মঙ্গলবার ● ৭ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ, উসমানীনগরে সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন নেই
বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ, উসমানীনগরে সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন নেই
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
উপজেলাটির মোট আয়তন ২১৪.৫০বর্গ কিলোমিটার। এ উপজেলায় ৮টি ছোট গাড়ির স্ট্যান্ডে প্রায় ১৫শ’ অটোরিকসা সিএনজি, মাইক্রোবাস (নোহা-লাইটেস) কার প্রায় ৮শ’ ও বাসের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ১শ’টি।
কিন্তু বিশ্বনাথ সহ পার্শবর্তী উপজেলা জগন্নাথপুর, ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ ও ছাতকেও কোন সিএনজি ফিলিং স্টেশন নেই।
এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে উক্ত অঞ্চলের জনগন। এর মধ্যে যাদের সিএনজি অটোরিকশা গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল, তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত ও চরম ঝুঁকিপূর্ণ হাইওয়ে রোড অতিক্রম করে প্রতিদিন অন্তত ২বার সিলেটের বিভিন্ন সিএনজি স্টেশন থেকে তাদের গ্যাসের চাহিদা পূরণ করে থাকেন।
তাছাড়া সিএনজি চালকরা হাইওয়ে রোড ব্যবহার করতে পুলিশকে বাধ্যতামূলক (উৎকোর্চ) মাসুহারা মাইনি দিতে হয়। এতে করে ভোগান্তির শিকার গাড়ির মালিক, চালকসহ যাত্রীরা।
এসব সমস্যার অজুহাতে চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করছে অতিরিক্ত ভাড়া, আর নামিয়ে দিচ্ছে যেখানে সেখানে।
এর ফলে অনেক সময় যাত্রীরা ছিনতাইকারিদের কবলে পড়ে হচ্ছেন সর্বহারা।
রাসেল ও শাহান নামের দুই চালক জানায়, হাইওয়ে রোড দিয়ে গাড়ির গ্যাস আনতে সিলেট যেতে হয়। এতে পুলিশের বাঁধার সম্মুখিন হতে হয়।
বাধ্য হয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে আসা-যাওয়া করতে হয়। আর যদি ভুল বসত কাগজ বাড়িতে রেখে যায় কেউ, তাহলে পুলিশ গাড়ি (‘রেকার’) করে ফেলে।
আর (‘রেকার’) করলে ৫ হাজার টাকা গুণতে হয়। তাই যানবাহন মালিক ও চালক যাত্রীসাধারণে দুর্ভোগ লাঘবে বিশ্বনাথে সরকারি অথবা বেসরকারিভাবে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের স্থাপনের দাবি।
এদিকে সিলেট ২ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বিশ্বনাথে গ্যাস চালুর ব্যাপারে ব্যাপক চেষ্টা করে সিলেট থেকে বিশ্বনাথের রশিদপুর পর্যন্ত গ্যাস লাইন স্থাপন করা হয়। কিন্তু দেশে গ্যাসের মজুদ কম থাকায় আর কোন গ্যাস সংযোগের কাজ এগোচ্ছেনা।
বিশ্বনাথ, জগন্নাথপুর, টুকের বাজার শ্রমিক সমিতির সভাপতি ফজর আলী, অটোরিকসা সিএনজি স্ট্যান্ডের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও মাইক্রো (নোহা) গাড়ি স্ট্যান্ডের গোলাপ মিয়া জানান, যারা ভাড়ায় সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা মালিকের টাকা পরিশোধের পর তাদের সংসার চলার মত আয় থাকেনা। এতে অনেক সিএনজি চালকের অভাব অনটনে দিন কাটাতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের জোর দাবি, জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে, গ্যাস সংযোগ চালু প্রয়োজন। বিশ্বনাথ ও জগন্নাথপুরে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশন চালু হলে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবেনা যাত্রী সাধারণের।
নিজের কর্মগুনেই তজম্মুল আলী মানুষের অন্তরে বেঁচে থাকবেন চিরকাল
বিশ্বনাথ :: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেছেন, বিশ্বনাথবাসীর প্রিয় ‘হেড স্যার’ মরহুম তজম্মুল আলী জীবদ্দশায় এ অঞ্চলের শিক্ষার উন্নয়নে গূরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে করেছেন।
সকল সংকঠ মুহুর্তে তিনি ছিলেন উপজেলাবাসী অভিভাবক। মানুষ গড়ার এই মহান কারিগরের অনেক ছাত্রই আজ দেশের বিভিন্ন সেক্টরে গূরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করছেন। হেড স্যারের শূন্যতা কখনই পূরণ হওয়ার নয়।
নিজ কর্মগুনেই তিনি মানুষের অন্তরে বেঁচে থাকবেন চিরকাল। সবার প্রিয় হেড স্যারের পরিবারের সদস্যদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘মরহুম তজম্মুল আলী (হেড স্যার) মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’র মাধ্যমে এলাকার অবহেলিত-বঞ্চিত-গরীব মানুষেরা উপকৃত হবেন।
তিনি মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার সদর ইউনিয়নের তাতিকোনা গ্রামস্থ পন্ডিত ছিফত আলী মেমোরিয়াল স্কুল প্রাঙ্গনে ‘মরহুম তজম্মুল আলী (হেড স্যার) মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’-এর আত্তপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফুর রহমান আরিফ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন হেড স্যারের নাতি আরাফাত উদ্দিন ও সভা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন তাতিকোনা বায়তুন জান্নাত জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওলানা মোহাম্মদ আলী।
মরহুম তজম্মুল আলী হেড স্যারের পুত্র ও পন্ডিত ছিফত আলী মেমোরিয়াল স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সাহিদুর রহমান সাহিদ ও পন্ডিত ছিফত আলী মেমোরিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান অমির যৌথ পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এস এম নুনু মিয়া, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম সুনু মিয়া, বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজুল হক, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক আমির আলী চেয়ারম্যান, কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ মো. আজাদ, দৈনিক উত্তরপূর্বের লন্ডন প্রতিনিধি-কলামিষ্ট মতিয়ার চৌধুরী, প্রবাসী এলাইছ মিয়া মতিন, মঈন উদ্দিন সুহেল, রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ, জাগরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক আহমদ রহিম, পন্ডিত ছিফত আলী মেমোরিয়াল স্কুলের হাসান হাফিজুর রহমান টিপু, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান মঞ্জু।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারী, বিশ্বনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আলা উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক গৌছ আলী, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ আব্দুল জলিল হিরণ মেম্বার, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট তপন কুমার দাশ, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আলতাব হোসেন, সদস্য দবির মিয়া, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহ শহিদুল ইসলাম সুজা, এলাকার মুরব্বী হাজী মস্তফা মিয়া, আপ্তাব মিয়া, আকদ্দুছ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মাসুক মিয়া, ফখর উদ্দিন, মিজানুর রহমান সেলিম, আতাউর রহমান, প্রবাসী মিজানুর রহমান মিজান, অগ্রগামী যুব সংঘের সভাপতি আব্দুল মান্নান রিপন, সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম সেলিম, সংগঠক আসাদুজ্জামান নূর আসাদ, জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কালাম রুনু, রফিকুল আলম ইকবাল, সেলিম মিয়া, নাজিম উদ্দিন রাহীন, তাজুল ইসলাম, তানিমুল ইসলাম, হোসাইন আহমদ প্রবেল, যুবলীগ নেতা ফয়জুল ইসলাম জয়, মাহবুব আহমদ, জমির আহমদ, ছাত্রলীগ নেতা সুহিন আহমদ, মনির মিয়া, সামি আহমদ, ইমন মিয়া, আব্দুস ছালাম, জীবান মিয়া প্রমুখসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ।