বুধবার ● ৯ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহে ব্যাংক কর্মকর্তার কান্ড : প্রবাসির স্ত্রীকে ভাগিয়ে বিয়ে
ঝিনাইদহে ব্যাংক কর্মকর্তার কান্ড : প্রবাসির স্ত্রীকে ভাগিয়ে বিয়ে
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (৯ মার্চ ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় রাত ৯.২৪মিঃ) ঝিনাইদহ ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) তৌহিদুর রহমানকে নারীসহ থানায় আটক করেছে থানা পুলিশ ৷ তৌহিদুর রহমান খুলনার গল্লামারি এলাকার এনায়েত হোসেনের ছেলে ৷ ৯ মার্চ বুধবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটক রাখা হয় তাকে ৷ এ খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন ব্যাংকটির ম্যানেজার (ভিপি) শেখ আব্দুস সালাম ৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থানা থেকে ছড়িয়ে নেয়ার জন্য জোর তত্পরতা চলছে বলে জানা গেছে ৷ এ জন্য এক লাখ ২০ হাজার টাকায় দেন দরবার করা হয়েছে ৷ পুলিশের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের ম্যানেজ করারও দায়িত্ব নিয়েছে ৷ ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, ঝিনাইদহ জেলা শহরের কাঞ্চন নগর পাড়ার আলী অহম্মদের সৌদি প্রবাসী ছেলে নুর আলমের স্ত্রী ছিলেন আমিনা পারভীন ম্মৃতি ৷ নাতাশা আইভি নামের ৮ বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের ৷ বিদেশ থেকে স্বামীর পাঠানো টাকা উত্তোলনের জন্য স্ত্রী আমিনা পারভীন ম্মৃতিকে প্রায় ব্যাংকে যাতায়াত করতে হয় ৷ এর ফাঁকে ব্যাংকের এসপিও তৌহিদুর রহমানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ৷ তারা গত বছরের আগষ্ট মাসে একটি ভুয়া কাবিন নামা তৈরী করে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে থাকে ৷ বিষয়টি সন্দেহ জনক হওয়ার কারনে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে আনে ৷ অবশ্য স্মৃতির দেবর ফারুক হোসেন ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি চুরির মামলা করেছেন ৷ তাতে অভিযোগ করা হয়েছে তার ভাবি স্মৃতি ও ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) তৌহিদুর রহমান যোগসাজস করে তাদের বাসা থেকে নগদ ৫ লাখ টাকাসহ মোট ৯ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে চম্পট দিয়েছে ৷ থানায় আটক স্মৃতি খাতুন জানান, তার স্বামী দীর্ঘ ১৫ বছর খোজ নেয় না ৷ এ কারণে ২০১৫ সালের মে মাসে তাকে আমি তালাক দিয়েছি ৷ ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) তৌহিদুর রহমান জানান, আমার স্ত্রী মরিয়মের ব্যবহার ভাল না ৷ তাই আমি সুখের কারণে স্মৃতিকে কাজী হাফিজুর রহমানের কাছে গিয়ে বিয়ে করেছি ৷ এদিকে কাজী হাফিজ স্মৃতি ও তৌহিদের বিয়ে পড়াননি বলে দাবী করেছেন ৷ তৌহিদ ও স্মৃতির ঘরে আগেড়র পক্ষের তিনটি সন্তান রয়েছে ৷ স্মৃতির দেবর ফারুক হোসেন জানান, তার ভাই নুর আলম দীর্ঘ ১৫ বছর প্রবাস থেকে স্ত্রীর নামে ইসলামী ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় ২০৫৬১ নাম্বার সঞ্চয়ী হিসাবে লাখ লাখ টাকা পাঠিয়েছে ৷ এই টাকার মধ্যে ৬০/৬৫ লাখ টাকা নিয়ে তার ভাবি ভেগে গেছে ৷ ভাইয়ের পাঠানো টাকায় সে জমিও কিনেছে ৷ ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজারের দেয়া তথ্য মতে ২০১৫ সালে ২০৫৬১ নাম্বারের হিসাবটিতে ৩ লাখ টাকার বেশী জমা করা হয়েছে ৷
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, সার্বিক বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ৷ অভিযোগ প্রমানিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷