বুধবার ● ২৪ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » বিবিধ » খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :: খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-২ নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া ঠিকাদারের দুর্নীতির ও সেচ্ছাচারিতায় অভিযোগ উঠেছে, সেই সাথে তার দূর্নীতির কারনে নিমজ্জিত হয়ে পঢ়েছে গোটা দপ্তর। তার দূনীতির দাপটে গণপূর্ত বিভাগ-২ খুলনার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ঠিকাদারবৃন্দ জিম্মি হয়ে পড়েছে। এই নির্বাহী প্রকৌশলী বিরুদ্ধে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের নানা অভিযোগ উঠেছে। গত ২০২০-২০২১ অর্থ বৎসরে খুলনা গণপূর্ত বিভাগ, খুলনা সার্কেল অফিস ও জোন অফিসের আসবাবপত্র সরবারহ কাজের দরপত্র ০২ ঘন্টার মধ্যে সিডিউল ক্রয় সময় দিয়ে পছন্দ ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। তার প্রমান এখনও যা ইজিপিতে পাওয়া যাবে। এই চতুর নির্বাহী প্রকৌশলী এতই দুর্নীতি পরায়ন যে, তার ঘনিষ্ঠ কিছু ঠিকাদারের সাথে ঠিকাদারী ব্যবসায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খুলনার বাহিরের কোন ঠিকাদার কাজ পেলে এই সকল ঠিকাদারের কাছ থেকে ১০% কমিশন না দিলে কোন কাজ হবে না বলে পরিস্কার জানিয়ে দেন।
কুষ্টিয়ার গ্যালাক্সি এ্যাসোসিয়েটস্ এর প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর মল্লিক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে প্রতিবেদককে বলেন, আমার নিকট টাকা নিয়েও আমার কাজ করছে না, উল্টো তার কাছের ঠিকাদারকে দিয়ে বেশি কাজ করানোর অভিযোগ করেন ঠিকাদারের প্রতিনিধি। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আছে যে, এই নির্বাহী প্রকৌশলীর ক্যাশিয়ার হিসাবে কাজ করছে, উক্ত দপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জহির উদ্দিন। নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন খান ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জহির উদ্দিন এর নামে খুলনা নতুন জেলা কারাগার নির্মান কাজে নিন্মমানের মালামাল ব্যবহার করারও অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে খুলনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফ্রান্সিস আশীষ ডিকস্তার মুঠোফোনে নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিনের দুর্নীতির সকল বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলে আপনি কি বলবেন আমি জানি, ইতিপূর্বে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আমাকে ফোন দিয়েছিল। ২ ঘন্টার মধ্যে সিডিউল বিক্রির কথা তুলে ধরলে তিনি বিষটি এড়িয়ে যান। তবে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি তদন্ত করবো।