শুক্রবার ● ১৮ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » গোবিন্দগঞ্জে কথিত ‘জ্বিনের বাদশা’ দ্বারা পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সাত মাসের অন্তসত্তা
গোবিন্দগঞ্জে কথিত ‘জ্বিনের বাদশা’ দ্বারা পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সাত মাসের অন্তসত্তা
রাজেশ বাসফোর, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (১৮ মার্চ ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় রাত ২.০০মিঃ) গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় কথিত জ্বিনের বাদশা সেলিম মিয়া (৩১) দ্বারা পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী (ছদ্মনাম) রহিমা খাতুন (১৩) অন্তসত্তা হয়েছে ৷
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা (ছদ্মনাম) খাইরুন নেছা বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় বৃহস্পতিবার সকালে সেলিম মিয়ার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ৷
অভিযুক্ত কথিত জ্বিনের বাদশা সেলিম মিয়া গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ৷ তার সংসারে স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে রয়েছে ৷
খাইরুন নেছা জানান, তার মেয়ে রহিমা খাতুন উপজেলার উত্তর শিংগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ৷ ওই এলকার কথিত জ্বিনের বাদশা সেলিম দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকদের সাথে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছেন ৷ সে হাঠত্ রহিমার উপর কু নজর দিয়ে প্রায়ই মোবাইল ফোনে উত্ত্যক্ত করতো ৷ এমনকি বিভিন্ন সময়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সু-কৌশলে কথিত জ্বিনের বাদশা রহিমাকে ধর্ষণ করে ৷
এক পর্যায়ে রহিমা সাত মাসের অন্তসত্তা হয়ে পড়লে তার শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়৷ পরে চিকিত্সক জানায় সে সাত মাসের অন্তসত্তা হয়েছে ৷
পরে বাধ্য হয়ে খাইরুন নেছা কথিত জ্বিনের বাদশা সেলিমের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন৷
ধর্ষিতা রহিমা খাতুন বলেন, আমাকেসহ আমার পরিবারের বাবা ও ভাইকে হত্যার হুমকি দেখিয়ে সেলিম আমাকে ধর্ষণ করে ৷ এ কারণে ঘটনাটি পরিবারের কাউকে জানাইনি ৷
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷ ধর্ষক কথিত জ্বিনের বাদশা সেলিম মিয়াকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ৷ (সংবাদের ছবিটি সংগৃহীত)