা, মেহগুনি, ও গামারিসহ লাখ লাখ টাকার গাছ কাটার সময় শৈলকুপা থানা পুলিশকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি ৷ মহিষাডাঙ্গার রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ দিলেও বণবিভাগ কোন ব্যাবস্থা নেয়নি, এমনকি দেখতেও আসেনা ৷ নাগিরাটের মুক্তার হোসেন বলেন, নিচ থেকে শুরু করে উপর মহল পর্যন্ত ম্যানেজ করে সরকারী এই গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে ৷ প্রতাপ নগরের ইখতিয়ার বলেন, গত রাতে গাছ কাটার সময় গ্রামবাসি তাদের ধাওয়া দিলে তারা করাত রেখে পালিয়ে যায়৷ এ ব্যপারে শৈলকুপা থানার ওসি মুহিবুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে কেউ ফোন দেয়নি ৷ আমি নতুন এসেছি ৷ হয়তো আগের কোন ওসিকে ফোন দিতে পারে ৷ এ ব্যাপারে ফরেষ্ট অফিসার খাইরুল আলম বলেন, রাত ১২ টার দিকে ফোন দিলে আমি গ্রামবাসিকে সহায়তা করতে বলি ৷ কিন্তু তারা কেও আমাকে সহায়তা করেনি ৷ এখন উল্টো আমাকে দোষারোপ করছে ৷