শুক্রবার ● ১ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বৈ-সা-বি উপলক্ষে ৬ এপ্রিল রাঙামাটিতে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান
বৈ-সা-বি উপলক্ষে ৬ এপ্রিল রাঙামাটিতে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (১ এপ্রিল ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.১০মিঃ) রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেছেন, এ জেলার প্রতিটি উপজেলায় সংস্কৃতি ও ক্রীড়া উন্নয়নে আগামী অর্থ বছর থেকে পরিষদের বাজেটে অতিরিক্ত বরাদ্দ রাখা হবে৷ তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙ্গালীদের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য৷ এ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে আমাদেরকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে৷ তিনি প্রত্যেক উপজেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিষদ সদস্যদেরকে এ বিষয়ে আরো উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান৷সোমবার ২১মার্চ সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের প্রধান সামাজিক ও প্রাণের উত্সব বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু, বিষু, বিহু (বৈ-সা-বি) উপলক্ষে আগামী ৬ এপ্রিল র্যালী, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন৷
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ এর পরিচালনায় সভায় র্যালী কমিটির আহ্বায়ক ও পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমা, সদস্য অংসুইপ্রু চৌধুরী, স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, অমিত চাকমা রাজু, ত্রিদীপ কান্তি দাশ, হিসাব ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা আবুল মনসুর চৌধুরী, জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের উপ-পরিচালক রম্ননেল চাকমা, জেলা কালচারাল অফিসার অনুসিনথিয়া চাকমা, সাংস্কৃতিক সংগঠন জুম ইস্থেটিক্স কাউন্সিল (জাক) এর সভাপতি এডভোকেট মিহির বরণ চাকমা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের কার্য নির্বাহী সদস্য সুগত চাকমা, চাঁদ রায়সহ চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তংচঙ্গ্যা ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন৷
সভায় পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবারত ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের প্রধান সামাজিক ও প্রাণের উত্সব বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু, বিষু, বিহু উত্সবকে আরো প্রাণবন্ত করতে এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বের মাঝে তুলে ধরতে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে আগামী ৬ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১০টায় রাঙামাটি সরকারী কলেজ প্রাঙ্গণ হতে বর্ণাঢ্য র্যালী শুরু হয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়ে আলোচনাসভা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের নিজস্ব ভাষায় সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়৷
র্যালী এবং র্যালীউত্তর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে পরিষদ চেয়ারম্যান সকলকে আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানান৷