বুধবার ● ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » নওগাঁ » বিলুপ্তির পথে গ্রামীণ ঐতিহ্য মাটির ঘর
বিলুপ্তির পথে গ্রামীণ ঐতিহ্য মাটির ঘর
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: কালের আবর্তে নওগাঁর আত্রাইয়ে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন মাটির তৈরি ঘর। এখন তেমন একটা আর চোখে পড়েনা গ্রাম বাংলার চির ঐতিহ্যের নিদর্শন সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা শান্তির নীড় মাটির তৈরি বাড়ি (ঘর)। যা এক সময় ছিল গ্রামের মানুষের কাছে মাটির বাড়ি বা ঘর গরিবের এসি বাড়ি নামে পরিচিত।
বেশি দিনের কথা নয়, বাংলার প্রতিটি গ্রামে নজরে পরতো এই মাটির বাড়ি ঘর। ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশা-পাশি প্রচুর গরম ও শীতে বসবাস উপযোগী মাটির তৈরি বাড়ি ঘর। এসব মাটির বাড়ি ঘর আর তেমন একটা নজরে পড়ে না। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আর সময়ের পরিবর্তে গ্রাম বাংলা থেকে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি বাড়ি ঘর বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এই বাড়ি ঘর শীত ও গরম মৌসুমে আরামদায়ক বলে গ্রামের অনেক বিত্তবানও এই মাটির দ্বিতল বাড়ি ঘর তৈরি করেন।
জানা যায়, অতি প্রাচীনকাল থেকেই মাটির বাড়ি বা ঘরের প্রচলন ছিল। গ্রামের মানুষের কাছে এই বাড়ি বা ঘর ঐতিহ্যের প্রতীক ছিল। গ্রামের বিত্তবানরা এক সময় অনেক অর্থ ব্যয় করে মজবুত মাটির দ্বিতল বাড়ি ঘর তৈরি করতেন। যা এখনও কিছু কিছু গ্রামে চোখে পড়ে। এঁটেল বা আঠালো মাটির কাঁদায় পরিণত করে ২-৩ ফুট চওড়া করে দেয়াল বা ব্যাট তৈরি করা হয় ১০-১৫ ফুট উঁচু। দেয়ালে কাট বা বাঁশের শিলিং তৈরি করে তার ওপর খর বা টিনের ছাউনি দেয়া হয়। মাটির বাড়ি ঘর অনেক সময় দোতলা পর্যন্ত করা হতো। সব ঘর বড় মাপের হয়না। গৃহিনীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাটির দেয়ালে বিভিন্ন রকমের আল্পনা এঁকে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেন। প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও বর্ষা মৌসুমে মাটির বাড়ি ঘরের ক্ষতি হয় বলে বর্তমান সময়ে দীর্ঘ স্থায়ীত্বের কারণে গ্রামের মানুষরা ইটের বাড়ি নির্মাণের আগ্রহী হচ্ছেন। ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে একটি একটি মাটির বাড়ি শত বছরেও বেশি স্থায়ী হয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে কালের বিবর্তনে ইটের দালানকোটা আর বড় বড় অট্রালিকার কাছে হার মানছে মাটির বাড়ি ঘর।
উপজেলার শাহাগোলা গ্রামের আজাদ সরদার, ভবানীপুরের রমজান আলী, রসুলপুর গ্রামের মোবারক আলী, হাতিয়াপাড়া গ্রামের হাফিজুল, আয়তালী ও আব্দুস সামাদসহ আরো অনেকে জানান, মাটির তৈরি এই বাড়ি ঘর তারা পেয়েছেন পৈত্রিক ভাবে। তাদের পূর্ব পুরুষরাও এই মাটির তৈরি বাড়িতেই জীবন কাটিয়ে গেছেন। তাই এখনও তারা এই বাড়িগুলো ভাঙ্গেনি। মাটির বাড়ি বসবাসের জন্য আরামদায়ক হলেও যুগের পরিবর্তনে আধুনিকতার সময় অধিকাংশ মাটির বাড়ি ঘর ভেঙ্গে অধিক নিরাপত্তা ও স্বল্প জায়গায় দীর্ঘ স্থায়ী ভাবে অনেক লোকের নিবাস কল্পে গ্রামের মানুষরা ইটের বাড়ি ঘর তৈরি করছেন বলে অনেকের ধারনা।
বিনামূল্যে বীজ-সার ও কৃষি উপকরণ বিতরণ
আত্রাই :: নওগাঁর আত্রাইয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের আয়োজনে বিনামূল্যে বীজ, সার ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ৬০ জন কৃষকের হাতে এগুলো তুলেদেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখারুল ইসলাম। এসময় কৃষি অফিসার কেএম কাওছার হোসেন, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার কেরামতসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের সহায়তার লক্ষে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে খরিপ-২ মৌসুমে নাবী পাট বীজ ও পেঁয়াজ এর উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় ৬০ জন কৃষক বিনামূল্যে সহায়তা পাবেন। সুফলভোগী ৫০ জন কৃষক পেঁয়াজ বীজ ১ কেজি, টিএসপি সার ২০ কেজি, এমওপি সার ২০ কেজি, পেস্টি সাইড ১ প্যাকেট, নগদ/বিকাশে দুই হাজার আটশত টাকাসহ অন্যান্য উপকরণ পাবেন। অনুরুপভাবে ১০ জন কৃষক আধাকেজি নবী পাট বীজ, ইউরিয়া সার ১০ কেজি, এমওপি সার ১০ কেজি, টিএসপি সার ১০ কেজি এবং নগদ/ রকেটে দুই হাজার ছয়শত ত্রিশ টাকা করে পাবেন।