রবিবার ● ৬ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » বান্দরবানে নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তিন সংগঠনের নিন্দা
বান্দরবানে নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তিন সংগঠনের নিন্দা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: পিসিপি, কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক শুভাশীষ চাকমা প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আলেচু পাড়ায় (মহিলা কার্বারী পাড়া) চুইরংমা মারমা নামে ৪০ বছর বয়সী এক পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন।
আজ শনিবার ৫ মার্চ পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুনয়ন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি অংগ্য মারমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৩ মার্চ রাতে উক্ত ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটলেও, ধর্ষকরা ঘটনাস্থলে আলামত হিসেবে দা-কুড়ালসহ সরঞ্জামানাদি রেখে গেলেও, পুলিশ কেন এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারলো না তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। এতে করে অপরাধীদের পালানোর সযোগ দেয়া হচ্ছে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণের (বিশেষত পাহাড়ি নারী ধর্ষণের ঘটনায়) মেডিকেল রিপোর্ট দেয়ার ক্ষেত্রে গোপন নিষেধাজ্ঞা জারি থাকার কারণে সঠিক রিপোর্ট প্রদান না করায় ভিকটিম ও তার পরিবারের লোকজন সুষ্ঠু বিচার পায় না। এর ফলে অপরাধীরা পার পেয়ে বার বার এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত করার সাহস পায়। এ যাবত যত পাহাড়ি নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে তার কোন ঘটনারই সুষ্ঠু বিচার হয়নি।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে রোয়াংছড়িতে পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যাকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ, একই দিন খাগড়াছড়ির গুইমারা সরকারি কলেজে জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক অর্জুন নাথ কর্তৃক দুই কলেজ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনারও নিন্দা জানিয়েছেন এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকালে ভিকটিম ওই নারী চাষকৃত হলুদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে জুমে যায়। সন্ধ্যার পরও বাড়িতে ফিরে না আসায় বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে জুম ঘরের অদূরে খাদে পরনের কাপড়-চোপড় এলোমেলো অবস্থায় তার রক্তাক্ত মরদেহ খুঁজে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ১ মাস ধরে পার্শ্ববর্তী বটতলী পাড়ার চারজন গাছ কাটার শ্রমিক ওই নারীর জুম ঘরে থেকে গাছ কাটার কাজ করতো। ঘটনার পর তাদের ব্যবহৃত দা-কুড়াল সরঞ্জামানাদি পাওয়া গেলেও তাদেরকে আর সে এলাকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের ধারণা এই গাছকাটার শ্রমিকরাই ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। কিন্তু ঘটনার দুই দিন পার হলেও পুলিশ এখনো ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।