বৃহস্পতিবার ● ২৮ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » মহেশপুরে নৌকার প্রার্থীর দুই সমর্থককে কুপিয়ে জখম করেছে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন
মহেশপুরে নৌকার প্রার্থীর দুই সমর্থককে কুপিয়ে জখম করেছে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নাটিমা ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর দুই সমর্থককে কুপিয়ে জখম করেছে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন। বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নাটিমা মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, নাটিমা ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন-আহবায়ক মমিন খাঁন ও সদস্য ইমরান হোসেন। তাদের রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলার পেছনে বিএনপি জামায়াতের ইন্ধন আছে বলে আওয়ামলীগ অভিযোগ করেছে। আহতদের অভিযোগ, বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক নাটিমা গ্রামের শরিফুল ইসলাম ও কানা বাবু নৌকা মার্কার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে। নাটিমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী আবুল কাশেম মাষ্টার জানান, নাটিমা মাদ্রাসার সামনে নৌকা মার্কার পোস্টার টাঙানোর অপরাধেই মমিন ও ইমরানকে কুপিয়ে জখম করা হয় বলে তিনি মনে করেন। এ বিষয়ে মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতে পোষ্টার টাঙানো নিয়ে মারামারি হয়েছে শুনেছি। ঘটনা জানার পর তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসি জানান, নাটিমা ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রথী হিসেবে মাঠে রয়েছেন নাটিমা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ মাষ্টচার ও সাবেক সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ। সেখানে বিএনপি জামায়াতের কোন প্রাথী নেই। তবে তারা নৌকার বিরুদ্ধে গোপনে গোপনে কাজ করছে।
শৈলকুপায় সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের অভিযান
ঝিনাইদহ :: সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ এবং ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া হতে লাঙ্গলবাঁধ পর্যন্ত ২৬ কি.মি. রাস্তা সংস্কারে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও অনৈতিক ভাবে রাস্তা কাটার অভিযােগের ভিত্তিতে দুদক সজেকা, যশোর অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাঃ মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে বুধবার অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম। দুদক টিম সরেজমিনে উক্ত রাস্তাসহ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে এবং কাজের মান যাচাই করেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নতুন সামগ্রীর সাথে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পুরাতন সামগ্রী মিশানোর অনুমোদন আছে। এক্ষেত্রে কাজের অগ্রগতির দালিলিক প্রমাণের সাথে বাস্তব অবস্থার অমিল রয়েছে বলে টিমের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মাণ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর মনিটরিংয়ের অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে বলে তারা মনে করেন। ঠিকাদারকে কাজের বিপরীতে ইতোমধ্যে প্রায় ১৮ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রাপ্ত সকল তথ্য প্রমাণাদি যাচাইপূর্বক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম।