সোমবার ● ৩১ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » মহেশপুরে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ ১২ লাখ টাকা জরিমানা
মহেশপুরে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ ১২ লাখ টাকা জরিমানা
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে লাইসেন্স ও ছাড়পত্রবিহীন ইটভাটায় অভিযান শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। রবিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় থেকে এ অভিযান শুরু করা হয়। যশোর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যগে সদর দপ্তরের এনফোর্সমেন্ট টিমের ম্যাজিস্ট্রেস জনাব সাঈদা পারভীন এর নেতৃতে¦ সহকারী পরিচালক মো: হারুন অর রশীদসহ অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দর উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালন করেন। সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় ৮ টি ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকাসহ নানা অভিযোগে জরিমানা ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ৩টি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ ও ৫টি ইটভাটায় মালিককে ১২লাখ ৩৪ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করেন। যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহ সহকারী পরিচালক মো: হারুন অর রশীদ বলেন, সকাল থেকে এ অভিযান শুরু করেছি এবং যশোর জেলা কার্যলয়ের অধীনে ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল ও যশোর জেলায় অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে। চিমনি বসিয়ে মণকে মণ কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তাই এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে এ অভিযান চালানো দরকার বলে মনে করছে সচেতন মহল।
কালীগঞ্জে ধানের চাষ ঠেকাতে বিষ প্রয়োগে বীজতলা বিনষ্ট
ঝিনাইদহ :: বিষ প্রয়োগ করে মানুষ, গরু ছাগল এমনকি পুকুরের মাছ নিধন করার নজীর থাকলেও এবার ধান চাষ ঠেকাতে দুর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োহ করে বীজতলা ধ্বংস করে দিয়েছে। ঘটনাটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ফারাসপুর গ্রামের মাঠে। ফারাসপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে কৃষক আবু সাঈদ জানান, তার মাঠে ১০ বিঘা ধান চাষের জমি রয়েছে। এই জমিতে ইরিবোরো ধান গাছ রোপনের জন্য ৮ শতক জমিতে বীজ ছিল। তার সঙ্গে তাদের গ্রামেরই ওবাইদুর রহমানের ২ বিঘা চাষের জমি রয়েছে। এক মাস হলো বীজতলা তৈরী করে সেখানে ১০০ টাকা কেজি দরে ধানের বীজ কিনে বীজতলা তৈরী করা হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি বীজতলায় পানি দিতে গিয়ে দেখেন জমির সব চারা লাল হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা দেখে হতাশ হয়ে পড়েন। প্রথমে বুঝতে পারছিলেন না কেন এমনটি হচ্ছে। শুক্রবার সকালে মাঠে গিয়ে দেখতে পান গোটা জমির ধানের চারা মারা গেছে। চারাগুলো সোনালী রং ধারন করেছে। তখন বুঝতে পারেন যে কেউ তার জমিতে ঔষধ স্প্রে করে চারা মেরে দিয়েছে। আবু সাঈদ জানান, তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না কারা এই জঘন্য কাজটি করেছ। অপর কৃষক ওবাইদুর রহমান জানান, মূলত সাঈদকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে এটা করা হয়েছে। যারা কাজটি করেছেন তারা জঘন্যতম কাজ করেছেন। মানুষের ক্ষতি করতে বিষ দিয়ে ফসল নষ্ট করা ঠিক হয়নি। স্থানীয় নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সাইদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি খুবই খারাপ হয়েছে। যারাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আমা জরুরী বলে তিনি মনে করেন। বিষয়টি নিয়ে কালীগঞ্জ কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এনায়েত কবির জানান, তারা সংবাদ পেয়ে সরেজমিনে দেখতে যান। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এভাবে ফসলের ক্ষতি করা খুবই খারাপ কাজ। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই কৃষক যাতে চারা পান সে বিষয়ে কৃষি বিভাগ পদক্ষেপ নেবেন।
শৈলকুপায় সাড়ে ৩ বিঘা জমির গাছ ও ফসল কেটে দিলো প্রতিপক্ষরা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সাড়ে ৩ বিঘা জমির গাছ ও ধরন্ত কলাগাছ কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। শনিবার বিকেলে উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত তাছের আলী বিশ্বাসের ক্রয়কৃত সাড়ে ৩ বিঘা জমি তার ওয়ারিশগণ ১৯৮১ সাল থেকে ভোগদখল করে আসছিল। তাছের আলী বিশ্বাসের ওয়ারিশ মিলন হোসেন, শহিদুল ইসলাম, রেজাউল করিম, নাজমুল ফিরোজ, মতিয়ার রহমান বিশ্বাসসহ অন্যদের নামে ওই জমির নাম পত্তন ও রেকর্ড রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিতে তারা চাষাবাদও করে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই শনিবার বিকেলে একই গ্রামের আবজাল মন্ডল, বাহাদুর ওরফে বলাই, আজমত মন্ডল, মতিন মন্ডলসহ তার লোকজন জমি নিজেদের দাবী করে গাছ কাটা শুরু করে। জোরপুর্বক তারা বড় বড় বেশ কয়েকটি মেহগনি, আম, ইপিলইপিল গাছ ও ৪০০ ধরন্ত কলাগাছ কেটে দেয়। এতে তাদের প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্থ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা যে জমি ভোগদখল করছি সেটা এই জমির মুল মালিক তাছের বিশ্বাস ১৯৮১ সালে ওই গ্রামের অমুল্য কুমার, নিত্যানন্দ বিশ্বাস, বিবেকানন্দ বিশ্বাসের কাছ থেকে ক্রয় করে। জমির বর্তমান রেকর্ড ও নামপত্তন আমাদের নামে আছে। কিন্তু তারা এই জমি তারা জোরপুর্বক দখল করে নিচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই। জাহাঙ্গীর হোসেন নামের এক প্রতিবেশী বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ থাকতেই পারে। সকল কাগজপত্র যার থাকবে সেই জমি পাবে। জোর করে গাছ কেটে দেওয়া কোন মানুষের কাজ না। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি (তদন্ত) মহসীন হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমরা অবগত আছি। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।