রবিবার ● ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণী আটক
বিশ্বনাথে বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণী আটক
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণী গন্ধগকুলকে আটক করা হয়েছে। বিলুপ্ত প্রাণী গন্ধগকুলকে রবিবার
১৩ ফেব্রয়ারি টুকেরকান্দি গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী নোয়াব আলীর (নোয়াব বাড়িতে) আটক করা হয়। আটকের পর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে যোগাযোগ করা হলে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। টুকেরকান্দি গ্রামের তোয়াব আলী বলেন, আমাদের বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে বন্যপ্রাণী গন্ধগকুলকে আটক করেছি। আটকের পর প্রাণী সম্পদ অফিসে যোগাযোগ করলে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এসে বন্যপ্রাণী গন্ধগকুলকে নিয়ে যায়। কৃৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম ইমন বলেন, আমরা বিলুপ্ত বন্যপ্রাণীকে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে বন বিভাগে হস্তান্তর করব।
বিশ্বনাথে চাচার ঘর নির্মাণে ভাতিজাদের বাধা প্রদানের অভিযোগ
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথের বাইশঘরের নাজিম উল্লাহ (৭৫) নামের আপন চাচাকে বসতঘর নির্মাণ কাজে বাধা দিয়েছেন ভাতিজারা। এছাড়াও ওই চাচার বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেছেন তারা। প্রতিকার ও আইনী সহযোগীতা চেয়ে ভাতিজাদের অভিযুক্ত করে সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নাজিম উল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তিনি পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি বাইশঘর গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে। প্রতিপক্ষরা হলেন নাজিম উল্লাহর আপন ভাই মৃত রাজিদ উল্লাহর ছেলে সমশের আহমদ সুমন (৩৫) ও মশাহিদ মিয়া (৩৭) এবং অপর ভাই আজিদ উল্লাহর ছেলে রিপন মিয়া (৪০)।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, পৈতৃক সম্পত্তি একত্রে থাকায় মৌখিকভাবে ভাগ বাটোয়ারার মাধ্যমে ভোগদখল করছেন তারা। এরই প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি উভয় পক্ষ বৈঠকের মাধ্যমে চান্দভরাং মৌজার ১০৩ নং জেএলের ৬৮ নং বিএস খতিয়ানের ১০৯১ ও ১০৯৮ নং দাগের ৩৮ বসত ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভাতিজারা তাদের চাচা নাজিম উল্লাহকে ওই জায়গাও নির্ধারণ করে দেন।
এরপর সেখানে পাকা দালান ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু এর ১৯দিন পর ঘরে টিন লাগানোর সময় হঠাৎ ভাতিজারা তাকে (চাচাকে) ঘর নির্মাণে বাঁধা দেন এবং সিলেট আদালতে মামলা করেন। গত ২৪ জানুয়ারি ওই তিন ভাতিজা বাদী হয়ে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং ৫/২০২২ইং)। পরবর্তিতে এনিয়ে গ্রামের পঞ্চায়েগণের উপস্থিতিতে দু’বার সালিশ বৈঠক করা হয়।
সর্বশেষ গত বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) পঞ্চায়েতের রায় না মানার সিদ্বান্ত জানানোর পর নিরুপায় হয়ে পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভোক্তভূগী নাজিম উদ্দিন। পুলিশি সহযোগীতা চেয়ে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, জায়গা নির্ধারণ করে দিয়ে ঘর উঠানোর পর সেই ভাতিজারাই আবার ঘরের নির্মাণ কাজে বাঁধা এবং মিথ্যা মামলা করেছেন।
অভিযুক্ত ভাতিজা সমশের আহমদ সুমন ও রিপন মিয়া বলেন, যে শর্তে বাটোয়ারা করা হয়েছিল তা তাদের চাচা পুরন না করায় নির্মাণকাজে তারা বাঁধা দিয়েছেন।
গ্রামের সালিশ ব্যক্তিত্ব হাজী রুশমত আলী, তজম্মুল আলী ও সমুজ মিয়া বলেন, পঞ্চায়েতের কথা না মানায় দীর্ঘ চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হয়েছেন।
বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে, এ বিষয়ে যতটুকু সহযোগীতা প্রয়োজন তা তিনি করবেন।
কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে- এসএম নুনু মিয়া
বিশ্বনাথ :: সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নয়নের সুফল ও পাচ্ছে জনগণ।
এ উন্নয়নের লক্ষ্যে যাত্রা কারো মিথ্যাচারে থেমে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। শেখ হাসিনার হাত ধরেই আজ বাংলাদেশে উন্নয়ন এসেছে। নতুন প্রজন্মকে এ উন্নয়নের যাত্রায় শামিল করতে হবে। দেশে সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্র বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কৃষকের উন্নয়নে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সার, বীজ, বিদ্যুৎ কোনো কিছুর অভাব কৃষকের নেই। কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। সেই সঙ্গে ভোক্তার কাছেও চাল যৌক্তিক মূল্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
রোববার ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩ টায় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নে খাজাঞ্চী গাঁও ও কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক গ্রুপের আয়োজনে সৌরশক্তি ও পানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাইলট প্রকল্পের আওতায় স্হাপিত “ব্যারিড” পাইপ এর শুভ উদ্ভোধন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মাওলানা আফিজ খান এর সভাপতিত্বে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা লাহিন নাহিয়ান এর পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের কৃষি প্রকৌশলী মো. ইখলাছ আশরাফ, বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সজিব সরকার।
কৃষক গ্রুপের সদস্য সাবুল খান এর শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া সভায় এসময় উপস্হিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও পূনর্বাসন সম্পাদক হাজী আব্দুল মতিন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা চমক আলী মেম্বার, পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য মো. দবির মিয়া, ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার গয়াছ উদ্দিন খান, নব নির্বাচিত মেম্বার জিসু আচার্য্য, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রচার সম্পাদক আর জে সিজিল মিয়া, কৃষক গ্রুপের সভাপতি লকুছ খান, সহ সভাপতি আব্দুল খালিক, সাধারণ সম্পাদক দবির মিয়া, সহ সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান খান, কোষাধক্ষ্য মো. লকুছ খান, সদস্য মো. আশরাফ হোসেন, আফরোজ আলী, রিয়াজ উদ্দিন খান, লুৎফুর রহমান, ইসমাইল খান, খুশিদ আলী, তৈয়ব আলী, মো. আব্দুল হামিদ, মো. নুরুজ আলী, মো. কয়ছর খান, আইয়ুব খান, মদরিছ আলী, নুর ইসলাম, তাইব খান, বারিক মিয়া, মো. জুবায়ের খান, মো. সুজন খান, মো. আফজল খান, মো. ফয়জুল খান, মো. কমর আলী, ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি সমর আলী, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি শহিদ খান আতাসহ প্রমুখ।
বিশ্বনাথে এবারও বৈষ্ণব রায় অন্তর্ধান মহোৎসব হচ্ছে না, হবে তিথি উদযাপন
বিশ্বনাথ :: করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছরের ন্যায় এ বছরও সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের সিদ্ধ বকুলতলাস্থ শ্রী শ্রী ঠাকুর বৈষ্ণব রায়’র অন্তর্ধান মহোৎসব হচ্ছে না, তবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে তিথি উদযাপন হবে। এ উপলক্ষ্যে গত ৪ ফেব্রæয়ারী শুক্রবার সকালে বৈষ্ণব রায় সিদ্ধ বকুলতলা ধামে ও রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে পৌর শহরের পুরাণ বাজারস্থ স্বর্গীয় সুখময় ধর খোকা বাবুর বাসায় অনুষ্ঠিত পৃথক দুটি জরুরী বৈঠকে সর্ব-সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
শ্রী শ্রী ঠাকুর বৈষ্ণব রায় সিদ্ধ বকুলতলা ধাম সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি প্রহল্লাদ চন্দ দেব’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শংকর দাস শংকু’র পরিচালনায় বৈঠকগুলোতে বক্তব্য রাখেন কমিটির উপদেষ্টা শান্ত গোস্বামী, রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নবেন্দ্র জ্যোতি দে মিন্টু, জেলা পুজা উদযাপন কমিটির সদস্য নিশি কান্ত পাল, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মানিক লাল দে, সহ সভাপতি রুপক কুমার দেব, ধাম সংরক্ষণ কমিটির সহ সভাপতি সমরেন্দ্র বৈদ্য সমর (উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক), ডাক্তার গোবিন্দ দাস, যুগ্ম সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দাস (উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক), নেপাল কুমার দেব (উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক), কোষাধ্যক্ষ কালীরঞ্জন দেবনাথ, সহ কোষাধ্যক্ষ নন্দ লাল বৈদ্য, সদস্য অনাথ রাম বৈদ্য, সুব্রত ধর বাপ্পী (সদর সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি), চন্দন দাস, অখিল বৈদ্য, সুনীল দেবনাথ, বিমল চন্দ্র রায়, রঞ্জু মালাকার, সংগঠক রিপন দাশ, বাপ্পা দাস, রিপন দে, বিমল দেবনাথ, মদন মোহন রায়, রতন রায়, প্রমেশ দেবনাথ, নীলকান্ত রুদ্র পাল, পংকজ দে প্রমুখ।