বুধবার ● ১৩ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত কাল
বিশ্বনাথে সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত কাল
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা কৃষ্ণা রাণী তালুকদারের বিরুদ্ধে আনীত বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ, দূর্নীতি ও দায়িত্ব-কর্তব্য অবহেলার অভিযোগের তদন্ত ১৩ অক্টোবর বুধবার সকাল ১১টায় বিশ্বনাথ সমবায় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
অভিযোগের তদন্ত করবেন সুনামগঞ্জ জেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. বশির আহমদ। গত ৭ অক্টোবর ১৪২৬নং স্মারকে সমবায় কর্মকর্তার কৃষ্ণা রাণী তালুকদারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলে নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে।
গত ১লা সেপেটম্বর সমবায় অধিদপ্তর, আগাঁরগাওয়ের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক বরাবরে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবুল কালাম, দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আরিফ সিতাব, ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন, মাওলানা ছমির উদ্দিন ও নজির উদ্দিন একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
অভিযোগ দায়েরের পর সমবায় কর্মকর্তা কৃষ্ণা রানী তালুকদার ও চাউলধনী হাওরের সাবলীজ গ্রহিতা সাইফুল ও তার বাহিনী বিভিন্ন স্থানে তদন্ত না হওয়ার জন্য তদবির শুরু করেন।
এতে প্রথমদিকে দুজনকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হলেও তারা অপারগতা প্রকাশ করেন। অবশেষে অভিযোগকারীগণ সমবায় মন্ত্রনালয়ের উর্ধ্বতন মহলে বিষয়টি অবহিত করলে শেষ পর্যন্ত সুনামগঞ্জ জেলা কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
এই্ কর্মকর্তাও তদন্ত থেকে বিরত থাকার জন্য নানা অজুহাত খোজছিলেন। শেষপর্যন্ত তিনি তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণ করে নোটিশ প্রেরণ করেন।
চাউলধনী হাওরপারের মানুষের অভিযোগ সমবায় কর্মকর্তা কৃষ্ণা রানী তালুকদার সাইফুলের সাথে আতাত করে দশঘর অযোগ্য মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিকে যোগ্য সমিতির সনদ দিয়ে চাউলধনী হাওর লীজ গ্রহনের সুবিধা করে দেয়ায় এবং বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডের কারনে এই সমিতি ৩০/৩৫হাজার কৃষকের শতকোটি টাকার ক্ষতি করে। হাওরে দুটি হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা ঘটে। এমন অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের মুখে মুখে।
বিশ্বনাথে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট
বিশ্বনাথ ::: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের মধ্যবর্তী খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন যে কোন ভূমিতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করার দাবীতে গত ১০ অক্টোবর রোববার সিলেটের সিভিল সার্জন ডাঃ প্রেমানন্দ মন্ডল এর কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছেন এলাকাবাসী।
ইতিপূর্বে এ বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নে সরকারি ভাবে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হলেও বিশ্বনাথ উপজেলাধিন খাজাঞ্চী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখনও স্থাপিত হয়নি।
সম্প্রতি জানা গেছে, ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পৃথিগঞ্জ বাজারের পাশে লামাকাজী ইউনিয়ন ভুক্ত জমিতে খাজাঞ্চী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। যা প্রতিষ্ঠিত হলে খাজাঞ্চী ইউনিয়নবাসীর কোন উপকারে আসবে না।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের পাশে সরকারি পাঁচটি প্রতিষ্ঠান যেমন- সরকারি ভূমি অফিস, পোস্ট অফিস, কৃষি ব্যাংক লিমিটেড, খাজাঞ্চী রেলওয়ে স্টেশন, খাজাঞ্চী স্টেশন জামে মসজিদ সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এছাড়াও বিশ্বনাথ-রামপাশা-রাজাগঞ্জ বাজার হয়ে খাজাঞ্চী স্টেশনে যাতায়াতের উন্নত ব্যবস্থা বিদ্যমান। বিশ্বনাথ-রামধানা হয়ে খাজাঞ্চী স্টেশন, খাজাঞ্চী স্টেশন হয়ে কামাল বাজার সিলেট যাতায়াতে ব্যবস্থা আছে।
খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সরকারি রাস্তার পাশে ভূমি দান করতে এলাকাবাসী আগ্রহী। এরপরও একটি স্বার্থনেষী মহল গোটা ইউনিয়নের সিংহভাগ মানুষকে সুবিধা বঞ্চিত করে তাদের নিজেদের স্বার্থে পৃথিগঞ্জ সংলগ্ন লামাকাজী ইউনিয়নের হাজরাই গ্রামভুক্ত ভূমিতে সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণে মরিয়া হয়ে উঠে পরে লেগেছে। অথচ লামাকাজী ইউনিয়নের ভুরকী বাজারে একটি সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষ রয়েছে।
বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে ইউনিয়নবাসীর সুবিধাজনক স্থানে সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্থাপনের জন্য জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।