বৃহস্পতিবার ● ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » রাজনীতি » বিশ্বনাথের জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমীর নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী কারামুক্ত
বিশ্বনাথের জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমীর নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী কারামুক্ত
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেছেন বিশ্বনাথ উপজেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমীর ও খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী।
আজ বৃহস্পতিবার ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জাবীনে মুক্তি লাভ করেন তিনি।
এর আগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত একটি মামলায় গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথ থানা পুলিশের হাতে তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন।
মুক্তি পাওয়ার পর কারাফটকের সামনে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথ উপজেলার গন্ধারকাপন গ্রামে উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এমাদ উদ্দিনের বাড়িতে অনুষ্ঠিত জামায়েতের এক গোপন বৈঠক (উপজেলা মাসিক বৈঠক) থেকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান আহমদ’সহ জামায়াতের শীর্ষ ১৭ নেতাকে আটক করে থানা পুলিশ।
এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা (জিআর মামলা নং- ২২৩/২০১৮ইং) দায়ের করে।
ওই মামলায় আসামী করা হয় উপজেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমীর ও খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকীকে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তিনি।
বিশ্বনাথে গুঁড়া মরিচ’ ছিটানোর সেই মামলা এখন সিআইডিতে
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে চানপুর গ্রামে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চোখে ‘গুঁড়া মরিচ’ ছিটানোর সেই মামলা এখন সিআইডিতে।
আদালতের নির্দেশে আগামী রোববার সিলেটের সিআইডি পুলিশের উপ পরিদর্শক রিপন কুমার দে ওই মামলা তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
এর আগে গত (১৮ আগস্ট) শুনানি শেষে পুনরায় তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক হারুন-উর রশীদ।
গত (২৮ ফেব্রুয়ারি) তৎকালীন এসআই ফজলুল হক আসামি রোকেয়া বেগম, আফিয়া বেগম ও রেজিয়া বেগমকে বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত (২৪ জুন) মামলার বাদী ওই আদালতে নারাজি দেন।
এদিকে, গত বছরের (১৬ আগস্ট) লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে চানপুর গ্রামে মনোফর আলী ও তার চাচাতো ভাই মাহমদ আলী পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
এর দেড় মাস পর গত( ৩০ সেপ্টেম্বর) মাহমদ আলী পক্ষ মনোফর আলী পক্ষের ওপর হামলা চালায়। এতে স্ত্রী, তিন ছেলেসহ গুরুতর আহত হন মনোফর আলী।
এ সময় মনোফর আলীর চোখে গুঁড়া মরিচ ছিটিয়ে চোখ নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়- এমন অভিযোগ এনে মনোফর আলী বিশ্বনাথ থানায় মামলা করেন।
ওই মামলায় চাচাতো ভাই মাহমদ আলী, তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম, বড় ভাই ছনুফর আলী, বোন আফিয়া বেগম, রেজিয়া বেগম, ছনুফরের ছেলে রায়হান আলী, ভাতিজা ইমরান আলী, ভাগ্নে সুমন আহমদ, শিপন আহমদ ও রোকন আলীকে আসামি করা হয়।