মঙ্গলবার ● ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মিরসরাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ইউপি সদস্যের মৃত্যু
মিরসরাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ইউপি সদস্যের মৃত্যু
মিরসরাই(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি :: মিরসরাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ছয়দিন পর সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেম (৬৫)’র মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ১ ফেব্রুয়ারি রাত ৩ টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত আবুল কাশেম উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড়ের টানা ৬ বারের ইউপি সদস্য ছিলেন। এই ঘটনায় স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বেলালকে ১ নম্বর আসামী করে ৬ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনের নামে মিরসরাই থানায় সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে আবুল কাশেমের স্ত্রী বিবি ফাতেমা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বেলালের ছেলে ফাহাদ, নজরুল ও সিরাজুল ইসলাম নামে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার (২৬ জানুয়ারি) উপজেলার দক্ষিণ মঘাদিয়া ঘোনা এলাকায় সন্ধ্যা ৬ টা থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর রাত ১০টায় খালের কাঁদা মাটি থেকে আবুল কাশেমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি করানো হয়েছে। হাসাপাতালে ৩ বার অপারেশনের করেও শারীরিক কোন উন্নতি না হওয়ায় রবিবার থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন এবং মঙ্গলবার রাত ৩টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আবুল কাশেমের স্ত্রী বিবি ফাতেমা অভিযোগ করেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামী আবুল কাশেমের সাথে স্থানীয় শাহেরখালী ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বেলাল হোসেনের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো। এর আগে কয়েকবার হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা রয়েছে। আমাদের ধারণা ইউপি সদস্য বেলালের নির্দেশে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং এতে আমার স্বামী আবুল কাশেম মৃত্যুবরণ করেন। এদিকে মঙ্গলবার সকালে মিরসরাই থানার ওসি (তদন্ত) অলি উল্ল্যাহ বলেন, হামলার ঘটনায় সোমবার মিরসরাই থানায় একটি মামলা হয়েছে। আবুল কাশেম মারা যাওয়ায় তা এখন হত্যা মামলা হবে। ইতিমধ্যে মামলায় অভিযুক্ত ৩জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। আবুল কাশেমের লাশ বর্তমানে চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বাড়ি আনার পর নিজ গ্রামে জানাযা শেষে দাফন করা হবে।