শনিবার ● ১২ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » পাবনা » স্বর্ণ পদক পেলেন ইউপি চেয়ারম্যান জার্জিস হোসেন
স্বর্ণ পদক পেলেন ইউপি চেয়ারম্যান জার্জিস হোসেন
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :: দেশের ৪ হাজার ৭শত ৫৩ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মধ্য থেকে বীরশ্রেষ্ঠ স্বাধীনতা দিবস স্বর্ণ পদক পেলেন প্রধান শিক্ষক ও ঈশ্বরদীর ১নং সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান জার্জিস হোসেন ৷ মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ অংশ গ্রহণ করা, রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠ ও সফল চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়া, স্বাধীনতা পরবর্তী সময় রাজাকারের ক্যাম্প দখল করে লুটকরা মালামাল এলাকার জনগণকে ফেরত দেওয়াসহ রাষ্ট্রের পক্ষে নানাবিধ সমাজ সেবা ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সফলভাবে অংশগ্রহণ করায় বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ, ঢাকার পক্ষ থেকে তাঁকে শুক্রবার এই পদক প্রদান করা হয়৷ ঢাকার এক চাইনিজ রেস্টুরেন্টে আয়োজিত অনারম্বর অনুষ্ঠানে যুগ্ম শিক্ষা সচিব মশিউর রহমান প্রধান অতিথি হিসাবে তাকে এই পদক তুলে দেন৷ শনিবার দুপুরে জেএসএস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে জার্জিস হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ৷
তিনি আরো বলেন, ১৯৭৩ সালে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ১নং সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই এবং ১৯৭৬ সালে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ১নং সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া ও ১৯৭৮ সালে পাবনা জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসাবে ইন্দোনেশিয়া,থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে ২১ দিনের শিক্ষা সফরে অংশ করি ৷
১৯৮০ সালে ঈশ্বরদী থানার চেয়ারম্যানদের প্রত্যক্ষ ভোটে থানা উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি ২০১৩ইং সালে পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ও ১০০% স্যানিটেশন কভারেজ এর স্বীকৃতি স্বরূপ পাবনা জেলা প্রশাসন কর্তৃক সনদ ও পদক অর্জন করি ৷
২০১৫ সালে রাজশাহী বিভাগীয় শ্রেষ্ট চেয়ারম্যান হিসাবে পদক অর্জন করা এবং ১৯৭৬ সাল হতে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ১নং সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান হিসাবে-গোকুলনগর প্রাথঃ বিদ্যালয়,মাজদিয়া ইসলামপাড়া প্রাথঃ বিদ্যালয়,ইলশামারী প্রাথঃ বিদ্যালয়,গোপালপুর প্রাথঃ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং মাজদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ও জমি দাতা হিসাবে বিশেষ অবদান রাখি ৷ এছাড়াও সাঁড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ক্রীড়া ও সেবামূলক বিভিন্ন ক্লাব প্রতিষ্ঠা করি ৷
১৯৭৮ সালে সাঁড়া ইউনিয়নের চরধাপাড়ী, বিলবামনী এবং মাঝপাড়া মৌজার পদ্মা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকার ৫শ পরিবারকে পূনর্বাসন করা এবং ঈশ্বরদী থানার আইন শৃঙ্খলার উন্নয়নে ভিডিপি গঠণ ও ঢাকার মৌচাকে প্রত্যক্ষ ট্রেনিং এবং বাংলাদেশের ভিডিপির চেয়্যারম্যান নিযুক্ত হয়ে আইন শৃঙ্খলার উন্নয়নে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার এর নিকট হতে বিশেষ পুরস্কার গ্রহণের মাধ্যমে সুনাম অর্জণ করি ৷
২০১১ সালে আবারও ১নং সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে পরিবার পরিকল্পনায় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে সাফল্যের স্বীকৃতী স্বরূপ ২০১২ সালে পাবনা জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসাবে জেলা প্রশাসকের নিকট হতে বিশেষ সনদ পত্র গ্রহণ করেছি ৷
তিনি বলেন, এসব স্বীকৃতি ও সুনাম অর্জনে আমার চেষ্টার পাশাপাশি সাঁড়া ইউনিয়নবাসীসহ ঈশ্বরদী বাসীর বিশেষ অবদান আছে ৷