মঙ্গলবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » রাজনৈতিক ফায়দা লুটতেই উপজেলা চেয়ারম্যান আতার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ
রাজনৈতিক ফায়দা লুটতেই উপজেলা চেয়ারম্যান আতার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ
কে এম শাহীন রেজা,কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :: কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১১শ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয় নিয়ে তার মুখোমুখি হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী শাম্মী আরা পারভীনের নামে দুদকে দায়েরকৃত অভিযোগকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অভিযোগ বলে দাবি করেন। তিনি এটাও বলেন, যারা আমাকে রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য দুদকে এই অভিযোগ করেছেন- তাদেরকে বলব, আমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত এই অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে অসত্য ও ভিত্তিহীন বলে প্রমানিত হবে। দুদকের নোটিশের বরাত দিয়ে আতাউর রহমান বলেন, আমার নামে হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ও স্ত্রীর নামে শত কোটি টাকার সম্পত্তির যে অভিযোগ দুদকে দেয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্য, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত। একটি কুচক্রী মহল আমাকে হেয় করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এটা করেছে। নিয়মানুসারে উক্ত অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সরবরাহের জন্য দুদক প্রেরিত একটি চিঠি আমি পেয়ে নির্ধারিত সময়ে তার জবাবও দিয়েছি। আমার ২৭ বছরের ব্যবসায়িক জীবনে ও আমার স্ত্রীর চাকুরি জীবনে অর্জিত অর্থ ও সম্পদের মূল্য হাজার কোটি তো দূরে থাক, ১২ কোটি টাকার হিসেবেও মিলবে না। আমার ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক জীবনে এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোনো মামলা, জিডি এমনকি কোন অভিযোগেরও নজির নেই। তিনি আরো বলেন, শহরের হাউজিং এলাকায় ডি ব্লকে ৫ কাঠার দুইটি প্লট ক্রয় করে সেখানে ১০ তলা ভবন নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ১০ তলা নয়, ৭ তলা ভবন যা নির্মাণাধীন এবং প্রদর্শিত। আর প্লট দুইটি যথাক্রমে ৩.৫ কাঠা ও ৩.৫ কাঠা, সর্বমোট ৭ কাঠা। ভেড়ামারা সাতবাড়িয়া মৌজায় ৫ কাঠার একটি প্লট আছে, যা প্রদর্শিত। ঢাকা উত্তর খান এলাকায় ৫ কাঠা জমির উপর ১০ তলা নির্মাণাধীন ভবনের বিষয়ে অসত্য তথ্য প্রদান করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ঢাকার উত্তরখানে আমার ৬ কাঠার একটি প্লট আছে, যা প্রদর্শিত। ভেড়ামারায় ২৫ বিঘা জমির উপর বাগান, ৯০ লাখ টাকার মুল্যে ২৪ শতক জমি, আর শত কোটি টাকায় ১০টি জমির তথ্য মনগড়া এবং ভিত্তিহীন।পাংশায় আমাদের নামে ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত তথ্য সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট ও মিথ্যা। খুলনায় দাকোপে এবং পটুয়াখালীতে দুইশ’ বিঘা জমিতে মাছের ঘেরের কথা বলা হয়েছে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় জমি, নগদ অর্থসহ বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যার বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই। আমরা পুরো পরিবার একটি গাড়ি ব্যবহার করি, যা ব্যাংকের নিকট দায়বদ্ধ এবং প্রদর্শিত। তিনি প্রতিবেদককে আরো বলেন, আমার ব্যবসায়িক ও আমার স্ত্রীর চাকুরি জীবনের উপার্জিত সকল সম্পদ ও অর্থ বৈধ, প্রদর্শিত এবং প্রকাশিত। রাজনৈতিকভাবে হেয় করার অভিপ্রায়ে উত্থাপিত অভিযোগের আলোকে দুদক আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করলে তাতে আমি পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। কিন্তু তদন্তের পূর্বেই আমাকে যেভাবে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে তাতে আমার পারিবারিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক জীবন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারকে ক্ষুন্ন করার সামিল বলে আমি মনে করি। একইসাথে সঠিক তদন্তকার্যে বাঁধাও সৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে গণমাধ্যম বন্ধুদের প্রতি সদয় বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান।