রবিবার ● ২ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » অদৃশ্য কারনে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকা কাঠ ব্যবসা চালুর দাবিতে রাঙামাটির বরকলে মানববন্ধন করেছে কাঠ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা
অদৃশ্য কারনে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকা কাঠ ব্যবসা চালুর দাবিতে রাঙামাটির বরকলে মানববন্ধন করেছে কাঠ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা
বরকল :: রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় অদৃশ্য কারনে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকা কাঠ ব্যবসা চালু করার দাবিতে রাঙামাটির বরকল উপজেলায় মানববন্ধন করেছে বরকল উপজেলা কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি ও কাঠ পরিবহন শ্রমিক সমিতির সদস্যরা।
গত৮ ডিসেম্বর-২০২১ অনুমোদিত জোত ফ্রী পারমিটমূলে নিজস্ব বাগান হতে আনা কাঠ বাজার জাত করনে প্রতিবন্ধকতা নিরসনের লক্ষ্যে “ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস জার্নালিস্ট সোসাইটি” বরাবর আবেদন করেন বরকল উপজেলা কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিদর্শন করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করতে গত ২৬ ডিসেম্বর-২০২১ মানবাধিকার সংস্থা ও সাংবাদিক সংস্থার ৯ সদস্যের একটি দল পরিদর্শনে গেলে বরকল উপজেলা কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি ও কাঠ পরিবহন শ্রমিক সমিতির ডাকে মানববন্ধন করেন।
এসময় তারা অদৃশ্য কারনে বন্ধ থাকা বরকল উপজেলার কাঠ ব্যবসা চালু করতে, বিভিন্ন ফেষ্টুন ও ব্যনারের মাধ্যমে সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
মানববন্ধন সম্বন্ধে কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের নিকট জানতে চাইলে তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ৪ বছর যাবৎ রাঙামাটি জেলার সকল উপজেলায় কাঠ ব্যবসা খোলা থাকলেও অদৃশ্য কারনে শুধু মাত্র বরকল উপজেলায় অনুমোদিত বাগানের আহোরিত কাঠ বাজার জাত করতে দিচ্ছে না বন বিভাগ। সরকারী সকল রাজস্ব দিয়ে তৈরী করা অনুমোদন দেওয়া জোত ফ্রী পারমিটমুলে বিভিন্ন বাগান থেকে কাঠ আহোরন ও বাজার জাত অদৃশ্য কারনে হঠাৎ বন্ধ হওয়ার কারনে ব্যবসায়ীদের অনেকে এখন পথে বসার অবস্থা । বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে ব্যবসা শুরু করা সকলেই এখন ঋন খেলাপীতে জর্জরিত। এমতাবস্থায় এই কাঠ ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যবসায়ী ও শ্রমিকসহ প্রায় ৫০ হাজার পরিবার বিপদে পড়েছেন। তারা ঠিক মতো ছেলে মেয়েদের পড়ালে খার খরচ পর্যন্ত দিতে পারছেনা। এমতাবস্থায় উক্ত কাঠ ব্যবসা চালু করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কাঠ ব্যবসায়ী ও কাঠ পরিবহন শ্রমিকদের সাথে যোগ কররা হলে বরকল উপজেলা কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. শাহ আলম সওদাগর বলেন, আমাদের পেটে ভাত নেই, ছেলে মেয়েদের পড়ার খরচ চালাতে পারছি না। আমাদের চলার মত আর কোনো পথ নেই। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে লোনের সকল টাকা এই ব্যবসায় নিয়োজিত করে এখন লোনের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ঋন খেলাপীতে জর্জরিত আমরা।
তিনি আরো বলেন, কোটি কোটি টাকার আহোরিত কাঠ ১২ বিজিবি, ছোট হরিনা ব্যাটালিয়ন সংলগ্ন স্থানে আজ ৪ বছর পর্যন্ত পড়ে রয়েছে। পচন ধরার কারনে এ কাঠ সমূহের মূল্য এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে। এসব কাঠ রক্ষা করার কেউ নেই বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু আমরা আজ পর্যন্ত জানি না কি কারনে রাঙামাটি বন বিভাগ অনুমোদনকৃত এ কাঠ আহোরন ও বাজার জাত করতে বাধা দিচ্ছে। বার বার বন বিভাগে এ সমস্যা সমাধানের জন্য তাগাদা দিলেও কোনো সমাধানে তাদের কোনো উদ্দ্যেগ নেই। বর্তমানে আমাদের সহায় সম্বল সব হারিয়ে পথে বসার পর্যায়ে যাওয়ায় আমাদের ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে গেছে।
কাঠ ব্যবসায়ী নেতা আগামী ৭ দিনের মধ্যে যদি অনুমোদনকৃত বাগান থেকে আহোরিত কাঠ বাজার জাত করার অনুমতি না দিলে কাঠ ব্যবসার সাথে জড়িত সকল ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ কাঠ ব্যবসার সাথে নিয়ে বন বিভাগের বিরুদ্বে গন আন্দোলন করবে জানান।