শনিবার ● ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » দীঘিনালায় গোলাগুলির ঘটনা মিথ্যা বলে ইউপিডিএফ’এর দাবি
দীঘিনালায় গোলাগুলির ঘটনা মিথ্যা বলে ইউপিডিএফ’এর দাবি
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল) এর মুখপাত্র অংগ্য মারমা আজ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার এক বিবৃতিতে ‘খাগড়াছড়ির জারুলছড়িতে’ সেনাবাহিনী কর্তৃক ‘ইউপিডিএফের গোপন আস্তানা ধ্বংস’ করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনী ও ইউপিডিএফের মধ্যে ‘গুলি বিনিময়ের’ ঘটনা ঘটেছে বলে মিডিয়ায় যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন।
প্রকৃত ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘গতকাল, ৪ ফেব্রুয়ারি, ভোর বেলা একদল সেনা সদস্য খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলাধীন বাবুছড়া ইউনিয়নের জারুলছড়ি থেকে আনুমানিক আট মাইল উত্তরে উগুদোছড়ি দজর পাড়া নামক গ্রামে গিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে। এতে কেউ হতাহত না হলেও গ্রামের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে প্রাণের ভয়ে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
‘পরে সেনারা ঘটনাস্থল থেকে নিরীহ গ্রামবাসী রিপন চাকমা ওরফে রিনা বাপ (৪৫) ও তার ছেলে কালায়্যা চাকমাকে ধরে তাদের উপর অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালায়।’
অংগ্য মারমা অভিযোগ করে বলেন, একটি বিশেষ মহল রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য অযথা ইউপিডিএফকে জড়িয়ে উক্ত ঘটনাকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করে প্রচারে নেমেছে।
এছাড়া তিনি জানান একই উদ্দেশ্যে গতকাল সেনাবাহিনীর অপর একটি দল রাঙামাটির নানিয়াচর উপজেলাধীন ভুইয়ো আদামে (গ্রাম) গিয়ে অতর্কিত ব্রাশ ফায়ার করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং কৃপন চাকমা (৪২) পীং নিশীরাম চাকমা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অগ্নি সংযোগের চেষ্টা চালিয়েছে।
ইউপিডিএফ একটি গণতান্ত্রিক দল এবং সেহেতু তার কোন গোপন আস্তানা থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অবাস্তব মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপরোক্ত বিশেষ মহলটি পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার জন্য সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সৃষ্টি করে তাদেরকে ইউপিডিএফ ও জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়াসহ নানাভাবে ব্যবহার করছে।
ইউপিডিএফ নেতা অবিলম্বে উক্ত সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের মদদদান এবং ইউপিডিএফ ও সাধারণ জনগণের উপর দমন-পীড়ন-অত্যাচার বন্ধ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান।