বুধবার ● ১ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথ সরকারি কলেজে পরীক্ষার কক্ষে ভিডিও ধারণ : তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
বিশ্বনাথ সরকারি কলেজে পরীক্ষার কক্ষে ভিডিও ধারণ : তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ সরকারি কলেজে পরীক্ষার কক্ষে ভিডিও ধারণ করার অপরাধে তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা সবাই ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সোমবার (৩০ মে) এইচএসসির প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা ২০২২ চলাকালে পরীক্ষার কক্ষে ভিডিও ধারণ করার অপরাধে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের বহিষ্কার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে- নিষিদ্ধ অবস্থায় ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলে, ক্লাসরুমে ও কলেজ ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের ভিডিও ধারণ বা টিকটক প্রকাশের তথ্য পাওয়া গেলে তাকে কলেজ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।
এছাড়াও ৩১ মে থেকে পরীক্ষার হলে কোনো শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। নিষেধ অমান্য করে যদি কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে তাহলে তার পরীক্ষা বাতিল গণ্য হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনজনকে বহিষ্কার করার ব্যাপারে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মানিক মিয়া বলেন, কলেজের পরীক্ষার কক্ষে ভিডিও ধারণ করায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার (১ জুন) কলেজের মিটিংয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
সিলেট জেলা পুলিশের উদ্যোগে ত্রাণ পেলেন বিশ্বনাথে ৩০০ বন্যার্ত পরিবার
বিশ্বনাথ :: সিলেট জেলা পুলিশের উদ্যোগে বিশ্বনাথ উপজেলার অসহায় বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার ৩০০ পরিবার পেয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সামগ্রী। ঢাকা থেকে পাঠানো এখাদ্য সামগ্রী আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলার খাজাঞ্চী ও ১টায় উপজেলার অলংকারি ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়।
সিলেট জেলা পুলিশের সহযোগীতায়, বিশ্বনাথ থানা পুলিশ বসুন্ধরা গ্রুপের প্রদত্ত ত্রাণ সামগ্রীগুলো বিতরণ করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ গাজী আতাউর রহমান, সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য সহল আল রাজী, অলংকারি ইউনিয়নের বিট পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ ফখরুল ইসলাম, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. রিয়াজ আলী, মো. সইদুর রহমান, মো. আলতাফ আলী, দুলাল মিয়া, নূর আলী, আবদুল ওদুদ, আমিনা বেগম, আসমা বেগম, শিরিয়া বেগম, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী গণি, বিট কর্মকর্তা এসআই রফিক, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শফিক মিয়া, ফখরুল মিয়া, বখতিয়ার আহমদ, পংকজ বিহারী দাস, আ: রব, রইসুল ইসলাম, হবিবুল ইসলাম, ফজলুল হক, মতিন মিয়া, ফুল মালা, সোনাবান বিবি, পারভীন বেগম প্রমুখ।
বিশ্বনাথে ছাত্রলীগ সম্পাদকসহ ৭ জনের নামে মামলা
বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথ সরকারি কলেজে নিজ দলের নেতাকর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগ সম্পাদকসহ ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় আসামিরা হলেন- উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানাইয়া গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে মোবারক হোসেন (৩০), একই গ্রামের আলাল মিয়ার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সোয়েব আহমদ (২৪), মুফতির গাঁও গ্রামের শামীম চিশতীর ছেলে তুহিন (২৪), শিমুলতলা গ্রামের সোহাগ আহমদ (২১), আনরপুর গ্রামের আব্দুল মনাফের ছেলে ফারহান আহমদ (২২), মিরেরচর গ্রামের সাদিকুর রহমান, জানাইয়া গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে কামরান আহমদ (২১)।
রোববার আদালতে এ মামলা দায়ের করেছে বিশ্বনাথ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা উপজেলার জানাইয়া গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে রিপন আহমদ (২১)।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানা গেছে, গত ২৪ মে বিশ্বনাথে উপজেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক গ্রুপের হামলায় সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মী আহত হন। আহতরা হলেন- কলেজ ছাত্রলীগের রিপন আহমদ, ইব্রাহিম আলী, রাজু মিয়া, জাহেদ আহমদ ও আসলাম আলী।
তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় রিপন আহমদকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্য চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি থানায় আসছে।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে ছাত্রদল থেকে আসার অভিযোগ ওঠেছে। জেলা ছাত্রলীগের প্রাক্তন কমিটি তাকে সাধারণ সম্পাদক পদে পদায়ন করেছে। যেহেতু মামলার বাদি ও অভিযুক্তরা উভয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তাই তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগ ৩ গ্রুপে বিভক্ত। এরমধ্যে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পার্থ সারথি পাপ্পু ও মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে দু’টি এবং যুগ্ম সম্পাদক শাহ বুরহান উদ্দিন রুবেলের নেতৃত্বে আরেকটি গ্রুপের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এরআগেও দু’টি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মারামারি হয়। এর পূণরাবৃত্তি ঘটলো আবার।
বিশ্বনাথের পংকি-ফারুকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পংকি খান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অভিযোগপত্র পাঠানো হয়েছে।
বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের পক্ষে অভিযোগটি পাঠিয়েছেন বিশ্বনাথ উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন বিশ্বনাথ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রুহেল খাঁন।
মঙ্গলবার (৩১মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গৃহীত এই দরখাস্তে রুহেল খাঁন উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ বিশ্বনাথ শাখার বর্তমান সভাপতি পংকি খানের দৌরাত্যে সাধারণ নেতা-কর্মীরা অসহনীয় যন্ত্রনায় দিন কাটাচ্ছেন। তিনি আগে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ কারণে জামায়াত, বিএনপি কর্মীদের প্রতি তার সখ্যতা ও দুর্বলতা রয়েছে। এমনকি তার বর্তমান ড্রাইভারও বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তাদের কারণে বর্তমানে আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ নেতা কর্মীরাও আজ দিশেহারা। পংকি ও ফারুক আহমদ আওয়ামী লীগকে ভোট দেননি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আলীর সময়ে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে থাকায় তিনি আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উপর অত্যাচার, নির্যাতন, মামলা, হামলা, জায়গা জমি দখল, বাড়ী-ঘর পোড়ানো, ৭ মার্চের মিছিলে গুলি করে ৭০জন নেতাকর্মীকে আহত করা, বঙ্গবন্ধু ও আপনাকে নিয়ে চরমভাবে কটুক্তি করেছিলেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনের পর পংকি খাঁন কৌশলে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং বিশ্বনাথ আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সিলেটের কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা ( নং-৭/৬/০২/২০১৭) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৫/২ ধারার দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলাও রয়েছে যা তদন্তকারী কর্মকর্তা সত্যতা পেয়ে চার্জশিট দিয়েছেন। মামলাটি বিচারাধীন।
রুহেল খাঁনের আরও অভিযোগ, পংকি খাঁন আওয়ামী লীগের ব্যানারধারী বিএনপি, জামাতের একজন এজেন্ট। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিচার সালিশে বিশ্বনাথের সাধারণ জনগণনের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ এবং তার ভাই ফিরােজ খানের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ বাজারে মানুষের ভিটা দখল থেকে শুরু করে নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগও আছে।
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে রুহেল খাঁনের অভিযোগ, ফারুক আহমদ তার জামায়াত সমর্থনকারী মামা কবির আহমদ খনিককে তার বাড়ীতে রেখে শেল্টার দিচ্ছেন। এমনকি তার বাড়ীর অনেক বিলাসী কাজকর্মও হচ্ছে জামায়াত নেতার টাকায়।
রুহেল খাঁন উল্লেখ করেন, পংকি খান ও ফারুক আহমদের কারণে বিশ্বনাথ আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতা-কর্মীরা হতাশায় ভুগছেন এবং এ উপজেলায় দলীয় সাংগঠনিক অবস্থা বর্তমানে চরম দুর্বল হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় দলীয় সাধারণ নেতা-কর্মীরা তাদের আর বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চায়না।
তিনি পংকি খান ও ফারুক আহমদের বিরুদ্ধে দলীয় শিষ্ঠাচার, দুর্নীতি এবং অপকর্মের সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করে দল থেকে চিরতরে বহিষ্কারের নির্দেশ প্রদান ও বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করতে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি জোর দাবি জানান।
রুহেল খাঁন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ এবং সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সিলেট জেলা যুবলীগ প্রমুখ নেতৃবৃন্দের কাছে তার আবেদনের অনুলিপিও পাঠিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ বলেন, অভিযোগকারীর পিতা ছিলেন স্বাধীনতা বিরোধী। এটা আমার মুখের কথা নয়। এ সংক্রান্ত গ্যাজেট পর্যন্ত আছে। আর আমরা ছাত্রলীগের রাজনীতি করে এসেছি। দলের জন্য আমরা ত্যাগী। এটা সারা বিশ্বনাথের মানুষ জানেন। তাছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যাপারে যুবলীগের সদস্য অভিযোগ করতে পারেনা। এটা অযৌক্তিক। যাই হোক, আমরা এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছিনা।