সোমবার ● ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে বিএনপি নেতাকর্মিদের মাঝে চলছে কাঁদা ছুঁড়াছুড়ি
বিশ্বনাথে বিএনপি নেতাকর্মিদের মাঝে চলছে কাঁদা ছুঁড়াছুড়ি
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি ও লামাকাজি ইউনিয়নে নির্বাচন শেষ হয়েছে গত ৩১ ডিসেম্বর, লামাকাজিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা কবির হোসেন ধলা মিয়া।
আর খাজাঞ্চিতে বিএনপির আরেক প্রার্থীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগের আরশ আলী গণি। নির্বাচনের এক সপ্তাহ কেটে গেলেও নির্বাচনের পরদিন থেকে বিএনপির দু-গ্রুপের সমর্থকদের মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে কাদা ছুড়াছুড়ি।
ইউনিয়ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনে সাবেক চেয়ারম্যানদের বিপক্ষে উপজেলা বিএনপির অবস্থানে পাল্টাপাল্টি নানা ধরণের প্রচারণার ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুক। আর এ ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বিভাজনের দুই পাড়ে থাকা দু’পক্ষকেই।
জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনে বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি ও লামাকাজিতে বিএনপির ৫ প্রার্থী স্বতন্ত্রের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেন। খাজাঞ্চি ইউনিয়নে সাবেক জেলা বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন নির্বাচনে অংশ নেন। পাশাপাশি ইউনিয়ন বিএনপি নেতাও এই নির্বাচনে অংশ নেন।
উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা কয়েছ মিয়ার পক্ষে ভোটের প্রচারণায় নামেন। আর এতে ক্ষেপে যান সাবেক চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিনের সমর্থকরা। নির্বাচনে হারের কারণটা একারণে হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন তালুকদার গিয়াস উদ্দিনের সমর্থকরা।
এ নিয়ে নামে-বেনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে দল ও প্রার্থীগণের বিরুদ্ধে আলোচনা সমালোচনা। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজেলা বিএনপি শীর্ষ নেতাদের নামে কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা গালিগালাজ এবং নবগঠিত উপজেলা বিএনপির কমিটিও বাতিল করার দাবি তুলেছেন অনেকে। বিএনপির ভক্ত সমর্থকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এদিকে এনিয়ে ফেসবুকে লেখা কুরুচিপূর্ণ অসংখ্য স্ক্রীণশর্ট প্রতিবেদকের কাছে থাকলেও সেগুলো সংবাদে বেমানান বলে উল্লেখ করা যায় নি।
একইভাবে লামাকাজিতেও সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপিকে পাত্তা না দেয়ায় অপর প্রার্থীর পক্ষে নামেন উপজেলা বিএনপির নেতারা।
লামাকাজিতে কবির হোসেন ধলা মিয়া বিজয় লাভ করায় নির্বাচন পরবর্তিতে তেমন কোন কথা উঠেনি।
এ ব্যাপারে তালুকদার গিয়াস উদ্দিন বলেন, বিএনপি যখন নির্বাচনে অংশ নেয় নাই। তাহলে কোন স্বার্থে উপজেলা বিএনপির নেতারা প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামেন। এবিষয়টা খাজাঞ্চি বিএনপির ভক্ত সমর্থকরা মানতে পারেনি। তাই হয়তো ফেসবুকে তাদের কষ্টের কথা শেয়ার করছেন।
এবিষয়ে কথা হলে উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি জালাল উদ্দিন বলেন, যারা লেখালেখি করছে তারা বিএনপির কেউ নয়। এরা আওয়ামী লীগের দালাল। বিএনপিকে ডুবাতে তারা ষড়যন্ত্র করছে। এর জবাব তারা পাবে।
বিশ্বনাথে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ সভা
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথের কালিগঞ্জ বাজারের তরুণ ব্যবসায়ী জয়ন্ত বৈদ্যের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন জালালাবাদ থানার আরশ আলী নামের এক ব্যক্তি।
এই মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা দাবি করে আজ রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই বাজারেই প্রতিবাদ সভা-বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন কালিগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটি ও কালিগঞ্জ বাজার সিএনজি আঞ্চলিক কমিটির নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, বাদীর ভাই চেরাগ আলী দীর্ঘদিন কালিগঞ্জ বাজারে বসবাস করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালিয়েছেন। চেরাগ আলী তার ভাই আরশ আলীকে বাদী করে কালিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী জয়ন্ত বৈদ্যের উপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছেন।
যার কোনো ভিত্তি নেই। মামলার এজাহারে যা উল্লেখ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কাল্পনিক। সম্প্রতি কালিগঞ্জ বাজারে যে ঘটনা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, তা ঢাহা মিথ্যা। বক্তারা এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং বাদীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।
কালিগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে ব্যবসায়ী নিশিকান্ত পালের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুমিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী রুমেল মিয়া, আকবর আলী, তেরাব আলী, আবদুল মছব্বির, তাজুল মিয়া, শ্রমিক নেতা আবদুল আহাদ, সুরুজ আলী।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুরব্বী লালা মিয়া, হরি বৈদ্য, সুধাংশু বৈদ্য, মুমিন মিয়া, ইরন মিয়া, সুরুজ মিয়া, বাবুল আহমদ, জুতিশ বাবু, সন্তু লাল বৈদ্য, তপন দেব, আরশ আলী, বিকাশ বৈদ্য, আশিক আলী, বিষ্ণু বাবু, সাইফুর রহমান, শরিফ আহমদ, আমিন মিয়া, অধির চন্দ্র দাশ, আবদুস সালাম, তোফায়েল আহমদ, মো. স্বপন, মিয়াজ আহমেদ, আনহার হোসেন, নিপু, আমির আলী, মনির মিয়া, সজল, আবদুস সুবহান, আবদুল্লাহ, শামছুদ্দিন, রাকিব আলী, রাখু মালাকার, অসিম, শংকর, রিংকু, মন্টু দাশ, গৌছ আলী, বিভাষ, শাকিল, চান্দ আলী, অরূপ দাশ, দ্বীপন কুমার, সেলিম মিয়া, আফরোজ আলী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সিলেট জেলার জালালাবাদ থানার সৈয়দপুর গ্রামের মৃত আহমদ আলীর পুত্র আরশ আলী বাদী হয়ে বিশ্বনাথের কালিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী জয়ন্ত বৈদ্যকে আসামি করে বিশ্বনাথ থানায় ছিনতাইর অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার নং ৮। মামলায় আরও দুইজনকে আসামি করা হয়েছে।